1443H Week-41

Friday, 20 May 2022

 

 

QURAN

Ash-Shu'ara | The Poets | Verse 60-68

26:60

فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ ٦٠

So they pursued them at sunrise.

— Saheeh International

তারা সূর্যোদয় কালে তাদের পশ্চাতে এসে পড়ল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:61

فَلَمَّا تَرَٰٓءَا ٱلْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَـٰبُ مُوسَىٰٓ إِنَّا لَمُدْرَكُونَ ٦١

And when the two companies saw one another, the companions of Moses said, "Indeed, we are to be overtaken!"

— Saheeh International

অতঃপর যখন দু’ দল পরস্পরকে দেখল তখন মূসার সঙ্গীরা বললঃ আমরাতো ধরা পড়ে যাচ্ছি!

— Sheikh Mujibur Rahman


26:62

قَالَ كَلَّآ ۖ إِنَّ مَعِىَ رَبِّى سَيَهْدِينِ ٦٢

[Moses] said, "No! Indeed, with me is my Lord; He will guide me."

— Saheeh International

মূসা বললঃ কক্ষণই নয়। আমার সঙ্গে আছেন আমার রাব্ব; সত্ত্বর তিনি আমাকে পথ নির্দেশ করবেন।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:63

فَأَوْحَيْنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱضْرِب بِّعَصَاكَ ٱلْبَحْرَ ۖ فَٱنفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍۢ كَٱلطَّوْدِ ٱلْعَظِيمِ ٦٣

Then We inspired to Moses, "Strike with your staff the sea," and it parted, and each portion was like a great towering mountain.

— Saheeh International

অতঃপর আমি মূসার প্রতি অহী করলামঃ তোমার লাঠি দ্বারা সমুদ্রে আঘাত কর, ফলে তা বিভক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বত সদৃশ হয়ে গেল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:64

وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ ٱلْـَٔاخَرِينَ ٦٤

And We advanced thereto the others [i.e., the pursuers].

— Saheeh International

আমি সেখানে উপনীত করলাম অপর দলটিকে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:65

وَأَنجَيْنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُۥٓ أَجْمَعِينَ ٦٥


And We saved Moses and those with him, all together.

— Saheeh International

এবং আমি উদ্ধার করলাম মূসা ও তার সঙ্গী সকলকে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:66

ثُمَّ أَغْرَقْنَا ٱلْـَٔاخَرِينَ ٦٦

Then We drowned the others.

— Saheeh International

অতঃপর নিমজ্জিত করলাম অপর দলটিকে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:67

إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَـَٔايَةًۭ ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ ٦٧

Indeed in that is a sign, but most of them were not to be believers.

— Saheeh International

এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই মু’মিন নয়।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:68

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٦٨

And indeed, your Lord - He is the Exalted in Might, the Merciful.

— Saheeh International

এবং তোমার রাব্ব - তিনিতো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

Fir`awn's Pursuit and Expulsion of the Children of Israel, and how He and His People were drowned

More than one of the scholars of Tafsir said that Fir`awn set out with a huge group, a group containing the leaders and entire government of Egypt at that time, i.e., the decision-makers and influential figures, princes, ministers, nobles, leaders and soldiers.

فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ

(So, they pursued them at sunrise.) means, they caught up with the Children of Israel at sunrise.

فَلَمَّا تَرَآءَا الْجَمْعَانِ

(And when the two hosts saw each other,) means, each group saw the other. At that point,

قَالَ أَصْحَـبُ مُوسَى إِنَّا لَمُدْرَكُونَ

(the companions of Musa said: "We are sure to be overtaken.") This was because Fir`awn and his people caught up with them on the shores of the Red Sea, so the sea was ahead of them and Fir`awn and his troops were behind them. Hence they said:

فَلَمَّا تَرَآءَا الْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَـبُ مُوسَى إِنَّا لَمُدْرَكُونَ - قَالَ كَلاَّ إِنَّ مَعِىَ رَبِّى سَيَهْدِينِ

("We are sure to be overtaken." (Musa) said: "Nay, verily with me is my Lord. He will guide me.") meaning, `nothing of what you fear will happen to you, for Allah is the One Who commanded me to bring you here, and He does not go back on His promise.' Harun, peace be upon him, was in the front, with Yusha` bin Nun and a believer from the family of Fir`awn, and Musa, peace be upon him, was in the rear. More than one of the scholars of Tafsir said that they stood there not knowing what to do, and Yusha` bin Nun or the believer from the family of Fir`awn said to Musa, peace be upon him, "O Prophet of Allah, is it here that your Lord commanded you to bring us" He said: "Yes." Then Fir`awn and his troops drew near and were very close indeed. At that point Allah commanded his Prophet Musa, peace be upon him, to strike the sea with his staff, so he struck it, and it parted, by the will of Allah. Allah says:

فَانفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ

(And it parted, and each separate part became like huge mountain.) meaning, like mighty mountains. This was the view of Ibn Mas`ud, Ibn `Abbas, Muhammad bin Ka`b, Ad-Dahhak, Qatadah and others. `Ata' Al-Khurasani said, "It refers to a pass between two mountains." Ibn `Abbas said, "The sea divided into twelve paths, one for each of the tribes." As-Suddi added, "And in it there were windows through which they could see one another, and the water was erected like walls." Allah sent the wind to the sea bed to make it solid like the land. Allah says:

فَاضْرِبْ لَهُمْ طَرِيقاً فِى الْبَحْرِ يَبَساً لاَّ تَخَافُ دَرَكاً وَلاَ تَخْشَى

(and strike a dry path for them in the sea, fearing neither to be overtaken nor being afraid) (20:77). And here He says:

وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ الاٌّخَرِينَ

(Then We brought near the others to that place.) Ibn `Abbas, `Ata' Al-Khurasani, Qatadah and As-Suddi said:

وَأَزْلَفْنَا

(Then We brought near) means, "We brought Fir`awn and his troops near to the sea."

وَأَنجَيْنَا مُوسَى وَمَن مَّعَهُ أَجْمَعِينَ - ثُمَّ أَغْرَقْنَا الاٌّخَرِينَ

(And We saved Musa and all those with him. Then We drowned the others.) meaning: `We saved Musa and the Children of Israel and whoever followed their religion, and none of them were destroyed, but Fir`awn and his troops were drowned and not one of them remained alive, but was destroyed.' Then Allah says:

إِنَّ فِى ذَلِكَ لآيَةً

(Verily, in this is indeed a sign,) meaning, this story with its wonders and tales of aid to the believing servants of Allah is definitive proof and evidence of Allah's wisdom.

إِنَّ فِي ذَلِكَ لأَيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُّؤْمِنِينَ - وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ

(yet most of them are not believers. And verily your Lord, He is truly the All-Mighty, the Most Merciful. ) The explanation of this phrase has already been discussed above.

তাফসীর ইবনে কাছীর 

৬০-৬৮ নং আয়াতের তাফসীর: ফিরাউন তার সমস্ত লোক-লশকর, সমস্ত প্রজা এবং মিসরের ভিতরের ও মিসরের বাইরের লোক, নিজস্ব লোক ও নিজের কওমের লোকদেরকে নিয়ে বড়ই আড়ম্বর ও জাঁকজমকের সাথে বানী ইসরাঈলের লোকদেরকে তচনচ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেল। কেউ কেউ বলেন যে, তাদের সংখ্যা লক্ষাধিক ছিল। তাদের মধ্যে এক লক্ষ তো শুধু কালো রঙের ঘোড়ার উপর সওয়ার ছিল। এটা হলো আহলে কিতাবের খবর, যে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ রয়েছে। হযরত কাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, আট লক্ষ লোক এরূপ ঘোড়ার উপর সওয়ার ছিল। আমাদের ধারণা তো এই যে, এসব হলো বানী ইসরাঈলেরঅতিরঞ্জিত কথা। কুরআন কারীমে এটুকু রয়েছে যে, ফিরাউন তার গোটা দল নিয়ে রওয়ানা হয়েছিল। তাদের সংখ্যা বর্ণনা করা হয়নি। এটা জেনে আমাদের কোন লাভও নেই।সূর্য উদয়ের সময় ফিরাউন তার দলবলসহ বানী ইসরাঈলের নিকট পৌঁছে যায়। কাফিররা মুমিনদেরকে এবং মুমিনরা কাফিরদেরকে দেখতে পায়। 

হঠাৎ হযরত মূসা (আঃ)-এর সঙ্গীদের মুখ দিয়ে বেরিয়ে পড়েঃ “হে মূসা (আঃ)! বলুন, এখন উপায় কি? আমরা তো ধরা পড়ে যাবো। সামনে রয়েছে লোহিত সাগর এবং পিছনে রয়েছে ফিরাউনের অসংখ্য সৈন্য। কাজেই আমাদের এখন উভয় সংকট!” এটা স্পষ্ট কথা যে, নবী ও গায়ের নবী কখনো সমান হয় না। হযরত মূসা (আঃ) অত্যন্ত শান্ত মনে জবাব দিলেনঃ “ভয়ের কোন কারণ নেই। তোমাদের উপর কোন বিপদ আসতে পারে না। আমি নিজের ইচ্ছায় তোমাদেরকে নিয়ে বের হইনি, বরং আহকামুল হাকিমীন আল্লাহর নির্দেশক্রমে বের হয়েছি। তিনি কখনো ওয়াদা খেলাফ করেন না। তাদের অগ্রভাগে ছিলেন হযরত হারূন (আঃ)! তার সাথেই হযরত ইউশা ইবনে নূন ছিলেন অথবা ফিরাউনের বংশের কোন একজন মুমিন লোক ছিল। আর হযরত মূসা (আঃ) সেনাবাহিনীর শেষাংশে ছিলেন। ভয় ও পথ না পাওয়ার কারণে বানী ইসরাঈলের স্বাই হতবুদ্ধি হয়ে থমকে দাঁড়ায় এবং উদ্বেগের সাথে হযরত মূসা (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করেঃ “এই পথে চলারই কি আল্লাহর নির্দেশ ছিল?” তিনি উত্তরে বলেনঃ “হ। ইতিমধ্যে ফিরাউনের সেনাবাহিনী তাদের একেবারে মাথার মছেই এসে পড়ে। তৎক্ষণাৎ হযরত মূসা (আঃ)-এর নিকট আল্লাহর অহী আসেঃ “হে মূসা (আঃ)! তোমার লাঠি দ্বারা তুমি সমুদ্রে আঘাত কর। তারপর আমার ক্ষমতার নিদর্শন দেখে নাও। তিনি তখন সমুদ্রে তাঁর লাঠি দ্বারা আঘাত লেন। 

আঘাত করা মাত্রই আল্লাহর নির্দেশক্রমে পানি ফেটে গেল। ঐ উদ্বেগের অবস্থায় তিনি নিম্নরূপ দু'আ করেন যা মুসনাদে ইবনে আবি হাতিমে নিম্নের ভাষায় বর্ণিত আছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে ঐ সত্তা যিনি প্রত্যেক জিনিসের পূর্বে ছিলেন এবং প্রত্যেক জিনিসের পরে থাকবেন, আমাদের জন্যে বের হওয়ার স্থান তৈরী করে দিন।হযরত মূসা (আঃ)-এর মুখে এ দু'আ উচ্চারিত হওয়া মাত্রই তার উপর সমুদ্রে লাঠি মারার অহী এসে পড়ে। হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, ঐ রাত্রে আল্লাহ তা'আলা পূর্বেই সমুদ্রের প্রতি অহী করেছিলেনঃ “আমার নবী মূসা (আঃ) যখন আসবে এবং তোমার উপর তার লাঠি দ্বারা আঘাত করবে তখন তুমি তার কথা শুনবে ও মানবে।” ঐ রাত্রে সমুদ্রের অবস্থা ছিল অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। সমুদ্র এদিক-ওদিক তরঙ্গায়িত হচ্ছিল যে, না জানি হযরত মূসা (আঃ) কখন এবং কোন দিক হতে লাঠি মারবেন এবং সে হয়তো খবর রাখবে না ও তার নির্দেশ পালন করতে পারবে। যখন তারা একেবারে তীরে পৌঁছে যান তখন তাঁর সঙ্গী হযরত ইউশা ইবনে নন (আঃ) বলেনঃ “হে আল্লাহর নবী (আঃ)! আপনার উপর আল্লাহ তাআলার কি নির্দেশ রয়েছে?” 

উত্তরে তিনি বলেনঃ “আমার উপর এই নির্দেশ রয়েছে যে, আমি যেন সমুদ্রের উপর আমার লাঠি দ্বারা আঘাত করি।” হযরত ইউশা (আঃ) তখন বলেনঃ “তাহলে আর বিলম্ব কেন?” তার এ কথা শুনে হযরত মূসা (আঃ) সমুদ্রে লাঠি দ্বারা আঘাত করেন এবং বলেনঃ “আল্লাহর হুকুমে তুমি ফেটে যাও এবং আমার জন্যে রাস্তা করে দাও।” তৎক্ষণাৎ সমুদ্র ফেটে যায় এবং ওর মধ্য দিয়ে পরিষ্কারভাবে রাস্তা দেখা যায়। ওর আশে পাশে পাহাড়ের মত হয়ে পানি খাড়া হয়ে যায়। তাতে বারোটি পথ বের হয়। বানী ইসরাঈলও বারোটি গোত্রেই বিভক্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহর কুদরতে প্রতি দু'দলের মাঝে যে পাহাড় প্রতিবন্ধকরূপে ছিল তাতে তাক বা খিলান নির্মিত হয়ে যায়, যাতে প্রত্যেকে একে অপরকে নিরাপদে আসতে যেতে দেখতে পায়। পানি প্রাচীরের মত হয়ে যায়। আর বাতাসকে নির্দেশ দেয়া হয় যে, সে যেন মধ্য থেকে পানি ও মাটিকে শুকিয়ে দিয়ে পথ পরিষ্কার করে দেয়। সুতরাং ঐ শুষ্ক পথ ধরে হযরত মূসা (আঃ) তাঁর কওমসহ নির্ভয়ে চলতে শুরু করেন। তারপর ফিরাউন ও তার দলবলকে সমুদ্রের নিকটবর্তী করে দেয়া হয়। অতঃপর হযরত মূসা (আঃ) ও বানী ইসরাঈলকে মুক্তি দেয়া হয়। পক্ষান্তরে কাফিরদের সবাই ধ্বংস হয়ে যায়। 

তাদের একজনও ডুবে যাওয়া হতে রেহাই পায়নি।হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন যে, ফিরাউন যখন বানী ইসরাঈলের পলায়নের খবর জানতে পারে তখন সে একটি বকরী যবাহ করে এবং বলেঃ “এর চামড়া ছাড়িয়ে নেয়ার পূর্বেই আমার সামনে ছয় লক্ষ সৈন্য জমা হওয়া চাই।" হযরত মূসা (আঃ) পালিয়ে গিয়ে যখন সমুদ্রের ধারে পৌঁছেন তখন তিনি সমুদ্রকে বলেনঃ “তুমি ফেটে যাও এবং সরে গিয়ে আমাদের জন্যে জায়গা করে দাও।” সমুদ্র উত্তরে বলেঃ “আপনি যে অহংকারের ভঙ্গীতে কথা বলছেন! ইতিপূর্বে কি আমি কখনো ফেটেছি ও সরে গিয়ে কোন মানুষকে জায়গা করে দিয়েছে যে, আপনাকে জায়গা করে দেবো?” তার সাথে যে বুর্গ ব্যক্তিটি ছিলেন তিনি তাঁকে বললেনঃ “হে আল্লাহর নবী (আঃ)! এটাই কি আল্লাহর বলে দেয়া রাস্তা ও জায়গা?” জবাবে তিনি বলেনঃ “হ্যা, এটাই।” তখন ঐ বুযর্গ লোকটি বললেনঃ “আপনি মিথ্যাবাদীও নন এবং আপনাকে ভুল কথাও বলা হয়নি।” হযরত মূসা (আঃ) দ্বিতীয়বারও সমুদ্রকে ঐ কথাই বললেন, কিন্তু তখনো কিছুই হলো না। ঐ বুযর্গ লোকটি পুনরায় ঐ একই প্রশ্ন করেন, একই জবাব পান এবং তিনি আবার ঐ একই কথা বলেন। 

তৎক্ষণাৎ তাঁর উপর অহী করা হয়ঃ “সমুদ্রের উপর তুমি তোমার লাঠি দ্বারা আঘাত কর।” এবার তার একথা স্মরণ হয়ে যায় এবং তিনি সমুদ্রের উপর লাঠির আঘাত করেন। আঘাত করা মাত্রই সমুদ্র রাস্তা করে দেয়। বারোটি রাস্তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। প্রত্যেক দল নিজ নিজ রাস্তা চিনে নেয়। তারপর তারা নিজ নিজ পথ ধরে চলতে থাকে এবং একে অপরকে দেখতে দেখতে নিরাপদে সবাই পার হয়ে যায়।হযরত মূসা (আঃ) তো বানী ইসরাঈলকে নিয়ে সমুদ্র অতিক্রম করলেন, আর ওদিকে ফিরাউন ও তার লোক-লশকর তাদের পশ্চাদ্ধাবনে সমুদ্রের মধ্যে এসে পড়লো। হঠাৎ আল্লাহর নির্দেশক্রমে সমুদ্রের পানি যেমন ছিল তেমনই হয়ে গেল এবং তারা সবাই পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেল। যখন বানী ইসরাঈলের শেষ ব্যক্তি সমুদ্র হতে বের হলো এবং সর্বশেষ কিতী সমুদ্রের মধ্যে এসে পড়লো, ঠিক ঐ সময় আল্লাহ পাকের হুকুমে সমুদ্রের পানি এক হয়ে গেল এবং এক এক করে সমস্ত কিবতী পানিতে নিমজ্জিত হলো। এতে বড় রকমের নিদর্শন রয়েছে যে, কিভাবে গুনাহগার ধ্বংস হয় এবং নেককার পরিত্রাণ পায়। কিন্তু তথাপিও অধিকাংশ লোক ঈমানরূপ সম্পদ হতে বঞ্চিত হয়। তাই মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তোমার প্রতিপালক তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। 

 

ALLAH

Al-Mujeeb

Al-Mujeeb

Meaning: Allah favourably responds to the supplications and requests of His slaves. He answers their supplications and grants their requests.

Occurrence: Once.

11:61

 وَإِلَىٰ ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَـٰلِحًا ۚ قَالَ يَـٰقَوْمِ ٱعْبُدُوا۟ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنْ إِلَـٰهٍ غَيْرُهُۥ ۖ هُوَ أَنشَأَكُم مِّنَ ٱلْأَرْضِ وَٱسْتَعْمَرَكُمْ فِيهَا فَٱسْتَغْفِرُوهُ ثُمَّ تُوبُوٓا۟ إِلَيْهِ ۚ إِنَّ رَبِّى قَرِيبٌ مُّجِيبٌ

And to Thamūd [We sent] their brother Ṣāliḥ. He said, "O my people, worship Allāh; you have no deity other than Him. He has produced you from the earth and settled you in it, so ask forgiveness of Him and then repent to Him. Indeed, my Lord is near and responsive."

— Saheeh International

আর আমি সামূদ(সম্প্রদায়) এর নিকট তাদের ভাই সালিহকে নাবী রূপে প্রেরণ করলাম। সে বললঃ হে আমার কাওম! তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর, তিনি ছাড়া কেহ তোমাদের মা‘বূদ নেই, তিনি তোমাদেরকে যমীন হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে তাতে আবাদ করেছেন। অতএব তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর মনোনিবেশ কর তাঁরই দিকে; নিশ্চয়ই আমার রাব্ব নিকটে রয়েছেন এবং তিনি আবেদন গ্রহণকারী

— Sheikh Mujibur Rahman

How Can You Live By This Name

1.      Respond to the call of Al-Mujeeb.

Al-Mujeeb says: When my servants ask thee concerning Me I am indeed close (to them); I listen to the prayer of every suppliant when he calls on Me; let them also with a will listen to My call and believe in Me; that they may walk in the right way. (Quran 2:186) Your share in this Name is that you are responsive to the commandments of Al-Mujeeb!

2.      Know the art of asking.

Ask for His forgiveness before you ask for anything, as was the formula of the Prophet Yunus ‘alayhi sallam when he desperately needed his supplication to be answered to be saved from the belly of the whale. Ask Al-Mujeeb for everything (halal) you wish in the Hereafter but also in this world. He loves it that you ask Him for everything you need in your deen and dunya (worldy matters). Ask him for clothing, a house to live in, food, drink, guidance, success etc.

3.      Think good of Al-Mujeeb.

Al-Mujeeb does not disappoint a believer who calls upon Him, however don’t be hasty as His delay is not His denial. The answer to your dua’ might come in a different form or time you wanted or expected. Made under the right circumstances – such as not earning haram income when asking Him or asking Him for something haram, like cutting of family ties – Al-Mujeeb responds to your dua, postpones it or prevents something bad from happening.

4. Do good to strive for your prayers being answered.

Do as many good deeds as you can, check yourself in having a balance of hope as well as fear and be humble and not arrogant in your relationship with Allah and in your dealings with others. Al-Mujeeb says about responding to the request of Zakariyyah: Indeed, they used to hasten to good deeds and supplicate Us in hope and fear, and they were to Us humbly submissive. (Quran 21:89-90)

5. Respond to the servants of Al-Mujeeb.

Be of those who don’t just respond to the plight of those in need but of those who also actively look themselves for those who are in need of support. Have an active attitude in relation to the requests of the environment you live in and of the Ummah as a whole!

YOUTH

PROPHET MUHAMMAD IN MADINAH 

Al-Hijrah From Makkah To Madinah

The Quraysh try to Kill Prophet Muhammad

While the Quraysh were try­ing to kill the Prophet (S), he was already in the desert escaping. Very few people knew that the Prophet (S) would be leaving Makkah that night. One of these people was a special lady named Asmaa' Bint Abi Bakr. She was the daughter of Muhammad's best friend, Abu Bakr. She kept the secret of Muhammad's plan safe, and she helped them prepare for the journey out of Makkah.

Asmaa' prepared food and water for Muhammad's journey. She put the food and the water in containers, but she had a problem. There was nothing to tie the containers with!

She decided that she would use her nitaq, or waistband, to tie the containers.

She tore it in two pieces and tied each container. To Asmaa' food and drink for the Prophet (S) was more important than her own clothing. She loved the Prophet, just like `Ali did. Muhammad (S) was very pleased with Asmaa's generos­ity, and she earned the name "She of the Two Waistbands."

The Prophet Leaves Makkah

The Prophet's journey across the desert from Makkah to Yathrib was called Al-Hijrah. Al-Hijrah is the migra­tion of the Prophet and the early Muslims from Makkah to Yathrib (Madinah). Asmaa' had done everything she could to make this journey easier for the Prophet and her father. Abu Bakr was Muhammad's companion on the Hijrah. Asmaa' was wor­ried about them both.

The Quraysh had found out that Muhammad (S) had left Makkah with Abu Bakr, and they still wanted to kill the Prophet (S). They sent out several people into the desert to find Muhammad.

They Hide in Ghar Thawr

The Prophet and Abu-Bakr knew that the Quraysh would come after them. The desert was spread out like a blanket, and there weren't many places to hide. Therefore, they went to a cave called Ghar Thawr, south of Makkah. They crawled into it and hid there for three nights. They wanted to wait until the Quraysh stopped searching for them. It was a small cave and it barely fit both men. The Quraysh people would defi­nitely check in this cave when they saw it, but Muhammad and Abu Bakr had no other choice. They trusted that Allah would save them.

Asmaa' was scared for the Prophet (S) and Abu Bakr. She made du'aa that Allah would keep Muhammad and Abu Bakr (r) safe on the journey. Allah listened to her du' aa.

A group of people was searching for Muhammad (S), and they came near Ghar Thawr. "He must be in there," they thought. They went closer to the cave. They got nearer and saw that a big spi­der's web covered the entrance to the cave. Abu Bakr became very scared. He whispered to the Prophet, "If they look inside the cave they will see us!"

Rasollullah was very calm. He said to Abu Bakr, "Do not be worried. Allah will protect us."

Meanwhile, in Makkah, Abu Jahl came to the house of Abu Bakr. He found Asrnaa' and Aishah there. Abu Jahl asked Asmaa', "Where is your father?" "I don't know," she answered. Abu Jahl became very angry and slapped Asmaa' on her face so hard that her earrings fell out.

The Way to Yathrib

The Kuffar left the cave and went in another direction to find Muhammad (S). They didn't know that Abu Bakr's feet had been only inches away from them!

After the people who were searching for the Prophet had left, Muhammad (S) and Abu Bakr continued their jour­ney to Makkah. They were quick and careful, but it was tiring for both of them. They traveled and traveled, and they hoped that Allah would keep the Quraysh away from them.

Miracles Along the Way

The Story of Suraqah

While the Prophet and Abu Bakr were escaping Makkah, a man from the Quraysh spotted them. This man was Suraqah Ibn Malik. When he saw the Prophet and his companion, he became very happy. He became excited with the thought that he would easily capture the Prophet and win the prize. He started to run towards him. Suddenly, Allah made his horse's feet sink into the sand. Suraqah fell down, but he tried again. This time, he came very close to the Prophet (S). Again, the horse sank more deeply in the sand and Suraqah fell down.

He realized that something powerful was stopping him from getting to the Prophet Muhammad (S) and his companions. As he had fallen, Muhammad (S) came to him. Suraqah begged him not to hurt him. Rasoolultah said, "Go back to where you came from, and I promise to get you golden bracelets from the Empire of Persia." Suraqah did not realize what the Prophet had promised, but he left any­way. He just wanted to get back to Makkah alive.

The Story of Ummu Ma'bad

On their way, Prophet Muhammad (S) and Abu Bakr grew very tired, hungry, and thirsty. Soon, they passed by a family living in the desert. Abu Bakr asked them for milk, and a lady came out and said that her goats were weak and would not produce milk. This lady's name was Ummu Ma'bad. Upon hearing about the goats, Prophet Muhammad (S) asked Umm Ma'bad's permission to milk the goats himself. She agreed. Now Rasoolullah wiped one goat with his blessed hand and said, "Bismillah." 

The goat started to give milk! Ummu Ma'bad was astonished and could not believe her eyes. Rasoolullah offered her the milk, and she drank first. 

Then Abu Bakr and the guide, Abdullah, drank the milk. Prophet Muhammad (S) was the last to drink. He milked the goat again, filled Umrnu Ma'bad's container, and gave it to her. Then, the Prophet and his companions left.

Omar Ibn Al Khattab Challenges the Quraysh

There was a man in Makkah who was also about to make the journey to Madinah. His name was Omar Ibn Al Khattab. He was one of the Prophet's most favored com­panions. There was something special about him. He was very strong, and he was not afraid of anyone except Allah. Even though the people of the Quraysh were torturing and killing the people, he did not back down. He was going to Madinah, and he told this to the people loudly. He chal­lenged them to stop him. He said, "Anyone who would like to get killed can dare to fol­low me." He was a very strong man, and no one from the Quraysh dared to stop Omar. He was a very brave Muslim.

Muslims in Yathrib Waiting for The Prophet

Just like Asmaa', the peo­ple in Yathrib were anxious about the Prophet's arrival. All the people of the city were excited to meet the Prophet (S), but worried something bad might happen to him. They all waited at the edge of the city for some sign that the Prophet (S) was coming. They climbed up the walls of buildings, they climbed up the tall palm trees, they climbed up on their camels, and they crowd­ed the city entrance. They were trying to get a good view of the desert.

Rasoolullah Arrives in Yathrib

The sun was shining very brightly in the blue sky. It was a beautiful day, but also very hot. The people did not care. They just wanted to see the Prophet (S). Suddenly, someone saw a tiny, dark speck, far away in the desert. "I see him! I see him!" the man shouted. He was extremely excited to see the Prophet safe and sound. He was so close!

Everyone in Madinah cheered and sang. They beat drums and shouted with hap­piness. As the Prophet (S) drew nearer, he heard echoes of their welcome. Rasoolullah (S) smiled. He had reached his new home, Yathrib.

The city's name was changed once the Prophet arrived, from Yathrib to Al-Madinah Al-Munawwarah, or The City of Light.

When the Prophet arrived in Madinah, the people sang the famous song "Tala'al Badru `Alayna"

While Muhammad and Abu Bakr were reaching Madinah, the last groups of Muslims began their journey to Madinah. All the people that went on the trip from Makkah to Madinah, including Muhammad (S),  Abu Bakr (R), and `Omar (R) were called "At-Muhajireen." The people of Madinah who sup­ported the Prophet and the Makkan Muslims were called "Al-Ansar," or "The Supporters."

Asmaa' (R) went with one of the last groups. She was pregnant, but this did not stop her from going with the group. Her faith was strong, and she knew Allah would give her strength, even though it would be a very difficult journey. The desert was dry and hot. As soon as the Muslims came close to Madinah, Asmaa' gave birth to a baby boy. All the Muslims shouted "Allahu Akbar!" This was the first baby born to the Muhajiroon in Madinah.

Questions