1443H Week-44

Friday, 10 June 2022

 

 

QURAN

Ash-Shu'ara | The Poets | Verse 105-115

26:105

كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ ٱلْمُرْسَلِينَ ١٠٥

The people of Noah denied the messengers

— Saheeh International

নূহের সম্প্রদায় রাসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:106

إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٠٦

When their brother Noah said to them, "Will you not fear Allāh?

— Saheeh International

যখন তাদের ভাই নূহ তাদেরকে বললঃ তোমরা কি সাবধান হবেনা?

— Sheikh Mujibur Rahman


26:107

إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌۭ ١٠٧

Indeed, I am to you a trustworthy messenger.

— Saheeh International

আমিতো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:108

فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٠٨

So fear Allāh and obey me.

— Saheeh International

অতএব আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:109

وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ١٠٩

And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.

— Saheeh International

আমি তোমাদের নিকট এ জন্য কোন প্রতিদান চাইনা; আমার পুরস্কারতো জগতসমূহের রবের নিকটই রয়েছে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:110

فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١١٠

So fear Allāh and obey me."

— Saheeh International

সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:111

۞ قَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ لَكَ وَٱتَّبَعَكَ ٱلْأَرْذَلُونَ ١١١

They said, "Should we believe you while you are followed by the lowest [class of people]?"

— Saheeh International

তারা বললঃ আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করব, অথচ ইতর লোকেরা তোমার অনুসরণ করছে?

— Sheikh Mujibur Rahman


26:112

قَالَ وَمَا عِلْمِى بِمَا كَانُوا۟ يَعْمَلُونَ ١١٢

He said, "And what is my knowledge of what they used to do?

— Saheeh International

নূহ বললঃ তারা কি কাজ করছে তা জানা আমার কি দরকার?

— Sheikh Mujibur Rahman


26:113

إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّى ۖ لَوْ تَشْعُرُونَ ١١٣

Their account is only upon my Lord, if you [could] perceive.

— Saheeh International

তাদের হিসাব গ্রহণতো আমার রবেরই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:114

وَمَآ أَنَا۠ بِطَارِدِ ٱلْمُؤْمِنِينَ ١١٤

And I am not one to drive away the believers.

— Saheeh International

মু’মিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয়,

— Sheikh Mujibur Rahman


26:115

إِنْ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٌۭ مُّبِينٌۭ ١١٥

I am only a clear warner."

— Saheeh International

আমিতো শুধু একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

Nuh's preaching to His People, and Their Response

Here Allah tells us about His servant and Messenger Nuh, peace be upon him, who was the first Messenger sent by Allah to the people of earth after they started to worship idols. Allah sent him to forbid that and to warn people of the consequences of idol worship. But his people belied him and continued their evil practice of worshipping idols besides Allah. Allah revealed that their disbelieving in him was akin to disbelieving in all the Messengers, So Allah said:

كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ الْمُرْسَلِينَ - إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلاَ تَتَّقُونَ

(The people of Nuh belied the Messengers. When their brother Nuh said to them: "Will you not have Taqwa") meaning, `do you not fear Allah when you worship others instead of Him'

إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ

(I am a trustworthy Messenger to you.) means, `I am the Messenger of Allah to you, faithfully fulfilling the mission with which Allah has sent me. I convey the Messages of my Lord to you, and I do not add anything to them or take anything away from them.,

فَاتَّقُواْ اللَّهَ وَأَطِيعُونِ وَمَآ أَسْـَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ

(So have Taqwa of Allah, and obey me. No reward do I ask of you for it;) means, `I do not want any payment for the advice I give you; I will save my reward for it with Allah. '

فَاتَّقُواْ اللَّهَ وَأَطِيعُونِ

(So have Taqwa of Allah, and obey me.) `It is clear to you that I am telling the truth and that I am faithfully fulfilling the mission with which Allah has entrusted me.'

The Demand of the People of Nuh and His Response

They said: "We do not believe in you, and we will not follow you and become equal to the meanest of the people, who follow you and believe in you, and they are the lowest among us."

قَالُواْ أَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الاٌّرْذَلُونَ - قَالَ وَمَا عِلْمِى بِمَا كَانُواْ يَعْمَلُونَ

(They said: "Shall we believe in you, when the inferior follow you" He said: "And what knowledge have I of what they used to do") meaning, `what does it have to do with me if they follow me No matter what they used to do before, I do not have to check on them and examine their background; all I have to do is accept it if they believe in me; whatever is in their hearts is for Allah to know.'

إِنْ حِسَابُهُمْ إِلاَّ عَلَى رَبِّى لَوْ تَشْعُرُونَ - وَمَآ أَنَاْ بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ

(Their account is only with my Lord, if you could (but) know. And I am not going to drive away the believers.) It seems that they asked him to drive these people away, then they would follow him, but he refused to do that, and said:

وَمَآ أَنَاْ بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ - إِنْ أَنَا إِلاَّ نَذِيرٌ مُّبِينٌ

(And I am not going to drive away the believers. I am only a plain warner.) meaning, `I have been sent as a warner, and whoever obeys me and follows me and believes in me, then he belongs to me and I to him, whether he is noble or common, upper-class or lower-class.'

তাফসীর ইবনে কাছীর 

১০৫-১১০ নং আয়াতের তাফসীর: ভূ-পৃষ্ঠে সর্বপ্রথম যখন মূর্তি-পূজা শুরু হয় এবং জনগণ শয়তানী পথে চলতে শুরু করে তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর স্থির প্রতিজ্ঞ নবীদের ক্রম হযরত নূহ (আঃ)-এর দ্বারা সূচনা করেন। তিনি জনগণকে আল্লাহর শাস্তির ভয় প্রদর্শন করেন। কিন্তু তবুও তারা তাদের দুষ্কর্ম হতে বিরত হলো না। গায়রুল্লাহর ইবাদত তারা পরিত্যাগ করলো না। বরং উল্টোভাবে হযরত নূহ (আঃ)-কেই তারা মিথ্যাবাদী বললো, তাঁর শত্রু হয়ে গেল এবং তাঁকে কষ্ট দিতে থাকলো। হযরত নূহ (আঃ)-কে অবিশ্বাস করার অর্থ যেন সমস্ত নবীকেই অস্বীকার করা। এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “নূহ (আঃ)-এর কওম রাসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল। যখন তাদের ভ্রাতা নূহ (আঃ) তাদেরকে বললো- তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তো তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসল। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আর জেনে রেখো যে, আমি তোমাদের নিকট এর জন্যে কোন প্রতিদান চাই না। আমার পুরস্কার তো শুধু জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। সুতরাং তোমাদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এবং আমার আনুগত্য করা। আমার সত্যবাদিতা, আমার শুভাকাঙ্ক্ষা তোমাদের উপর উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। সাথে সাথে আমার বিশ্বস্ততাও তোমাদের কাছে পূর্ণভাবে প্রকাশমান। 

১১১-১১৫ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত নূহ (আঃ)-এর কওম তাঁর পয়গামের উত্তর দেয় যে, কতকগুলো ইতর শ্রেণীর লোক তাঁর অনুসারী হয়েছে, কাজেই তাঁর অনুসরণ তারা কি করে করতে পারে? তাদের একথার জবাবে আল্লহর নবী হযরত নূহ (আঃ) বলেনঃ আমার এটা দায়িত্ব নয় যে, যে আমার আহ্বানে সাড়া দেবে আমি তার পেশা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। আভ্যন্তরীণ অবস্থার সংবাদ রাখা এবং হিসাব গ্রহণ আল্লাহ তা'আলারই কাজ। বড়ই দুঃখজনক ব্যাপার যে, তোমাদের বুদ্ধিটুকুও নেই! তোমাদের এ চাহিদা পূরণ করা আমার সাধ্যের অতিরিক্ত। তা এই যে, আমার মজলিস হতে আমি মিসকীনদেরকে দূরে সরিয়ে দিই। মুমিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয়। আমি তো শুধুমাত্র একজন স্পষ্ট সতর্ককারী। যে আমাকে মানবে সে-ই আমার লোক। আর যে আমাকে মানবে তার সাথে আমার কোনই সম্পর্ক নেই। যে আমার দাওয়াত কবুল করবে সে আমার এবং আমি তার, সে ইতর হোক বা ভদ্রই হোক এবং ধনী হোক বা দরিদ্রই হোক। 

 

LIFE

আল্লাহর ক্ষমা

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাণী দ্বারা বুঝা যায় যে, সবচেয়ে ভাল মানুষ ঐ ব্যক্তি যে অপরাধ করার পর আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চায়। ক্ষমা প্রার্থনা করা সবচেয়ে বড় ইবাদত। এতে আল্লাহ যত বেশী খুশী হন, অন্য কোন ইবাদতে তিনি তত বেশী খুশী হন না। এজন্য নবী করীম (ছাঃ) দিনে প্রায় সত্তর বারেরও বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। এমর্মে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يَوْمَ لَا يُخْزِي اللهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ نُورُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.

‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা; সম্ভবতঃ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলোকে মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেই দিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর মুমিন বান্দাদেরকে অপদসত্ম করবেন না। তাদের জ্যোতি তাদের সন্মুখে ও ডান পার্শ্বে ধাবিত হবে, তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান করুন। আর আমাদের ক্ষমা করুন। আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান (তাহরীম ৮)।

فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَاللهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوَاكُمْ.

‘সুতরাং তুমি জান যে, আল্লাহ ব্যতীত (সত্য) কোন মা‘বূদ নেই, ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমার জন্য এবং মুমিন নর-নারীদের পাপের জন্য। আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি এবং অবস্থান সম্বন্ধে অবগত আছেন’ (মুহাম্মাদ ১৯)।

قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ.

তখন তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, আপানি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্ততদের অন্ততর্ভুক্ত হব (আ‘রাফ ২৩)।

قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ.

তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আমার নিজের প্রতি যুলুম করেছি। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন! অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (কাছাছ ১৬)।

وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ.

বল, হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, দয়ালুদের মধ্যে আপনিই সবচেয়ে বেশী দয়ালু (মুমিনূন ১১৮)।

এমর্মে হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَوَاللهِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سبعينَ مرَّةً.

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি দিনে ৭০ বারেরও বেশী আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই এবং তাঁর নিকট তওবা করি (বুখারী)।

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِيْ بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ رَجُلٌ قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِيْنَ إِنْسَانًا ثُمَّ خَرَجَ يَسْأَلُ فَأَتَى رَاهِبًا فَسَأَلَهُ فَقَالَ لَهُ هَلْ مِنْ تَوْبَةٍ قَالَ لَا فَقَتَلَهُ فَجَعَلَ يَسْأَلُ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ ائْتِ قَرْيَةَ كَذَا وَكَذَا فَأَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَنَاءَ بِصَدْرِهِ نَحْوَهَا فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ فَأَوْحَى اللهُ إِلَى هَذِهِ أَنْ تَقَرَّبِي وَأَوْحَى اللهُ إِلَى هَذِهِ أَنْ تَبَاعَدِي وَقَالَ قِيسُوا مَا بَيْنَهُمَا فَوُجِدَ إِلَى هَذِهِ أَقْرَبَ بِشِبْرٍ فَغُفِرَ لَهُ-

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘বানী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল যে, নিরানববই জন মানুষকে হত্যা করেছিল। অতঃপর সে ফৎওয়া জিজ্ঞেস করার জন্য বের হল এবং একজন দরবেশের নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করল, এরূপ ব্যক্তির জন্য তওবা আছে কি? তিনি বললেন, নেই। সে তাকেও হত্যা করল এবং বার বার লোকদেরকে জিজ্ঞেস করতে থাকল। এক ব্যক্তি বলল, অমুক গ্রামে যাও, অমুককে জিজ্ঞেস কর। এসময় তার মউত এসে গেল এবং মৃত্যুকালে সে স্বীয় বক্ষকে ঐ গ্রামের দিকে কিছু বাড়িয়ে দিল। অতঃপর রহমতের ফিরিশতা ও আযাবের ফিরিশতা দল পরস্পর ঝগড়া করতে লাগল, কারা তার রূহ নিয়ে যাবে। এসময় আল্লাহ তা‘আলা ঐ গ্রামকে বললেন, তুমি মৃতের নিকট আস আর তার নিজ গ্রামকে বললেন, তুমি দূরে সরে যাও। অতঃপর ফিরিশতাদের বললেন, তোমরা উভয় দিকের দূরত্ব মেপে দেখ। মেপে তাকে এই গ্রামের দিকে এক বিঘত নিকটে পাওয়া গেল। সুতরাং তাকে মাফ করে দেয়া হল’ (বুখারী)।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ الْعَبْدَ إِذَا اعْتَرَفَ ثُمَّ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ-

আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন বান্দা গুনাহ স্বীকার করে এবং অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে ক্ষমা চায় আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন’ (বুখারী)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا، حِيْنَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ، يَقُوْلُ مَنْ يَدْعُوْنِيْ فَأَسْتَجِيْبَ لَهُ، مَنْ يَسْأَلُنِي فَأُعْطِيَهُ، مَنْ يَسْتَغْفِرُنِيْ فَأَغْفِرَ لَهُ-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিপালক তাবারকা ওয়া তা‘আলা প্রত্যেক রাতের তিন ভাগের শেষ ভাগে (এক-তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে) প্রথম আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন কে আমাকে ডাকে, আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আমার কাছে কিছু চায় আমি তাকে তা দিব। কে আমার কাছে ক্ষমা চায় আমি তাকে ক্ষমা করে দিব’ (বুখারী)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ عَبْدًا أَصَاب ذَنْبًا، وَرُبَّمَا قَالَ، أَذْنَبَ ذَنْبًا فَقَالَ: رَبِّ أَذْنَبْتُ وَرُبَّمَا قَالَ: أَصَبْتُ فَاغْفِرْ لِيْ فَقَالَ رَبُّهُ: أَعَلِمَ عَبْدِيْ أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ غَفَرْتُ لِعَبْدِيْ ثُمَّ مَكَثَ مَا شَاءَ اللهُ ثُمَّ أَصَابَ ذَنْبًا، أَوْ أَذْنَبَ ذَنْبًا فَقَالَ: رَبِّ أَذْنَبْتُ، أَوْ أَصَبْتُ آَخَرَ فَاغْفِرْهُ فَقَالَ: أَعَلِمَ عَبْدِيْ أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ، وَيَأْخُذُ بِهِ غَفَرْتُ لِعَبْدِي ثُمَّ مَكَثَ مَا شَاءَ اللهُ ثُمَّ أَذْنَبَ ذَنْبًا وَرُبَّمَا قَالَ: أَصَابَ ذَنْبًا قَالَ: قَالَ رَبِّ أَصَبْتُ أَوْ أَذْنَبْتُ آخَرَ فَاغْفِرْهُ لِيْ فَقَالَ: أَعَلِمَ عَبْدِيْ أَنَّ لَهُ رَبًّا يَغْفِرُ الذَّنْبَ وَيَأْخُذُ بِهِ غَفَرْتُ لِعَبْدِيْ ثَلاَثًا فَلْيَعْمَلْ مَا شَاءَ-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন বান্দা অপরাধ করল এবং বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি অপরাধ করেছি, তুমি তা ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ বলেন, (হে আমার ফিরিশতাগণ!) আমার বান্দা কি জানে যে তার একজন প্রতিপালক আছেন, যিনি অপরাধ ক্ষমা করেন অথবা অপরাধের কারণে শাস্তি দিবেন? (তোমরা সাক্ষী থাক) আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর আল্লাহ যতদিন চাইলেন ততদিন অপরাধ না করে থাকল। আবার অপরাধ করল এবং বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি আবার অপরাধ করেছি, তুমি আমাকে ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা কি জানে যে তার একজন প্রতিপালক আছেন, যিনি অপরাধ ক্ষমা করেন অথবা অপরাধের কারণে শাস্তি দিবেন? আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। অতঃপর সে অপরাধ না করে থাকল যতদিন আল্লাহ চাইলেন। আবার অপরাধ করল এবং বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি আবার আর এক অপরাধ করেছি, তুমি আমাকে ক্ষমা কর। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা কি জানে যে তার একজন প্রতিপালক আছেন, যিনি অপরাধ ক্ষমা করেন অথবা অপরাধের কারণে শাস্তি দেন? আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। সে যা ইচ্ছা করুক’ (বুখারী)।

عن شَدَّادِ بْنِ أَوسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُ الاسْتِغْفَارِ أَنْ يَقُولَ العَبْدُ : اللهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لاَ إلهَ إلاَّ أنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وأبُوْءُ بِذَنْبِيْ، فَاغْفِرْ لِيْ، فَإنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إلاَّ أنْتَ. مَنْ قَالَهَا مِنَ النَّهَارِ مُوْقِناً بِهَا، فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ، فَهُوَ مِنْ أهْلِ الجَنَّةِ، وَمَنْ قَالَهَا مِنَ اللَّيْلِ، وَهُوَ مُوْقِنٌ بِهَا، فَمَاتَ قَبْلَ أنْ يُصْبِحَ، فَهُوَ مِنْ أهْلِ الجَنَّةِ-

শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্ষমা প্রার্থনা করার শ্রেষ্ঠ দো‘আ হল তোমার এরূপ বলা- আল্লাহ তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ব্যতীত কোন মাবূদ নেই, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার বান্দা, আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার চুক্তি ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার কৃতকর্মের মন্দ পরিণাম হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার প্রতি তোমার অনুগ্রহকে আমি স্বীকার করি এবং আমার অপরাধকে স্বীকার করি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত অপরাধ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) বললেন, যে ব্যক্তি এ দো‘আর প্রতি বিশ্বাস রেখে দিনে বলবে আর সন্ধ্যার আগে মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে বিশ্বাস করে রাতে বলবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (বুখারী)।

YOUTH

PRAYING THE PROPHET'S WAY  

I Don't Miss My Prayer

 Have you ever forgotten to take your lunch to school? Have you ever had to miss a meal?

How did your body feel throughout the day without food? You were probably tired, hungry and cranky. You probably also had trouble con­centrating and staying on the right task. All of these things happened because your body missed out on its nourish­ment. However, once you got home and ate something, you probably felt a lot better!

Why do you think that miss­ing that meal makes you feel that way? It is because Allah has created us this way. He created us as human beings who depend upon food and drink. We need food on a reg­ular basis in order to keep our mind and body working prop­erly. The energy that we get from food runs out as we use it, and so we have to eat a few times throughout the day.

Allah has given us the responsibility to take care of our bodies. He has created rules for us to follow so that our bodies work properly. We have to eat, drink, sleep, keep ourselves clean, and so on.

Just as Allah SWT has given us rules to take care of our bodies, He has given us rules to take care of our souls. Taking care of our soul is even more important, because our happiness and success in this life and in the next dependant upon the health of our souls. 

How can you have a healthy soul?

Your rooh, or soul, is a part of you that cannot be seen, But the rooh is the most important part of you, so you should give it the best care. Prayer and other types of worship are the best ways to take care of your soul. If you pray properly and worship Allah with all of your heart, you will have a healthy soul, or rooh. 

Just like our bodies become hungry for food when we don't eat, our souls get hungry for prayer when we don't pray. We usually look forward to our breakfast, lunch and dinner. Just like this, we should look forward to Fajr, Thuhr, Asr, Maghrib, and Isha, because our rooh needs prayer to be healthy.

We should not miss a single prayer. Would we be happy or healthy without eating and drinking? No! We should know that our souls will not be happy or healthy if we do not pray.

Our souls are even more important than our bodies, because our souls will leave our bodies on Earth when we die. Our souls stay with us forever in this life and in the next one. Our souls will be sent to Heaven if we have taken proper care of them.

Prayer: A Main Pillar of Islam

Prayer is the first deed that Allah will ask us about on the Day of Judgment. If we want to go to Jannah, we must be prepared to give Allah a good answer about our prayers. If we have prayed regularly, properly, and on time then Allah will look at our other good deeds. However, if we have missed our prayers a lot and delayed them, then Allah will not pay attention to our other good deeds. This shows just how important salah is 

For example, if you always skip your homework for a class and only do the extra credit, you will not pass the class. You must do your homework in order to to pass the class. Extra credit can only help improve an already good score. Salah is like the expected everyday work which you must do to get a pass to go to Jannah. Other good deeds (like extra credit) can help you achieve a better place in Jannah.

Because salah is so impor­tant for us to get into Paradise, it is considered Fard, or mandatory. This means that if we pray all our prayers on time, we will be rewarded. But it also means that if we do not pray or pray late, then Allah will be dis­pleased and we will have earned a punishment for this bad behavior.

What other good things come from prayer?

We know that prayer keeps our souls healthy. It also keeps us close to Allah SWT and makes Him happy with us. If Allah is happy with us, He will give us blessings in this life, and He will be merciful with us on the Day of Judgment. Our prayers are our Connection with Allah. No one can love us more than Allah, and no one is closer to us than Allah.

The more we pray to Allah and make an effort to connect with Him through prayer, the closer and better our relation­ship will be. The closer we are to Allah, the happier and more successful our lives will be.

When we pray properly, we also show our love for the Prophet Muhammad (S). This will bring us closer to Rasoolullah on the Day of Judgment and in Jannah, inshaAllah.

Prayer is more important for the soul than food is for the body. Food just gives our bodies nutrition and energy, but praying gives our souls energy, and it keeps our souls pure! Pure souls encourage us to continually do good deeds. This gives us happiness in this life, as well as in the next life.

We do not want to miss out on any of these great things!

What happens if we ignore our prayers?

Missing prayers is a very bad thing in 'Islam. We should not miss our prayers, even if we are traveling or if we are sick. If we do not pray and do not believe that prayer is obligatory, then we are in danger of leaving Islam.

Now we know that we should never miss prayer for the following reasons:

How can we keep track of our prayers?

Questions