1443H Week-47

Friday, 01 July 2022

 

 

QURAN

Ash-Shu'ara | The Poets | Verse 123-135

26:123

كَذَّبَتْ عَادٌ ٱلْمُرْسَلِينَ ١٢٣

ʿAad denied the messengers

— Saheeh International

‘আদ সম্প্রদায় রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:124

إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٢٤

When their brother Hūd said to them, "Will you not fear Allāh?

— Saheeh International

যখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললঃ তোমরা কি সাবধান হবেনা?

— Sheikh Mujibur Rahman


26:125

إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌۭ ١٢٥

Indeed, I am to you a trustworthy messenger.

— Saheeh International

আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:126

فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٢٦

So fear Allāh and obey me.

— Saheeh International

অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:127

وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ١٢٧

And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.

— Saheeh International

আমি তোমাদের নিকট এর জন্য কোন প্রতিদান চাইনা, আমার পুরস্কারতো জগতসমূহের রবের নিকট রয়েছে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:128

أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةًۭ تَعْبَثُونَ ١٢٨

Do you construct on every elevation a sign, amusing yourselves,

— Saheeh International

তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে নিরর্থক স্মৃতিসৌধ/ভাস্কর্য নির্মাণ করছ?

— Sheikh Mujibur Rahman


26:129

وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ ١٢٩

And take for yourselves constructions [i.e., palaces and fortresses] that you might abide eternally?

— Saheeh International

আর তোমরা প্রাসাদ নির্মাণ করছ এই মনে করে যে, তোমরা চিরস্থায়ী হবে?

— Sheikh Mujibur Rahman


26:130

وَإِذَا بَطَشْتُم بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ ١٣٠

And when you strike, you strike as tyrants.

— Saheeh International

এবং যখন তোমরা আঘাত হান তখন আঘাত হেনে থাক কঠোরভাবে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:131

فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٣١

So fear Allāh and obey me.

— Saheeh International

তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:132

وَٱتَّقُوا۟ ٱلَّذِىٓ أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ ١٣٢

And fear He who provided you with that which you know,

— Saheeh International

ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন সেই সমূদয় জ্ঞান যা তোমরা জান।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:133

أَمَدَّكُم بِأَنْعَـٰمٍۢ وَبَنِينَ ١٣٣

Provided you with grazing livestock and children

— Saheeh International

তোমাদের দিয়েছেন পশু-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:134

وَجَنَّـٰتٍۢ وَعُيُونٍ ١٣٤

And gardens and springs.

— Saheeh International

উদ্যান ও প্রস্রবন।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:135

إِنِّىٓ أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍۢ ١٣٥

Indeed, I fear for you the punishment of a terrible day."

— Saheeh International

আমি তোমাদের জন্য আশংকা করি মহা দিনের শাস্তির।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

Hud's preaching to His People `Ad

Here Allah tells us about His servant and Messenger Hud, when he called his people `Ad. His people used to live in the Ahqaf, curved sand-hills near Hadramawt, on the borders of Yemen. They lived after the time of Nuh, as Allah says in Surat Al-A`raf:

وَاذكُرُواْ إِذْ جَعَلَكُمْ خُلَفَآءَ مِن بَعْدِ قَوْمِ نُوحٍ وَزَادَكُمْ فِى الْخَلْقِ بَسْطَةً

(And remember that He made you successors after the people of Nuh and increased you amply in stature) (7:69). This refers to the fact that they were physically strong and well-built, and very violent, and very tall; they had also been given a great deal of provisions, wealth, gardens, rivers, sons, crops and fruits. Yet despite all of that, they worshipped others besides Allah. So Allah sent Hud, one of their own, as a Messenger bringing them good news and delivering warnings. He called them to worship Allah alone, and he warned them of Allah's wrath and punishment if they were to go against him and treating him harshly. He said to them, as Nuh had said to his people:

أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةً تَعْبَثُونَ

(Do you build on every Ri` an Ayah for your amusement) The scholars of Tafsir differed over the meaning of the word Ri`. In brief, they said that it refers to an elevated location at a well-known crossroads, where they would build a huge, dazzling, sturdy structure, this is why he said:

أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةً

(Do you build on every Ri` an Ayah) i.e., a well-known landmark,

تَعْبَثُونَ

(for your amusement) meaning, `you are only doing that for the purpose of frivolity, not because you need it, but for fun and to show off your strength.' So their Prophet, peace be upon him, denounced them for doing that, because it was a waste of time and exhausted people's bodies for no purpose, and kept them busy with something that was of no benefit in this world or the next. He said:

وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ

(And do you get for yourselves Masani` as if you will live therein forever) Mujahid said, "This means fortresses built up strong and high and structures that are built to last."

لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ

(as if you will live therein forever) means, `so that you may stay there forever, but that is not going to happen, because they will eventually cease to be, just as happened in the case of those who came before you.'

وَإِذَا بَطَشْتُمْ بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ

(And when you seize (somebody), seize you (him) as tyrants) They are described as being strong, violent and tyrannical.

فَاتَّقُواْ اللَّهَ وَأَطِيعُونِ

(So, have Taqwa of Allah, and obey me.) `Worship your Lord and obey your Messenger.' Then Hud began reminding them of the blessings that Allah had bestowed upon them. He said:

وَاتَّقُواْ الَّذِى أَمَدَّكُمْ بِمَا تَعْلَمُونَ - أَمَدَّكُمْ بِأَنْعَـمٍ وَبَنِينَ - وَجَنَّـتٍ وَعُيُونٍ - إِنِّى أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ

(And have Taqwa of Him, Who has aided you with all that you know. He has aided you with cattle and children, and gardens and springs. Verily, I fear for you the torment of a Great Day.) meaning, `if you disbelieve and oppose (your Prophet).' So he called them to Allah with words of encouragement and words of warning, but it was to no avail.

قَالُواْ سَوَآءٌ عَلَيْنَآ أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُنْ مِّنَ الْوَعِظِينَ - إِنْ هَـذَا إِلاَّ خُلُقُ الاٌّوَّلِينَ - وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ

তাফসীর ইবনে কাছীর 

১২৩-১৩৫ নং আয়াতের তাফসীর: এখানে হযরত হূদ (আঃ)-এর ঘটনা বর্ণিত হচ্ছে যে, তিনি তাঁর সম্প্রদায় আ'দ জাতিকে আল্লাহর পথে আহ্বান করেন। তারা ছিল আকাফের অধিবাসী। আহকাফ হলো ইয়ামন দেশের হাযূরা মাউতের পার্শ্ববর্তী একটি পার্বত্য অঞ্চল। হব্রত হূদ (আঃ)-এর যুগটি ছিল হযরত নূহ (আঃ)-এর পরবর্তী যুগ। সূরায়ে আব্রাফেও তাঁর ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। আ’দ সম্প্রদায়কে হযরত নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের স্থলাভিষিক্ত করা হয় এবং তাদেরকে বেশ স্বচ্ছলতা প্রদান করা হয়। তারা ছিল সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী। তাদের ছিল প্রচুর ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি। জমি-জমা, বাগ্-বাগীচা, ফলমূল, নদী-প্রস্রবণ ইত্যাদির প্রাচুর্য তাদের ছিল। মোটকথা, সুখের সামগ্রী তাদের সবই ছিল। কিন্তু তারা মহান আল্লাহর নিয়ামতরাশির জন্যে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি এবং তার সাথে শরীক স্থাপন করেছিল। নবী (আঃ)-কে তারা আবিশ্বাস করেছিল। নবী তো ছিলেন তাদেরই একজন। তিনি তাদেরকে বুঝিয়েছিলেন এবং আল্লাহর ভয় প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি তাদেরকে তাঁর রাসূল হওয়ার কথা বলার পর তাঁর আনুগত্য করার এবং আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করার দাওয়াত দেন, যেমন হযরত নূহ (আঃ) দাওয়াত দিয়েছিলেন। 

তারা তাদের শক্তি ও ধনৈশ্বর্যের নিদর্শন রূপে উঁচু উঁচু প্রসিদ্ধ পাহাড়ের উপর উঁচু উঁচু প্রাসাদ নির্মাণ করেছিল। হযরত হূদ (আঃ) তাদেরকে এভাবে মাল অপচয় করতে নিষেধ করেছিলেন। কেননা, ওটা শুধু মাল অপচয় করা, সময় নষ্ট করা এবং কষ্ট উঠানো ছাড়া কিছুই ছিল না। ওতে না ছিল দ্বীনের কোন উপকার এবং না ছিল কোন উপকার দুনিয়ার। তাদের নবী হযরত হূদ (আঃ) তাই তাদেরকে বলেছিলেন, তোমরা কি প্রতিটি উঁচু স্থানে নিরর্থক স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করছো? তোমরা কি মনে করেছে যে, এখানে তোমরা চিরস্থায়ী হবে? দুনিয়া তোমাদেরকে আখিরাতের কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। জেনে রাখো যে, তোমাদের এ মনোবাসনা নিরর্থক। দুনিয়া তো নশ্বর। তোমরা নিজেরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। একটি কিরআতে (আরবি) রয়েছে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উত্মা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, যখন মুসলমানরা গৃতায় বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করে ও সুন্দর সুন্দর বাগান তৈরী করে তখন হযরত আবুদ দারদা (রাঃ) এসব দেখে মসজিদে দাঁড়িয়ে যান এবং উচ্চ স্বরে বলেনঃ “হে দামেস্কের অধিবাসী! তোমরা আমার কথা শুনো!” জনগণ সব একত্রিত হলে তিনি হামদ ও সানার পর বলেনঃ “তোমাদের কি লজ্জা হয় না, তোমরা কি এটা খেয়াল করছে না যে, তোমরা যা জমা করতে শুরু করেছে তা তোমরা খেতে পার না? তোমরা এমন ঘরবাড়ী তৈরী করতে শুরু করে দিয়েছো যেগুলো তোমাদের বসবাসের কাজে লাগবে না। 

তোমরা এমন দূরের আশা করতে শুরু করেছে যা পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। তোমরা ভুলে গেছো যে, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরাও বহু কিছু জমা করেছিল, বড় বড় ও উঁচু উঁচু প্রাসাদ নির্মাণ করেছিল, বড় রকমের আশা তারা পোষণ করেছিল, কিন্তু ফল এই দাঁড়িয়েছিল যে, তারা প্রতারিত হয়েছিল, তাদের সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তাদের ঘরবাড়ী, দালান-কোঠা মূলোৎপাটিত হয়েছিল। আ’দ সম্প্রদায়কে দেখো, আদৃন হতে আম্মান পর্যন্ত তাদের ঘোড়া ও উট ছিল। কিন্তু তারা আজ কোথায়? এমন কোন নির্বোধ আছে কি যে আ’দ সম্প্রদায়ের মীরাসকে মাত্র দুই দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় করবে?আল্লাহ তা'আলা আ’দ সম্প্রদায়ের ধন-দৌলত ও ঘরবাড়ীর বর্ণনা দেয়ার পর তাদের বল ও শক্তির বর্ণনা দিয়েছেন যে, তারা বড়ই উদ্ধত, অহংকারী ও পাষাণ হৃদয় ছিল। আল্লাহর নবী হযরত হূদ (আঃ) তাদেরকে আল্লাহর ভয় দেখালেন এবং তাঁর আনুগত্য স্বীকার করতে বললেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে ঐ সব নিয়ামতের কথা স্মরণ করালেন যেগুলো মহান আল্লাহ তাদেরকে দান করেছিলেন। যেমন চতুষ্পদ জন্তু, সন্তান-সন্ততি, উদ্যান এবং প্রস্রবণ। তারপর তিনি তাদেরকে বললেন যে, তিনি তাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করেন। তিনি তাদেরকে জান্নাতের লোভ দেখান এবং জাহান্নাম হতে ভীতি প্রদর্শন করেন। কিন্তু সবই বিফলে যায়। 

 

SURAH

Al-Masad | The Palm Fiber  | Verse 01-05

تَبَّتۡ یَدَاۤ اَبِیۡ لَهَبٍ وَّ تَبَّ ؕ﴿۱﴾  

مَاۤ اَغۡنٰی عَنۡهُ مَالُهٗ وَ مَا کَسَبَ ؕ﴿۲﴾  

سَیَصۡلٰی نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ ۚ﴿ۖ۳﴾  

وَّ امۡرَاَتُهٗ ؕ حَمَّالَۃَ الۡحَطَبِ ۚ﴿۴﴾  

فِیۡ جِیۡدِهَا حَبۡلٌ مِّنۡ مَّسَدٍ ﴿۵﴾ 

111:1

تَبَّتْ يَدَآ أَبِى لَهَبٍۢ وَتَبَّ ١

May the hands of Abū Lahab be ruined, and ruined is he.

— Saheeh International

ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হস্তদ্বয় এবং ধ্বংস হোক সে নিজেও।

— Sheikh Mujibur Rahman


111:2

مَآ أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُۥ وَمَا كَسَبَ ٢

His wealth will not avail him or that which he gained.

— Saheeh International

ওর ধন সম্পদ ও ওর উপার্জন ওর কোন উপকারে আসেনি।

— Sheikh Mujibur Rahman


111:3

سَيَصْلَىٰ نَارًۭا ذَاتَ لَهَبٍۢ ٣

He will [enter to] burn in a Fire of [blazing] flame

— Saheeh International

অচিরেই সে শিখা বিশিষ্ট জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে,

— Sheikh Mujibur Rahman


111:4

وَٱمْرَأَتُهُۥ حَمَّالَةَ ٱلْحَطَبِ ٤

And his wife [as well] - the carrier of firewood.

— Saheeh International

এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে।

— Sheikh Mujibur Rahman


111:5

فِى جِيدِهَا حَبْلٌۭ مِّن مَّسَدٍۭ ٥

Around her neck is a rope of [twisted] fiber.

— Saheeh International

তার গলদেশে খেজুর বাকলের রজ্জু রয়েছে।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

Which was revealed in Makkah

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـنِ الرَّحِيمِ

In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful.

The Reason for the Revelation of this Surah and the Arrogance of Abu Lahab toward the Messenger of Allah

Al-Bukhari recorded from Ibn `Abbas that the Prophet went out to the valley of Al-Batha and he ascended the mountain. Then he cried out,

«يَا صَبَاحَاه»

(O people, come at once!) So the Quraysh gathered around him. Then he said,

«أَرَأَيْتُمْ إِنْ حَدَّثْتُكُمْ أَنَّ الْعَدُوَّ مُصَبِّحُكُمْ، أَوْ مُمَسِّيكُمْ أَكُنْتُمْ تُصَدِّقُونِّي»

؟ (If I told you all that the enemy was going to attack you in the morning, or in the evening, would you all believe me) They replied, "Yes." Then he said,

«فَإِنِّي نَذِيرٌ لَكُمْ بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيد»

(Verily, I am a warner (sent) to you all before the coming of a severe torment.) Then Abu Lahab said, "Have you gathered us for this May you perish!" Thus, Allah revealed,

تَبَّتْ يَدَآ أَبِى لَهَبٍ وَتَبَّ

(Perish the two hands of Abu Lahab and perish he!) to the end of the Surah. In another narration it states that he stood up dusting of his hands and said, "Perish you for the rest of this day! Have you gathered us for this" Then Allah revealed,

تَبَّتْ يَدَآ أَبِى لَهَبٍ وَتَبَّ

(Perish the two hands of Abu Lahab and perish he!) The first part is a supplication against him and the second is information about him. This man Abu Lahab was one of the uncles of the Messenger of Allah.His name was `Abdul-`Uzza bin Abdul-Muttalib. His surname was Abu `Utaybah and he was only called Abu Lahab because of the brightness of his face. He used to often cause harm to the Messenger of Allah . He hated and scorned him and his religion. Imam Ahmad recorded from Abu Az-Zinad that a man called Rabi`ah bin `Abbad from the tribe of Bani Ad-Dil, who was a man of pre-Islamic ignorance who accepted Islam, said to him, "I saw the Prophet in the time of pre-Islamic ignorance in the market of Dhul-Majaz and he was saying,

«يَا أَيُّهَا النَّاسُ، قُولُوا: لَا إِلهَ إِلَّا اللهُ تُفْلِحُوا»

(O people! Say there is no god worthy of worship except Allah and you will be successful.) The people were gathered around him and behind him there was a man with a bright face, squint (or cross) eyes and two braids in his hair. He was saying, "Verily, he is an apostate (from our religion) and a liar!" This man was following him (the Prophet ) around wherever he went. So, I asked who was he and they (the people) said, "This is his uncle, Abu Lahab." Ahmad also recorded this narration from Surayj, who reported it from Ibn Abu Az-Zinad, who reported it from his father (Abu Zinad) who mentioned this same narration. However in this report, Abu Zinad said, "I said to Rabi`ah, `Were you a child at that time' He replied, `No. By Allah, that day I was most intelligent, and I was the strongest blower of the flute (for music)."' Ahmad was alone in recording this Hadith. Concerning Allah's statement,

مَآ أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ

(His wealth and his children (Kasab) will not benefit him!) Ibn `Abbas and others have said,

وَمَا كَسَبَ

(and his children (Kasab) will not benefit him!) "Kasab means his children." A similar statement has been reported from `A'ishah, Mujahid, `Ata', Al-Hasan and Ibn Sirin. It has been mentioned from Ibn Mas`ud that when the Messenger of Allah called his people to faith, Abu Lahab said, "Even if what my nephew says is true, I will ransom myself (i.e., save myself) from the painful torment on the Day of Judgement with my wealth and my children." Thus, Allah revealed,

مَآ أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ

(His wealth and his children will not benefit him!) Then Allah says,

سَيَصْلَى نَاراً ذَاتَ لَهَبٍ

(He will enter a Fire full of flames!) meaning, it has flames, evil and severe burning.

The Destiny of Umm Jamil, the Wife of Abu Lahab

وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ

(And his wife too, who carries wood.) His wife was among the leading women of the Quraysh and she was known as Umm Jamil. Her name was `Arwah bint Harb bin Umayyah and she was the sister of Abu Sufyan. She was supportive of her husband in his disbelief, rejection and obstinacy. Therefore, she will be helping to administer his punishment in the fire of Hell on the Day of Judgement. Thus, Allah says,

وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ - فِى جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ

(Who carries wood. In her neck is a twisted rope of Masad.) meaning, she will carry the firewood and throw it upon her husband to increase that which he is in (of torment), and she will be ready and prepared to do so.

فِى جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ

(In her neck is a twisted rope of Masad.) Mujahid and `Urwah both said, "From the palm fiber of the Fire." Al-`Awfi narrated from Ibn `Abbas, `Atiyah Al-Jadali, Ad-Dahhak and Ibn Zayd that she used to place thorns in the path of the Messenger of Allah . Al-Jawhari said, "Al-Masad refers to fibers, it is also a rope made from fibers or palm leaves. It is also made from the skins of camels or their furs. It is said (in Arabic) Masadtul-Habla and Amsaduhu Masadan, when you tightly fasten its twine." Mujahid said,

فِى جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ

(In her neck is a twisted rope of Masad.) "This means a collar of iron." Don't you see that the Arabs call a pulley cable a Masad

A Story of Abu Lahab's Wife harming the Messenger of Allah

Ibn Abi Hatim said that his father and Abu Zur`ah both said that `Abdullah bin Az-Zubayr Al-Humaydi told them that Sufyan informed them that Al-Walid bin Kathir related from Ibn Tadrus who reported that Asma' bint Abi Bakr said, "When

تَبَّتْ يَدَآ أَبِى لَهَبٍ

(Perish the two hands of Abu Lahab and perish he)!) was revealed, the one-eyed Umm Jamil bint Harb came out wailing, and she had a stone in her hand. She was saying, `He criticizes our father, and his religion is our scorn, and his command is to disobey us.' The Messenger of Allah was sitting in the Masjid (of the Ka`bah) and Abu Bakr was with him. When Abu Bakr saw her he said, `O Messenger of Allah! She is coming and I fear that she will see you.' The Messenger of Allah replied,

«إِنَّهَا لَنْ تَرَانِي»

(Verily, she will not see me.) Then he recited some of the Qur'an as a protection for himself. This is as Allah says,

وَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرءَانَ جَعَلْنَا بَيْنَكَ وَبَيْنَ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِالاٌّخِرَةِ حِجَابًا مَّسْتُورًا

(And when you recite the Qur'an, We put between you and those who believe not in the Hereafter, an invisible veil.) (17:45) So she advanced until she was standing in front of Abu Bakr and she did not see the Messenger of Allah . She then said, `O Abu Bakr! Verily, I have been informed that your friend is making defamatory poetry about me.' Abu Bakr replied, `Nay! By the Lord of this House (the Ka`bah) he is not defaming you.' So she turned away saying, `Indeed the Quraysh know that I am the daughter of their leader."' Al-Walid or another person said in a different version of this Hadith, "So Umm Jamil stumbled over her waist gown while she was making circuits (Tawaf) around the House (the Ka`bah) and she said, `Cursed be the reviler.' Then Umm Hakim bint `Abdul-Muttalib said, `I am a chaste woman so I will not speak abusively and I am refined so I do not know. Both of us are children of the same uncle. And after all the Quraysh know best." This is the end of the Tafsir of this Surah, and all praise and blessings are due to Allah.


তাফসীর ইবনে কাছীর 

১-৫ নং আয়াতের তাফসীর: সহীহ বুখারীতে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (সঃ) বাতহা’ নামক স্থানে গিয়ে একটি পাহাড়ের উপর আরোহণ করলেন এবং উচ্চস্বরে “ইয়া সাবা’হাহ্, ইয়া সাবা’হা'হ্” (অর্থাৎ হে ভোরের বিপদ, হে ভোরের বিপদ) বলে ডাক দিতে শুরু করলেন। অল্পক্ষণের মধ্যেই সমস্ত কুরায়েশ নেতা সমবেত হলো। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাদেরকে বললেনঃ “যদি আমি তোমাদেরকে বলি যে, সকালে অথবা সন্ধ্যাবেলায় শত্রুরা তোমাদের উপর আক্রমণ চালাবে তবে কি তোমরা আমার কথা বিশ্বাস করবে?” সবাই সমস্বরে বলে উঠলোঃ “হ্যা হ্যা অবশ্যই বিশ্বাস করবো।” তখন তিনি তাদেরকে বললেনঃ “শোননা, আমি তোমাদেরকে আল্লাহর ভয়াবহ শাস্তির আগমন সংবাদ দিচ্ছি।" আবু লাহাব তার একথা শুনে বললোঃ “তোমার সর্বনাশ হোক, একথা বলার জন্যেই কি তুমি আমাদেরকে সমবেত করেছো?” তখন আল্লাহ তা'আলা এ সূরা অবতীর্ণ করেন। 

অন্য এক রিওয়াইয়াতে আছে যে, আবু লাহাব হাত ঝেড়ে নিম্ন লিখিত বাক্য বলতে বলতে চলে গেলঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমার প্রতি সারাদিন অভিশাপ বর্ষিত হোক।” আবূ লাহাব ছিল রাসূলুল্লাহর (সঃ) চাচা। তার নাম ছিল আবদুল উযযা ইবনে আবদিল মুত্তালিব। তার কুনইয়াত বা ছদ্ম পিতৃপদবীযুক্ত নাম আবূ উত্মাহ ছিল। তার সুদর্শন ও কান্তিময় চেহারার জন্যে তাকে আবু লাহাব অর্থাৎ শিখা বিশিষ্ট বলা হতো। সে ছিল রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকৃষ্টতম শক্র। সব সময় সে তাকে কষ্ট দেয়ার জন্যে এবং তার ক্ষতি সাধনের জন্যে সচেষ্ট থাকতো। হযরত রাবীআহ ইবনে ইবাদ দাইলী (রাঃ) তার ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর ইসলাম পূর্ব যুগের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ “আমি নবী করীম (সঃ) কে যুল মাজায এর বাজারে দেখেছি, সে সময় তিনি বলছিলেনঃ “হে লোক সকল! তোমরা বলঃ আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তাহলে তোমরা মুক্তি ও কল্যাণ লাভ করবে।” বহু লোক তাঁকে ঘিরে রেখেছিল। 

আমি লক্ষ্য করলাম যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর পিছনেই গৌরকান্তি ও সুডোল দেহ-সৌষ্ঠবের অধিকারী একটি লোক, যার মাথার চুল দুপাশে সিঁথি করা, সে এগিয়ে গিয়ে সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে বললোঃ “হে লোক সকল! এ লোক বে-দ্বীন ও মিথ্যাবাদী।” মোটকথা রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর সুদর্শন এই লোকটি তার বিরুদ্ধে বলতে বলতে যাচ্ছিল। আমি লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোকটি কে? উত্তরে তারা বললোঃ “এ লোকটি হলো রাসূলুল্লাহর (সঃ) চাচা আবু লাহাব।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)অন্য এক রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাবীআ'হ্ (রাঃ) বলেনঃ “আমি আমার পিতার সাথে ছিলাম, আমার তখন যৌবন কাল। আমি দেখেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এক একটি লোকের কাছে যাচ্ছেন আর লোকেদেরকে বলছেনঃ “হে লোক সকল! আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল রূপে প্রেরিত হয়েছি। আমি তোমাদেরকে বলছি যে, তোমরা এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে শরীক করবে না। তোমরা আমাকে সত্যবাদী বলে বিশ্বাস করো এবং আমাকে শত্রুদের কবল হতে রক্ষা করো, তাহলে আল্লাহ তাআলা আমাকে যে কাজের জন্যে প্রেরণ করেছেন সে কাজ আমি করতে পারবো।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) যেখানেই এ পয়গাম পৌছাতেন, পরক্ষণেই আবু লাহাব সেখানে পৌছে বলতোঃ “হে অমুক গোত্রের লোকেরা! এ ব্যক্তি তোমাদেরকে লাত, উয্যা থেকে দূরে সরাতে চায় এবং বানু মালিক ইবনে আকইয়াসের ধর্ম থেকে তোমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়াই তার উদ্দেশ্য। 

সে নিজের আনীত গুমরাহীর প্রতি তোমাদেরকেও টেনে নিতে চায়। সাবধান! তার কথা বিশ্বাস করো না।”আল্লাহ তাআলা এ সূরায় বলছেনঃ আবু লাহাবের দুই হস্ত ধ্বংস হোক! না তার ধন-সম্পদ তার কোন কাজে এসেছে, না তার উপার্জন তার কোন উপকার করেছে।হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) যখন তার। স্বজাতিকে আল্লাহর পথে আহ্বান জানালেন তখন আবু লাহাব বলতে লাগলোঃ “যদি আমার ভাতিজার কথা সত্য হয় তবে আমি কিয়ামতের দিন আমার ধন সম্পদ আল্লাহকে ফিদিয়া হিসেবে দিয়ে তার আযাব থেকে আত্মরক্ষা করবো।" আল্লাহ তাআলা তখন এ আয়াত অবতীর্ণ করেন যে, তার ধন সম্পদ ও তার উপার্জন তার কোন কাজে আসেনি।এরপর মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ অচিরে সে দগ্ধ হবে লেলিহান অগ্নিতে এবং তার স্ত্রীও। অর্থাৎ আবু লাহাব তার স্ত্রীসহ জাহান্নামের ভয়াবহ আগুনে প্রবেশ করবে। আবু লাহাবের স্ত্রী ছিল কুরায়েশ নারীদের নেত্রী। তার কুনিয়াত ছিল উম্মু জামীল, নাম ছিল আরওয়া বিনতু হারব ইবনে উমাইয়া। সে আবূ সুফিয়ান (রাঃ) এর বোন ছিল। তার স্বামীর কুফরী, হঠকারিতা এবং ইসলামের শত্রুতায় সে ছিল সহকারিণী, সহযোগিণী। এ কারণে কিয়ামতের দিন সেও স্বামীর সঙ্গে আল্লাহর আযাবে পতিত হবে। 

কাঠ বহন করে নিয়ে সে তা ঐ। আগুনে নিক্ষেপ করবে যে আগুনে তার স্বামী জ্বলবে। তার গলায় থাকবে আগুনের পাকানো রশি।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যে ইন্ধন বহন করে, তার গলদেশে পাকানো রঞ্জু। অর্থাৎ সে স্বামীর ইন্ধন সগ্রহ করতে থাকবে।(আরবি) এর ‘গীবতকারিণী' অর্থও করা হয়েছে। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এ অর্থই পছন্দ করেছেন। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ গুরুজন বর্ণনা করেছেন যে, আবু লাহাবের স্ত্রী জঙ্গল থেকে কাটাযুক্ত কাঠ কুড়িয়ে আনতে এবং ঐ কাঠ রাসূলুল্লাহর চলার পথে বিছিয়ে দিতো। এটাও বলা হয়েছে যে, এ নারী রাসুলুল্লাহকে ভিক্ষুক বলে তিরস্কার করতো। এ কারণে তাকে কাষ্ঠ বহনের পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথমোক্ত কথাই নির্ভুল। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন। সাঈদ ইবনে মুসাইয়াব (রঃ) বলেন যে, আবু লাহাবের স্ত্রীর কাছে একটি সুন্দর গলার মালা ছিল সে বলতোঃ “আমি এ মালা বিক্রী করে তা মুহাম্মদ (সঃ)-এর বিরোধিতায় ব্যয় করবো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, তার গলদেশে থাকবে পাকানো রঞ্জু। অর্থাৎ তার গলদেশে আগুনের বেড়ী পরিয়ে দেয়া হবে। (আরবি) শব্দের অর্থ হলো খেজুর গাছের আঁশের রশি। 

উরওয়া (রঃ) বলেন যে, এটা হলো জাহান্নামের শিকল, যার এক একটি কড়া সত্তর গজের হবে। সওরী (রঃ) বলেন যে, এটা জাহান্নামের শিকল, যা সত্তর হাত লম্বা। জওহরী (রঃ) বলেন যে, এটা উটের চামড়া এবং পশম দিয়ে তৈরি করা হয়। মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, এটা লোহার বেড়ী বা শিকল।।হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ “এ সূরা অবতীর্ণ হওয়ার পর ধাঙ্গড় নারী উম্মু জামীল বিনতু হারব নিজের হাতে কারুকার্য খচিত, রং করা পাথর নিয়ে কবিতা আবৃত্তির সূরে নিম্নলিখিত কথাগুলো বলতে বলতে রাসূলুল্লাহর নিকট আগমন করেঃ(আরবি)অর্থাৎ “আমি মুযাম্মামের (নিন্দনীয় ব্যক্তির) অস্বীকারকারিণী, তার দ্বীনের দুশমন এবং তার হুকুম অমান্যকারিণী।" রাসূলুল্লাহ (সঃ) ঐ সময় কা'বা গৃহে বসেছিলেন। তাঁর সাথে আমার আব্বা হযরত আবু বকর (রাঃ) ছিলেন। আমার আব্বা তাকে এ অবস্থায় দেখে রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! সে আসছে, আপনাকে আবার দেখে না ফেলে!” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন বললেনঃ “হে আবু বকর (রাঃ)! নিশ্চিন্ত থাকো, সে আমাকে দেখতে পাবেই না। তারপর তিনি ঐ দুষ্টা নারীকে এড়ানোর উদ্দেশ্যে কুরআন তিলাওয়াত শুরু করলেন। 

যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ ‘যখন তুমি কুরআন পাঠ কর তখন আমি তোমার মধ্যে এবং যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তাদের মধ্যে গোপন পর্দা টেনে দিই।" (১৭:৪৫) ডাইনী নারী হযরত আবু বকরের (রাঃ) কাছে এসে দাড়ালো। রাসূলুল্লাহও (সঃ) তখন হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর পাশেই ছিলেন। কিন্তু কুদরতী পর্দা তার চোখের সামনে পড়ে গেল। সুতরাং সে আল্লাহর রাসূল (সঃ) কে দেখতে পেলো না। ডাইনী নারী হযরত আবু বকর (রাঃ) কে বললোঃ “আমি শুনেছি যে, তোমার সাথী (সঃ) আমার দুর্নাম করেছে অর্থাৎ কবিতার ভাষায় আমার বদনাম ও নিন্দে করেছে। হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ “কা’বার প্রতিপালকের শপথ! রাসূলুল্লাহ (সঃ) তোমার কোন নিন্দে করেননি।” আবু লাহাবের স্ত্রী তখন ফিরে যেতে যেতে বললোঃ “কুরায়েশরা জানে যে, আমি তাদের সর্দারের মেয়ে।”একবার এ দুষ্টা রমনী নিজের লম্বা চাদর গায়ে জড়িয়ে তাওয়াফ করছিল, হঠাৎ পায়ে চাদর জড়িয়ে পিছনে পড়ে গেল। তখন বললোঃ “মুযাম্মাম ধ্বংস হোক।” তখন উম্ম হাকীম বিনতু আবদিল মুত্তালিব বললোঃ “আমি একজন পূত পবিত্র রমনী। আমি মুখের ভাষা খারাপ করবো না। আমি বন্ধুত্ব স্থাপনকারিণী, কাজেই আমি কলঙ্কিনী হবো না এবং আমরা সবাই একই দাদার সন্তান, আর কুরায়েশরাই এটা সবচেয়ে বেশী জানে।” আবু বকর বার (রঃ) বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ যখন(আরবি) এ সূরাটি অবতীর্ণ হয়। 

তখন আবু লাহাবের স্ত্রী রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট আগমন করে। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) বসেছিলেন এবং তার সাথে হযরত আবু বকরও (রাঃ) ছিলেন। হযরত আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! ঐ যে সে আসছে, আপনাকে সে কষ্ট দেয়। না কি!” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “তুমি নিশ্চিন্ত থাকো, সে আমাকে দেখতে পাবে না।” অতঃপর আবু লাহাবের স্ত্রী হযরত আবু বকর (রাঃ) কে বললোঃ “তোমার সাথী (কবিতার ভাষায়) আমার দুর্নাম রটনা করেছে।” হযরত আবু বকর (রাঃ) তখন কসম করে বললেমঃ “রাসূলুল্লাহ (সঃ) কাব্য চর্চা করতে জানেন না এবং তিনি কবিতা কখনো বলেননি।” দুষ্টা নারী চলে যাওয়ার পর হযরত আবু বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! সে কি আপনাকে দেখতে পায়নি?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “তার চলে যাওয়া পর্যন্ত ফেরেশতা আমাকে আড়াল করে দাঁড়িয়েছিলেন। কোন কোন পণ্ডিত ব্যক্তি বলেছেন যে, উম্মু জামীলের গলায় আগুনের রশি লাগিয়ে দেয়া হবে এবং ঐ রশি ধরে টেনে তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে, তারপর রশি ঢিলে করে তাকে জাহান্নামের গভীর তলদেশে নিক্ষেপ করা হবে এ শাস্তিই তাকে ক্রমাগতভাবে দেয়া হবে।ঢোলের রশিকে আরবের লোকেরা (আরবি) বলতো। আরবী কবিতায় এ শব্দটি এ অর্থেই ব্যবহৃত হতো। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, এ সূরা আমাদের প্রিয় নবী (সঃ)-এর নবুওয়াতের একটি উচ্চতর প্রমাণ। আবু লাহাব এবং তার স্ত্রী দুস্কৃতির এবং পরিণতির যে সংবাদ এ সূরায় দেয়া হয়েছে। বাস্তবেও তা-ই ঘটেছে। এ দম্পতির ঈমান আনয়নের সৌভাগ্য হয়নি। তারা প্রকাশ্য বা গোপনীয় কোনভাবেই মুসলমান হয়নি। কাজেই, এ সূরাটি রাসূলুল্লাহর (সঃ) নবুওয়াতের উজ্জ্বল ও সুস্পষ্ট প্রমাণ। 

YOUTH

PRAYING THE PROPHET'S WAY  

I Perform My Sunnah Prayers

All of us have people we love, but the person we should love more than any­one, even ourselves, is Prophet Muhammad (S). Loving the Prophet means that we should follow his guidance. Loving the Prophet is one of the easiest ways to Paradise. Rasoolullah (S) was the best Muslim ever, and his job was to show all the Muslims the best way to do things. If we follow him, we will have a better understand­ing of how to practice Islam.

One of the things Rasoolullah (S) did was to pray extra prayers. Sometimes he prayed extra rak'aat before the fard prayers, and some­times he prayed extra rak'aat after them.

Rasoolullah (S) used to pray:

These are called Salat-us-Sunnah, or Sunnah Prayers.

Daily Sunnah Prayer

Prayer ------ Number of Rak'aat of Sunna

We should pray the Sunnah prayers, just like the Prophet (S) did, in addition to our fard prayers. Praying Salat-us-Sunnah is very important because it helps us make up for the mistakes and short­comings we might have in our fard salah.

For example, if we missed a rak'ah or forgot some Qur'an in our fard salah, Allah will look at our Sunnah prayers to take the place of our fard prayers. We are human and we make many mistakes. Our prayers are almost never perfect. So, we NEED Sunnah prayers to make sure our prayer record is excellent!

Did you know that the Prophet (S) promised us that, "Whoever prays twelve rak'aat (of Sunnah prayer) during the day and night will have a house built for him in Paradise: four rak'aat before Thuhr, and two after it, two rak'aat after Maghrib, two rak'aat after 'Ishaa', and two rak'aat before Fair." (At-Tirmidhi)

Questions