1443H Week-40

Friday, 13 May 2022

 

 

QURAN

Ash-Shu'ara | The Poets | Verse 52-59


26:52

۞ وَأَوْحَيْنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِىٓ إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ ٥٢

And We inspired to Moses, "Travel by night with My servants; indeed, you will be pursued."

— Saheeh International

আমি মূসার প্রতি অহী করেছিলাম এই মর্মেঃ আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাতে বহির্গত হও; তোমাদেরতো পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:53

فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِى ٱلْمَدَآئِنِ حَـٰشِرِينَ ٥٣

Then Pharaoh sent among the cities gatherers

— Saheeh International

অতঃপর ফির‘আউন শহরে শহরে লোক সংগ্রহকারী পাঠাল –

— Sheikh Mujibur Rahman


26:54

إِنَّ هَـٰٓؤُلَآءِ لَشِرْذِمَةٌۭ قَلِيلُونَ ٥٤

[And said], "Indeed, those are but a small band,

— Saheeh International

এই বলেঃ এরাতো ক্ষুদ্র একটি দল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:55

وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَآئِظُونَ ٥٥


And indeed, they are enraging us,

— Saheeh International

এবং তারা আমাদের ক্রোধের সৃষ্টি করেছে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:56

وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَـٰذِرُونَ ٥٦

And indeed, we are a cautious society..."

— Saheeh International

এবং আমরাতো সদা সতর্ক একটি দল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:57

فَأَخْرَجْنَـٰهُم مِّن جَنَّـٰتٍۢ وَعُيُونٍۢ ٥٧

So We removed them from gardens and springs

— Saheeh International

পরিণামে আমি ফির‘আউন গোষ্ঠিকে বহিস্কৃত করলাম তাদের উদ্যানরাজি ও প্রস্রবণ হতে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:58

وَكُنُوزٍۢ وَمَقَامٍۢ كَرِيمٍۢ ٥٨

And treasures and honorable station -

— Saheeh International

এবং ধন ভান্ডার ও সুরম্য সৌধমালা হতে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:59

كَذَٰلِكَ وَأَوْرَثْنَـٰهَا بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٥٩

Thus. And We caused to inherit it the Children of Israel.

— Saheeh International

এরূপই ঘটেছিল এবং বানী ইসরাঈলকে আমি করেছিলাম এ সমুদয়ের অধিকারী।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

The Exodus of the Children of Israel from Egypt

After Musa stayed in Egypt for a long time, and the proof of Allah was established against Fir`awn and his chiefs, yet they were still arrogant and stubborn, then there was nothing left for them but punishment and vengeance. So Allah commanded Musa, peace be upon him, to take the Children of Israel out of Egypt by night, and take them wherever he would be commanded. So Musa, peace be upon him, did as he was commanded by his Lord, may He be glorified, and he led them forth after they had borrowed an abundance of jewelry from the people of Fir`awn. As more than one of the scholars of Tafsir have said, they left when the moon was rising, and Mujahid, may Allah have mercy on him, said that the moon was eclipsed that night. And Allah knows best. Musa asked about the grave of Yusuf (Prophet Joseph), peace be upon him, and an old woman from among the Children of Israel showed him where it was, so he took the remains with them, and it was said that they were among the things that were carried by Musa himself, may peace be upon them both. It was also said that Yusuf, peace be upon him, had left instructions in his will that if the Children of Israel ever left Egypt, they should take his remains with them. The following morning, when there was nobody to be found in the Israelite quarters, Fir`awn became angry and his anger intensified since Allah had decreed that he was to be destroyed. So he quickly sent his callers to all his cities, i.e., to mobilize his troops and bring them together, and he called out to them:

إِنَّ هَـؤُلآءِ

(Verily, these) meaning, the Children of Israel,

لَشِرْذِمَةٌ قَلِيلُونَ

(indeed are but a small band. ) meaning, a small group.

وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَآئِظُونَ

(And verily, they have done what has enraged us.) means, `every time we have heard anything about them, it has upset us and made us angry.'

وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَـذِرُونَ

(But we are a host all assembled, amply forewarned.) means, `we are constantly taking precautions lest they betray us.' Some of the Salaf read this with the meaning, "we are constantly forewarned and forearmed. And I want to destroy them to the last man, and destroy all their lands and property." So he and his troops were punished with the very things he sought to inflict upon the Children of Israel. Allah says:

فَأَخْرَجْنَـهُمْ مِّن جَنَّـتٍ وَعُيُونٍ - وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ

(So, We expelled them from gardens and springs, treasures, and every kind of honorable place.) meaning, they were thrown out of those blessings and into Hell, and they left behind the honorable places, gardens and rivers, wealth, provision, position and power in this world:

كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَـهَا بَنِى إِسْرَءِيلَ

(Thus and We caused the Children of Israel to inherit them.) This is like the Ayat:

وَأَوْرَثْنَا الْقَوْمَ الَّذِينَ كَانُواْ يُسْتَضْعَفُونَ مَشَـرِقَ الاٌّرْضِ وَمَغَـرِبَهَا الَّتِى بَارَكْنَا فِيهَا

(And We made the people who were considered weak to inherit the eastern parts of the land and the western parts thereof which We have blessed) (7: 137).

وَنُرِيدُ أَن نَّمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُواْ فِى الاٌّرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ

(And We wished to do a favor to those who were weak in the land, and to make them rulers and to make them the inheritors) The two Ayat thereafter: 28:5-6.

তাফসীর ইবনে কাছীর 

৫২-৫৯ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত মূসা (আঃ) তাঁর নবুওয়াতের বহু যুগ ফিরাউন ও তার লোকদের মধ্যে কাটিয়ে দেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার নিদর্শনাবলী ও দলীল প্রমাণাদি তাদের উপর খুলে দেন। কিন্তু তবুও তাদের মাথা নীচু হলো না, অহংকার কমলো না এবং বদদেমাগীর মধ্যে কোনই পার্থক্য দেখা দিলো না। অতঃপর তাদের অবস্থা এমন স্তরে পৌঁছে গেল যে, তাদের উপর আল্লাহর আযাব এসে পড়ার আর কিছুই বাকী থাকলো না। এমতাবস্থার মহান আল্লাহ হযরত মূসা (আঃ)-এর উপর অহী করলেনঃ “আমার নির্দেশ মোতাবেক তুমি বানী ইসরাঈলকে নিয়ে রাতারাতি মিসর হতে বেরিয়ে পড়।” এই সময় বানী ইসরাঈল কিবতীদের নিকট হতে বহু অলংকার ধার স্বরূপ গ্রহণ করে এবং চাঁদ ওঠার সময় তারা চুপচাপ মিসর হতে প্রস্থান করে। মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, ঐ রাত্রে চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল। 

হযরত মূসা (আঃ) পথে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ “হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর কবর কোথায় আছে?” একজন বৃদ্ধা তাঁর কবরটি দেখিয়ে দেয়। হযরত মূসা (আঃ) হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর তাবূতটি (শবাধারটি) সাথে নেন। কথিত আছে যে, স্বয়ং তিনিই তাবূতটি উঠিয়ে নিয়েছিলেন। হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর অসিয়ত ছিল যে, বানী ইসরাঈল এখান দিয়ে গমনের সময় যেন তাঁর তাবৃক্টটি সাথে নিয়ে যায় ।হযরত আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) একজন বেদুঈনের বাড়ীতে অতিথি হন। সে তার খুব খাতির সম্মান করে। ফিরবার সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বললেনঃ “মদীনায় গেলে তুমি আমার সাথে সাক্ষাৎ করবে। কিছুদিন পর ঐ বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেনঃ “কিছু চাও।" সে বললোঃ “হাওদাসহ আমাকে একটি উষ্ট্র দিন এবং'দুগ্ধবতী একটি ছাগী দিন।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে বলেনঃ “বড়ই আফসোস যে, তুমি বানী ইসরাঈলের বুড়ীর মত চাওনি।” সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! বানী ইসরাঈলের বুড়ীর ঘটনাটি কি?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, যখন হযরত মূসা (আঃ) বানী। ইসরাঈলকে নিয়ে পথ চলছিলেন তখন তিনি পথ ভুলে যান। বহু চেষ্টা করেও তিনি পথ ঠিক করতে পারলেন না। 

তিনি তখন লোকদেরকে একত্রিত করে জিজ্ঞেস করলেন, “ব্যাপার কি? আমরা পথ ভুল করলাম কেন? বানী ইসরাঈলের আলেমগণ তখন বললেনঃ ‘ব্যাপার এই যে, হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর মৃত্যুর সময় আমাদের কাছে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, যখন আমরা মিসর হতে চলে যাবো তখন যেন তার তাতটিও (শবাধারটিও) এখান থেকে আমাদের সাথে নিয়ে যাই।” হযরত মুসা (আঃ) তখন জিজ্ঞেস করলেনঃ “হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর কবর কোথায় আছে তা তোমাদের কার জানা আছে?” সবাই উত্তরে বললোঃ “আমরা কেউ এটা জানি না। আমাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন বুড়ী এটা জানে।” হযরত মূসা (আঃ) তখন লোক মারফত বুড়ীকে বলে পাঠালেন যে, সে যেন হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর কবরটি তাঁকে দেখিয়ে দেয়। বুড়ী বললোঃ “হ্যাঁ, আমি দেখিয়ে দিতে পারি, তবে প্রথমে আমার প্রাপ্য আমাকে দিতে হবে।” হযরত মূসা (আঃ) তাকে বললেনঃ “তুমি কি চাও?” সে উত্তরে বললোঃ “জান্নাতে আমি আপনার সাথে থাকতে চাই।” হ্যরত মূসা (আঃ)-এর কাছে বুড়ীর এই দাবী খুবই ভারীবোধ হয়। 

তৎক্ষণাৎ হযরত মূসা (আঃ)-এর কাছে অহী আসলোঃ “হে মূসা (আঃ)! তুমি ঐ বুড়ীর শর্ত মেনে নাও।” বুড়ী হযরত মূসা (আঃ)-কে একটি বিলের নিকট নিয়ে গেল যার পানির রঙ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। বুড়ী বললোঃ “এর পানি উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দিন।” তার কথামত বিলের পানি বের করে দেয়া হলে মাটি দেখা গেল। বুড়ী তখন বললোঃ “এ জায়গা খনন করতে বলন।” মাটি খনন করলে কবরটি প্রকাশিত হয়ে পড়লো। তখন হযরত মূসা (আঃ) তাবূতটি সঙ্গে নিয়ে নিলেন। অতঃপর তিনি পুনরায় পথ চলতে শুরু করলেন। এবার রাস্তা পরিষ্কারভাবে দেখা গেল এবং তিনি সঠিক পথ পেয়ে গেলেন।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি খুবই গরীব বা দুর্বল। সত্যের কাছাকাছি এটাই যে, হাদীসটি মাওকুফ, অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কথাই এটা নয়। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন)এ লোকেগুলো তো তাদের পথে চলতে থাকলো। আর ওদিকে ফিরাউন ও তার লোকেরা সকালে দেখলো যে, চৌকিদার, গোলাম ইত্যাদি কেউই নেই। সুতরাং তারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে গেল এবং রাগে লাল হয়ে গেল। যখন তারা জানতে পারলো যে, রাতে বানী ইসরাঈলের সবাই পালিয়ে গেছে তখন তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়লো। 

ফিরাউন তৎক্ষণাৎ সৈন্য জমা করতে লাগলো। সকলকে একত্রিত করে সে তাদেরকে বললোঃ “বানী ইসরাঈল তো ক্ষুদ্র একটি দল। তারা অতি তুচ্ছ ও নগণ্য। সদা-সর্বদা তারা আমাদেরকে দুঃখ কষ্ট দিতে রয়েছে। তাদের ব্যাপারে আমাদেরকে সদা সতর্ক থাকতে হচ্ছে। (আরবি) -এর কিরআতে এই অর্থ হবে। পূর্বযুগীয় গুরুজনদের একটি দল (আরবি) পড়েছেন। তখন অর্থ হবেঃ “আমরা অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত রয়েছি এবং ইচ্ছা করেছি যে, তাদেরকে তাদের ঔদ্ধত্যপনার স্বাদ গ্রহণ করাবো। তাদের সকলকে এক সাথে ঘিরে ফেলে কচুকাটা করবো।” আল্লাহর কি মহিমা যে, এটা তাদের উপরই ফিরে আসলো। ফিরাউন তার কওম ও লোক-লকরসহ একই সময়ে ধ্বংস হয়ে গেল। (তার উপর ও তার অনুসারীদের উপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক)।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ পরিণামে আমি ফিরাউন গোষ্ঠীকে বহিস্কৃত করলাম তাদের উদ্যানরাজি ও ধন-ভাণ্ডার হতে এবং ধন-ভাণ্ডার ও সুরম্য সৌধমালা হতে। তাদের ব্যাপারে এরূপই ঘটেছিল এবং বানী ইসরাঈলকে আমি এ সমুদয়ের অধিকারী করেছিলাম। যারা অত্যন্ত নিম্ন শ্রেণীর লোক বলে গণ্য হতো তাদেরকে আমি চরম সম্মানিত বানিয়ে দিলাম। এরূপ করারই আমার ইচ্ছা ছিল এবং আমার ইচ্ছা আমি পূর্ণ করলাম। 

 

SURAH

An-Nasr  | The Divine Support  | Verse 01-03


اِذَا جَآءَ نَصۡرُ اللّٰهِ وَ الۡفَتۡحُ ۙ﴿۱﴾

 وَ رَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اَفۡوَاجًا ۙ﴿۲﴾

 فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ ؕؔ اِنَّهٗ کَانَ تَوَّابًا ﴿۳﴾ 


110:1

إِذَا جَآءَ نَصْرُ ٱللَّهِ وَٱلْفَتْحُ ١

When the victory of Allāh has come and the conquest,

— Saheeh International

যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়,

— Sheikh Mujibur Rahman


110:2

وَرَأَيْتَ ٱلنَّاسَ يَدْخُلُونَ فِى دِينِ ٱللَّهِ أَفْوَاجًۭا ٢

And you see the people entering into the religion of Allāh in multitudes,

— Saheeh International

এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবে,

— Sheikh Mujibur Rahman


110:3

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَٱسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُۥ كَانَ تَوَّابًۢا ٣

Then exalt [Him] with praise of your Lord and ask forgiveness of Him. Indeed, He is ever Accepting of Repentance.

— Saheeh International

তখন তুমি তোমার রবের কৃতজ্ঞতা মূলক পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তাঁর সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর; তিনিতো সর্বাপেক্ষা অধিক অনুতাপ গ্রহণকারী।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

The Virtues of Surat An-Nasr

It has been mentioned previously that it (Surat An-Nasr) is equivalent to one-fourth of the Qur'an and that Surat Az-Zalzalah is equivalent to one-fourth of the Qur'an. An-Nasa'i recorded from `Ubaydullah bin `Abdullah bin `Utbah that Ibn `Abbas said to him, "O Ibn `Utbah! Do you know the last Surah of the Qur'an that was revealed" He answered, "Yes, it was

إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

(When there comes the help of Allah and the Conquest.) (110:1)" He (Ibn `Abbas) He (Ibn `Abbas) said, "You have spoken truthfully."

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـنِ الرَّحِيمِ

In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful.

This Surah informs of the Completion of the Life of Allah's Messenger

Al-Bukhari recorded from Ibn `Abbas that he said, "Umar used to bring me into the gatherings with the old men of (the battle of) Badr. However, it was as if one of them felt something in himself (against my attending). So he said, `Why do you (`Umar) bring this (youth) to sit with us when we have children like him (i.e., his age)' So `Umar replied, `Verily, he is among those whom you know. Then one day he called them and invited me to sit with them, and I do not think that he invited me to be among them that day except to show them. So he said, `What do you say about Allah's statement,

إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

(When there comes the help of Allah and the Conquest.)' Some of them said, `We were commanded to praise Allah and seek His forgiveness when He helps us and gives us victory.' Some of them remained silent and did not say anything. Then he (`Umar) said to me, `Is this what you say, O Ibn `Abbas' I said, `No.' He then said, `What do you say' I said, `It was the end of the life of Allah's Messenger that Allah was informing him of. Allah said,

إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

(When there comes the help of Allah and the Conquest.) which means, that is a sign of the end of your life.

فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوِبَا

(So, glorify the praises of your Lord, and ask His forgiveness. Verily, He is the One Who accepts the repentance and Who forgives.)' So, `Umar bin Al-Khattab said, `I do not know anything about it other than what you have said."' Al-Bukhari was alone in recording this Hadith. Imam Ahmad recorded from Ibn `Abbas that he said, "When

إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ

(When there comes the help of Allah and the Conquest.) was revealed, the Messenger of Allah said,

«نُعِيَتْ إِلَيَّ نَفْسِي»

(My death has been announced to me.) And indeed he died during that year." Ahmad was alone in recording this Hadith. Al-Bukhari recorded that `A'ishah said, "The Messenger of Allah used to say often in his bowing and prostrating,

«سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي»

(Glory to You, O Allah, our Lord, and praise be to You. O Allah, forgive me.) He did this as his interpretation of the Qur'an (i.e., showing its implementation)." The rest of the group has also recorded this Hadith except for At-Tirmidhi. Imam Ahmad recorded from Masruq that `A'ishah said, "The Messenger of Allah used to often say towards the end of his life,

«سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْه»

(Glory to Allah, and praise be unto Him. I seek Allah's forgiveness and I repent to Him.) And he said,

«إِنَّ رَبِّي كَانَ أَخْبَرَنِي أَنِّي سَأَرَى عَلَامَةً فِي أُمَّتِي، وَأَمَرَنِي إِذَا رَأَيْتُهَا أَنْ أُسَبِّحَ بِحَمْدِهِ وَأَسْتَغْفِرَهُ، إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا، فَقَدْ رَأَيْتُهَا:

إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ - وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِى دِينِ اللَّهِ أَفْوَجاً - فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوِبَا »

(Verily, my Lord has informed me that I will see a sign in my Ummah and He has commanded me that when I see it, I should glorify His praises and seek His forgiveness, for He is the One Who accepts repentance. And indeed I have seen it (i.e., the sign). (When there comes the help of Allah and the Conquest (Al-Fath). And you see that the people enter Allah's religion in crowds. So glorify the praises of your Lord, and ask His forgiveness. Verily, He is the One Who accepts the repentance and Who forgives.))" Muslim also recorded this Hadith. The meaning of Al-Fath here is the conquest of Makkah, and there is only one view concerning it. For indeed the different areas of the Arabs were waiting for the conquest of Makkah before they would accept Islam. They said, "If he (Muhammad is victorious over his people, then he is a (true) Prophet." So when Allah gave him victory over Makkah, they entered into the religion of Allah (Islam) in crowds. Thus, two years did not pass (after the conquest of Makkah) before the peninsula of the Arabs was laden with faith. And there did not remain any of the tribes of the Arabs except that they professed (their acceptance) of Islam. And all praise and blessings are due to Allah. Al-Bukhari recorded in his Sahih that `Amr bin Salamah said, "When Makkah was conquered, all of the people rushed to the Messenger of Allah to profess their Islam. The various regions were delaying their acceptance of Islam until Makkah was conquered. The people used to say, `Leave him and his people alone. If he is victorious over them he is a (true) Prophet."' We have researched the war expedition for conquest of Makkah in our book As-Surah. Therefore, whoever wishes he may review it there. And all praise and blessings are due to Allah.Imam Ahmad recorded from Abu `Ammar that a neighbor of Jabir bin `Abdullah told him, "I returned from a journey and Jabir bin `Abdullah came and greeted me. So I began to talk with him about the divisions among the people and what they had started doing. Thus, Jabir began to cry and he said, `I heard the Messenger of Allah saying,

«إِنَّ النَّاسَ دَخَلُوا فِي دِينِ اللهِ أَفْوَاجًا، وَسَيَخْرُجُونَ مِنْهُ أَفْوَاجًا»

(Verily, the people have entered into the religion of Allah in crowds and they will also leave it in crowds.)" This is the end of the Tafsir of Surat An-Nasr, and all praise and blessings are due to Allah.

তাফসীর ইবনে কাছীর 

পূর্বেই হাদীস বর্ণিত হয়েছে যে, এই সূরাটি কুরআন কারীমের এক চতুর্থাংশের সমতুল্য।হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উবাহ (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেনঃ “সর্বশেষ কোন সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে তা কি তুমি জান?” উত্তরে তিনি বললেনঃ “হ্যা, সূরা ইযাজাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু' (সর্বশেষ অবতীর্ণ হয়েছে।)” হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) তখন বললেনঃ “তুমি সত্য বলেছো।” (এ হাদীসটি ইমাম নাসায়ী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আইয়ামে তাশরীকের (১১ই, ১২ইও ১৩ই যিল হজ্ব তারিখের) মধ্যভাগে (আরবি) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর উপর অবতীর্ণ হলে তিনি বুঝতে পারেন যে, এটা বিদায়ী সূরা। সুতরাং তখনই তিনি সওয়ারী তৈরি করার নির্দেশ দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (সঃ) সওয়ারীতে আরোহণ করলেন। তারপর তিনি তার সুপ্রসিদ্ধ খুৎবাহ প্রদান করলেন। (এ হাদীসটি হাফিয আবু বকর বাযার (রঃ) এবং হাফিয বারহাকী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যখন (আরবি) সূরা অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে ডেকে বলেনঃ “আমার পরলোক গমনের খবর এসে গেছে।” 

এ কথা শুনে হযরত ফাতিমা (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। তারপরই তিনি হাসতে লাগলেন। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেনঃ “আমার আব্বার (সঃ) পরলোক গমনের সময় নিকটবর্তী হওয়ার খবর শুনে আমার কান্না এসেছিল। কিন্তু আমার কান্নার সময় তিনি আমাকে বললেনঃ “তুমি ধৈর্য ধারণ করে। আমার পরিবার-পরিজনের মধ্যে তুমিই সর্ব প্রথম আমার সাথে মিলিত হবে।” (এ হাদীসটি ইমাম বায়হাকী (রঃ) বর্ণনা করেছেন। সুনানে নাসায়ীতে এটা বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু তাতে হযরত ফাতিমার (রঃ) উল্লেখ করা হয়নি)১-৩ নং আয়াতের তাফসীরহযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বয়স্ক মুজাহিদদের সাথে হযরত উমার (রাঃ) আমাকেও শামিল করে নিতেন। এ কারণে কারো কারো মনে সম্ভবতঃ অসন্তুষ্টির ভাব সৃষ্টি হয়ে থাকবে। একদা তাদের মধ্যে একজন আমার সম্পর্কে মন্তব্য করলেনঃ সে যেন আমাদের সাথে না থাকে। তার সমবয়সী ছেলে আমাদেরও তো রয়েছে।” তার এ মন্তব্য শুনে হযরত উমার (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ তোমরা তো তাকে খুব ভাল রূপেই জান!” একদিন তিনি সবাইকে ডাকলেন এবং আমাকেও স্মরণ করলেন আমি বুঝতে পারলাম যে, আজ তিনি তাদেরকে কিছু দেখাতে চান। 

আমরা সবাই হাজির হলে তিনি সকলকে জিজ্ঞেস করলেনঃ (আরবি) সূরাটি সম্পর্কে তোমাদের অভিমত কি (অর্থাৎ এ সূরাটি কিসের ইঙ্গিত বহন করছে)।” কেউ কেউ বললেনঃ “এ সূরায় আল্লাহ তাআলার গুণগান করার জন্যে এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্যে আমাদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তা'আলার সাহায্য এলে এবং আমাদের বিজয় সূচিত হলেই যেন আমরা এইরূপ করি।” কেউ কেউ আবার সম্পূর্ণ নীরব থাকলেন, কিছুই বললেন হযরত উমার (রাঃ) তখন আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ “তোমার মতামতও কি এদের মতই?” আমি উত্তরে বললামঃ না, বরং আমি এই বুঝেছি এ সূরায় রাসূলুল্লাহর (সঃ) পরলোক গমনের ইঙ্গিত রয়েছে। তাঁকে এটা জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তার ইহলৌকিক জীবন শেষ হয়ে এসেছে। সুতরাং তিনি যেন তাঁর প্রতিপালকের প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করেন ও তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একথা শুনে হযরত উমার (রাঃ) বললেনঃ “আমিও এটাই বুঝেছি।” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)এ সূরা অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “(এ বছরই আমার ইন্তেকাল হবে) আমাকে আমার মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হয়েছে।” মুজাহিদ (রঃ), আবুল আলিয়া (রঃ), যহহাক (রঃ) প্রমুখ গুরুজনও এই তাফসীর বর্ণনা করেছেন। 

(এ হাদীসটি মুসনাদে আহমদে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ) মদীনায় অবস্থান করছিলেন, একদা তিনি বলেনঃ “আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান! আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এসে পড়েছে। ইয়ামনের অধিবাসীরা এসে গেছে।” তাকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! ইয়ামনবাসীরা কেমন লোক?” তিনি উত্তরে বললেনঃ “তারা কোমল প্রাণ ও পরিচ্ছন্ন স্বভাবের অধিকারী। ঈমান, বুদ্ধিমত্তা এবং হিকমত এ সবই ইয়ামনবাসীদের রয়েছে।” (এ হাদসিটি ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, যেহেতু এ সূরাটিতে রাসূলুল্লাহর (সঃ) পরলোকগমনের সংবাদ ছিল সেহেতু সূরাটি অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সঃ) আখেরাতের কাজে পূর্বের চেয়ে অধিক মনোযোগী হন। অতঃপর তিনি বলেনঃ “আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এসে গেছে এবং ইয়ামনবাসী এসে পড়েছে।” তখন একটি লোক জিজ্ঞেস করলেনঃ “ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! ইয়ামনবাসীরা কি (প্রকৃতির লোকে)?” উত্তরে তিনি বললেন! “তাদের অন্তর কোমল, স্বভাব নম্র এবং তারা ঈমান ও বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।” 

(এ হাদীসটি ইমাম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, সূরা সমূহের মধ্যে পুরো সূরা অবতীর্ণ হওয়ার দিক থেকে (আরবি) এ সূরাটিই সর্বশেষ সূরা। (এ হাদীসটিও ইমাম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,(আরবি) এ সূরাটি অবতীর্ণ হলে রাসূলুল্লাহ (সঃ) তা শেষ পর্যন্ত পাঠ করেন, অতঃপর বলেনঃ “সব মানুষ এক দিকে এবং আমি ও আমার সাহাবীরা এক দিকে। জেনে রেখো যে, মক্কা বিজয়ের পর আর হিজরত নেই, তবে রয়েছে। জিহাদ এবং নিয়ত।” মারওয়ানকে হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) এ হাদীসটি শোনালে তিনি বলে ওঠেনঃ “তুমি মিথ্যা বলছো” ঐ সময় মারওয়ানের সাথে তার মজলিসে হযরত রাফে ইবনে খাদীজ (রঃ) এবং হযরত যায়েদ ইবনে সাবিতও (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) তাঁদের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন! “এঁরাও এ হাদীসটি জানেন এবং বর্ণনা করতে পারেন। কিন্তু একজন নিজের নেতৃত্ব চলে যাওয়ার আশংকায় এবং অপরজন যাকাত আদায়ের পদমর্যাদা থেকে বরখাস্ত হওয়ার ভয়ে এটা বর্ণনা করছেন না।" একথা শুনে মারওয়ান হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কে চাবুক মারতে উদ্যত হলে উভয় সাহাবী মারওয়ানকে লক্ষ্য করে বলেনঃ “শোনো মারওয়ান! হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) সত্য কথাই বলেছেন। (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস নির্ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) মক্কা বিজয়ের দিন বলেনঃ “হিজরত আর অবশিষ্ট নেই, তবে জিহাদ এবং নিয়ত বাকি রয়েছে। তোমাদেরকে যখন চলতে বলা হবে তখন তোমরা উঠে দাড়িয়ে চলতে শুরু করবে।” 

(এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) তাখরীজ করেছেন) তবে হ্যা, এটাও মনে রাখতে হবে যে, যে সব সাহাবী (রাঃ) হযরত উমারের (রাঃ) প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেনঃ “যখন আল্লাহ তা'আলা আমাদের উপর শহর ও দূর্গের বিজয় দান করবেন এবং আমাদেরকে সাহায্য করবেন তখন আমরা যেন তার প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করি ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি, এ সূরায় এ নির্দেশই তিনি আমাদেরকে দিয়েছেন। তাছাড়া আমরা যেন নামায আদায় করি ও নিজেদের পাপের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করি, এ নির্দেশও আমাদেরকে দেয়া হয়েছে। তাদের এ অর্থ ও তাফসীরও খুবই সুন্দর ও বিশুদ্ধ, এতে কোন সন্দেহ নেই। রাসূলুল্লাহ (সঃ) মক্কা বিজয়ের দিন চাশতের আট রাকআত নামায আদায় করেছিলেন, যদিও কেউ কেউ বলেন যে, ওটা ছিল চাশতের নামায, কিন্তু আমরা জানি যে, তিনি চাশতের নামায নিয়মিতভাবে আদায় করতেন না। তাছাড়া ঐসময় ব্যস্ততা ছিল এবং কাজকর্মও অনেক ছিল। তিনি ছিলেন মুসাফির, এ অবস্থায় কি করে তিনি চাশতের নামায পড়তে পারেন? এছাড়া রাসূলুল্লাহ (সঃ) মক্কা বিজয়ের সময়ে মক্কা শরীফে রমযানের শেষ পর্যন্ত উনিশ দিন অবস্থান করেছিলেন। ঐ সময়ে তিনি ফরয নামাযও কসর করেছিলেন। তিনি রোযাও রাখেননি। তাঁর সঙ্গীয় প্রায় দশ হাজার মুসলমান সবাই এ নিয়ম পালন করেছিলেন। 

এতে স্পষ্টতই বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) আট রাকআত নামায মক্কা বিজয়ের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ছিল। এ কারণেই সেনাবাহিনী প্রধান বা সমকালীন ইমামের জন্যে কোন শহর জয় করার সাথে সাথে ঐ শহরে আট রাকআত নামায আদায় করা মুস্তাহাব।হযরত সা'দ ইবনে অক্কাস (রাঃ) মাদায়েন বিজয়ের দিন অনুরূপ আট রাকআত নামায আদায় করেছিলেন। এই আট রাকআত নামায দুই রাকআত করে আদায় করতে হবে। কারো কারো মতে আট রাকআতে একবার সালাম ফিরালেই চলবে। অর্থাৎ একবারই সালাম ফিরানোর নিয়তে আট রাকআত নামায পড়া যাবে। কিন্তু সুনানে আবি দাউদে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ নামায প্রতি দুই রাকআতে সালাম ফিরিয়ে আদায় করেছিলেন। অন্যান্য তাফসীরও বিশুদ্ধ। যেমন, ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ গুরুজন বলেছেন যে, এ সূরায় রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে তার ইন্তেকালের সংবাদ দেয়া হয়েছে।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! যে মক্কা থেকে কাফিররা তোমাকে চলে যেতে বাধ্য করেছে, সেই মক্কা বিজয় যখন তুমি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করবে, নিজের পরিশ্রমের ফলে যখন দেখতে পাবে, আরো যখন দেখতে পাবে যে, জনগণ আল্লাহর ধর্মে দলে দলে প্রবেশ করছে তখন তুমি স্বীয় প্রতিপালকের তাসবীহ ও তাহমীদ পাঠ করবে এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে। তুমি পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকো। 

মনে রেখো যে, তোমার ইহকালীন দায়িত্ব সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং এখন পরকালের প্রতি মনোযোগী হও। সেখানে তোমার জন্যে বহুবিধ কল্যাণ রয়েছে। তোমার মেহমানদারী স্বয়ং আমিই করবো। কাজেই আমার রহমত ও কুদরতের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে অধিক পরিমাণে আমার প্রশংসা করো, তাওবা ইসতিগফার করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবা কবুল করে থাকেন।সহীহ বুখারীতে হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ভর রুকু ও সিজদায় নিম্নলিখিত তাসবীহ অধিক পরিমাণে পাঠ করতেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আপনি মহাপবিত্র এবং আপনার জন্যেই সমস্ত প্রশংসা। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন! রাসূলুল্লাহ (সঃ) কুরআন কারীমের (আরবি) এ আয়াতের উপর অধিক পরিমাণে আমল করতেন।অন্য এক রিওয়াইয়াতে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর শেষ জীবনে নিম্নলিখিত কালেমাগুলো অধিক পরিমাণে পাঠ করতেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “আল্লাহ মহাপবিত্র, তার জন্যেই সমস্ত প্রশংসা, আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকট তাওবা করছি।” 

তিনি আরো বলতেনঃ “আমার প্রতিপালক আমাকে আদেশ দিয়ে রেখেছেনঃ যখন আমি দেখতে পাই যে, মক্কা বিজয় অত্যাসন্ন এবং দলে দলে লোক ইসলামে প্রবেশ করছে তখন যেন আমি এ কালেমা অধিক পরিমাণে পাঠ করি। সুতরাং আল্লাহর রহমতে আমি মক্কা বিজয় প্রত্যক্ষ করেছি। এ কারণে এখন (মনোযোগ সহকারে) এ কালেমা নিয়মিত পাঠ করছি।” (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমদে বর্ণিত হয়েছে)তাফসীরে ইবনে জারীরে হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, শেষ বয়সে রাসূলুল্লাহ (সঃ) উঠতে বসতে চলতে ফিরতে এবং আসতে যেতে নিম্নের তাসবীহ পড়তে থাকতেনঃ(আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহ মহাপবিত্র এবং তাঁর জন্যেই সমস্ত প্রশংসা।" হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) বলেনঃ “আমি একবার এর কারণ জিজ্ঞেস করলে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) সূরা নাসর তিলাওয়াত করেন এবং বলেনঃ “আল্লাহপাক আমাকে এরকমই আদেশ দিয়েছেন।”মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে যে, এ সূরা অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সঃ) নামাযে প্রায়ই এ সূরা তিলাওয়াত করতেন এবং রুকূতে তিনবার নিম্নের দু'আ পড়তেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আপনি মহা পবিত্র। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনারই জন্যে সমস্ত প্রশংসা। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি তাওবা কবুলকারী, দয়ালু।" বিজয় অর্থে এখানে মক্কা বিজয়কে বুঝানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন মতানৈক্য নেই। 

আরবের সাধারণ গোত্রগুলোর মধ্যে ব্যাপারে কোনই মতানৈক্য হয়নি। আরবের সাধারন গোত্রগুলো অপেক্ষা করছিল যে, যদি মুহাম্মদ (সঃ) স্বজাতির উপর জয়যুক্ত হন এবং মক্কা তাঁর পদানত হয় তবে তিনি যে সত্য নবী এব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ থাকবে না।আল্লাহ তা'আলা যখন তাঁর প্রিয় নবী (সঃ) কে মহাবিজয় দান করলেন তখন এরা সবাই দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করলো। এরপর দু'বছর যেতে যেতেই সমগ্র আরব ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করলো। প্রত্যেক গোত্রের উপর ইসলামের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হলো। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য। সহীহ বুখারীতেও হযরত আমর ইবনে সালমার (রাঃ)এ উক্তি বিদ্যমান রয়েছে যে, মক্কা বিজয়ের সাথে সকল গোত্র ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হলো। তারা ইসলাম গ্রহণের জন্যে অপেক্ষা করছিল এবং নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলঃ নবী মুহাম্মদ (সঃ) কে এবং তাঁর স্বজাতিকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। যদি মুহাম্মদ (সঃ) সত্য নবী হয়ে থাকেন তবে নিজের জাতির উপর অবশ্যই জয়যুক্ত হবেন এবং মক্কার উপর তার বিজয় পতাকা উড়বে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্দুল আলামীনের প্রাপ্য।মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আছে যে, হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহর এক প্রতিবেশী সফর থেকে ফিরে আসার পর হযরত জাবির (রাঃ) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে যান। সেই প্রতিবেশী মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব-কলহ এবং নতুন নতুন বিদআতের কথা ব্যক্ত করলে হযরত জাবির (রাঃ)-এর চক্ষুদ্বয় অশ্রু সজল হয়ে উঠলো। তিনি কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বললেনঃ “আমি সরদারে দো জাহান, শাফীউল মুযনিবীন, রহমাতুল লিল আলামীন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর মুখে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ “লোকেরা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে বটে, কিন্তু শীঘ্রই তারা দলে দলে এই দ্বীন থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করবে।”

YOUTH

PROPHET MUHAMMAD IN MADINAH 

The Quraysh Try to Hurt the Prophet

When the Prophet Muhammad (S) tried to tell the people of Makkah about Islam, they did not listen. They were harsh with him and they said mean things, but this did not stop the Prophet from speaking the truth. Even though they hurt him, he kept on trying to tell them that there is only one God, no matter what they did to him. The leaders of Makkah, who were members of the Quraysh tribe, soon became tired of the Prophet. They did not want him to destroy their way of life. They made money from idol worship, and they did not care about the true faith.

The people of Quraysh had tried ignoring Prophet Muhammad (S). They had tried throwing rocks and stones at him. They had offered him money and lead­ership if he would stop teach­ing people about Islam. But the Prophet was strong and patient. He let them throw rocks and say mean things. He did not want money or leadership. He only wanted people to listen to the truth; there is only one God. Prophet Muhammad did not stop preaching.

Some people started to lis­ten to the Prophet. Allah guided them, and they under­stood that worshipping idols was wrong. These people accepted Islam. The leaders of Makkah were getting wor­ried that they would lose con­trol of their people. They were worried that Muhammad (s) was challenging their religion and way of life. The Quraysh knew that they would not be able to stop Muhammad (S) without strong action.

Finally, they decided to stop Muhammad forever.

The Quraysh decided that the only way to stop Muhammad (S) was to kill him. But who would kill him? No one wanted to take the blame. If only one person or group killed the Prophet, his supporters and followers would kill them in retalliation.

Then, someone had an idea. At a secret night meet­ing, a group of Makkan leaders came together. However, there was another person in the group. It was Shaytan, disguised as a man. He helped the group come up with an evil plan. Several different young men would attack the Prophet (S) at the same time! Each youth would be from a different tribe. This would make it impossible to punish anyone for Muhammad's death. Most of the Quraysh people thought this was a perfect idea. However, there were some people who did not think it was a good idea.

The Quraysh planned to murder the Prophet (S) at night, when he would be sleeping. They wanted to take him by surprise, so he would not be able to protect himself.

The Quraysh did not know that Muhammad (S), had the best protection of all.

The Quraysh did not believe that Allah was on the Prophet's side, so they did not know that He was watching them all the time and hearing everything they said. Allah sent Angel Jibreel to warn the Prophet of the Quraysh tribe's plan.

Allah did not want the Quraysh to hurt the Prophet. It was not Prophet Muhammad's time to die. When the Prophet found out that the Quraysh were planning to kill him, his cousin, 'Ali bin Abi Talib , spoke up. He loved the Prophet (S) more than he loved himself. He knew how important the Prophet's life was. Muhammad (S) still had to teach many more people about Islam. 'Ali volunteered to lie in Prophet Muhammad's bed on the planned night, pretending to be the Prophet (S). This would give Muhammad (S) a chance to escape from Makkah. The city was getting too dangerous for Rasoolullah and the Muslims.

On the night of the plan, the group of young men from the Quraysh walked quietly and quickly to Muhammad's house. They were all carrying spears and swords they would use to kill Muhammad (S). They did not make any noise and they hid along the way.

Once the young men reached Muhammad's house, they listened to make sure he was asleep. They did not hear anything, so they got ready to go in and attack him. They burst into the house with their weapons, and pulled the sheet off of the man lying on the bed. They were just about to kill him, when one youth shouted, "STOP!"

The young man had seen Ali, not Muhammad in the bed. They did not want to kill 'Ali, Prophet Muhammad was their target.

The leaders were very angry. Their plan had failed, and they did not understand why people loved Muhammad (S) so much. They did not understand that Allah was on Muhammad's side, and that they were fighting somebody they could not beat.

After all this, the Prophet (S) went ahead with his plan to leave Makkah.

Questions