1443H Week-34
Friday, 01 April 2022
QURAN
Ash-Shu'ara | The Poets | Verse 10-22
26:10
وَإِذْ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱئْتِ ٱلْقَوْمَ ٱلظَّـٰلِمِينَ ١٠
And [mention] when your Lord called Moses, [saying], "Go to the wrongdoing people -
— Saheeh International
স্মরণ কর, যখন তোমার রাব্ব মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি যালিম সম্প্রদায়ের নিকট চলে যাও –
— Sheikh Mujibur Rahman
26:11
قَوْمَ فِرْعَوْنَ ۚ أَلَا يَتَّقُونَ ١١
The people of Pharaoh. Will they not fear Allah?"
— Saheeh International
ফির‘আউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করেনা?
— Sheikh Mujibur Rahman
26:12
قَالَ رَبِّ إِنِّىٓ أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ ١٢
He said, "My Lord, indeed I fear that they will deny me
— Saheeh International
তখন সে বলেছিলঃ হে আমার রাব্ব! আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে অস্বীকার করবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:13
وَيَضِيقُ صَدْرِى وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِى فَأَرْسِلْ إِلَىٰ هَـٰرُونَ ١٣
And that my breast will tighten and my tongue will not be fluent, so send for Aaron.
— Saheeh International
এবং আমার হৃদয় সংকুচিত হয়ে পড়ছে, আর আমার জিহবাতো সাবলীল নয়, সুতরাং হারুনের প্রতিও প্রত্যাদেশ পাঠান।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:14
وَلَهُمْ عَلَىَّ ذَنۢبٌۭ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ ١٤
And they have upon me a [claim due to] sin, so I fear that they will kill me."
— Saheeh International
আমার বিরুদ্ধে তাদের এক অভিযোগ রয়েছে, আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:15
قَالَ كَلَّا ۖ فَٱذْهَبَا بِـَٔايَـٰتِنَآ ۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ ١٥
[Allah] said, "No. Go both of you with Our signs; indeed, We are with you, listening.
— Saheeh International
আল্লাহ বললেনঃ না কখনই নয়, অতএব তোমরা উভয়ে আমার নিদর্শনসহ যাও, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি শ্রবণকারী।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:16
فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولُ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ١٦
Go to Pharaoh and say, 'We are the messengers of the Lord of the worlds,
— Saheeh International
অতএব তোমরা উভয়ে ফির‘আউনের নিকট যাও এবং বলঃ আমরা জগতসমূহের রবের রাসূল।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:17
أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ١٧
[Commanded to say], "Send with us the Children of Israel."'"
— Saheeh International
আমাদের সাথে যেতে দাও বানী ইসরাঈলকে।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:18
قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًۭا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ ١٨
[Pharaoh] said, "Did we not raise you among us as a child, and you remained among us for years of your life?
— Saheeh International
ফির‘আউন বললঃ আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মধ্যে লালন পালন করিনি? এবং তুমিতো তোমার জীবনের বহু বছর আমাদের মধ্যে কাটিয়েছ।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:19
وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ ٱلَّتِى فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ ٱلْكَـٰفِرِينَ ١٩
And [then] you did your deed which you did, and you were of the ungrateful."
— Saheeh International
তুমিতো তোমার কাজ যা করার তা করেছ; তুমি অকৃতজ্ঞ।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:20
قَالَ فَعَلْتُهَآ إِذًۭا وَأَنَا۠ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ ٢٠
[Moses] said, "I did it, then, while I was of those astray [i.e., ignorant].
— Saheeh International
মূসা বললঃ আমিতো এটা করেছিলাম তখন যখন আমি অজ্ঞ ছিলাম।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:21
فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِى رَبِّى حُكْمًۭا وَجَعَلَنِى مِنَ ٱلْمُرْسَلِينَ ٢١
So I fled from you when I feared you. Then my Lord granted me judgement [i.e., wisdom and prophet hood] and appointed me [as one] of the messengers.
— Saheeh International
অতঃপর আমি যখন তোমাদের ভয়ে ভীত হলাম তখন আমি তোমাদের নিকট হতে পালিয়ে গিয়েছিলাম; অতঃপর আমার রাব্ব আমাকে জ্ঞান দান করেছেন এবং আমাকে রাসূল করেছেন।
— Sheikh Mujibur Rahman
26:22
وَتِلْكَ نِعْمَةٌۭ تَمُنُّهَا عَلَىَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٢٢
And is this a favor of which you remind me - that you have enslaved the Children of Israel?"
— Saheeh International
আর আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করেছ তাতো এই যে, তুমি বানী ইসরাঈলকে দাসে পরিণত করেছ।
— Sheikh Mujibur Rahman
Tafsir Ibn Kathir
Between Musa and Fir`awn
Allah tells us what He commanded His servant, son of `Imran and Messenger Musa, peace be upon him, who spoke with Him, to do, when He called him from the right side of the mountain, and conversed with him, and chose him, sent him, and commanded him to go to Fir`awn and his people. Allah says:
وَإِذْ نَادَى رَبُّكَ مُوسَى أَنِ ائْتَ الْقَوْمَ الظَّـلِمِينَ - قَوْمَ فِرْعَوْنَ أَلا يَتَّقُونَ - قَالَ رَبِّ إِنِّى أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ - وَيَضِيقُ صَدْرِى وَلاَ يَنطَلِقُ لِسَانِى فَأَرْسِلْ إِلَى هَـرُونَ - وَلَهُمْ عَلَىَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
(And when your Lord called Musa: "Go to the people who are wrongdoers. The people of Fir`awn. Will they not have Taqwa" He said: "My Lord! Verily, I fear that they will deny me, And my breast straitens, and my tongue expresses not well. So send for Harun. And they have a charge of crime against me, and I fear they will kill me.") So, Musa asked Allah to remove these difficulties for him, as he said in Surah Ta Ha:
قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِى صَدْرِى - وَيَسِّرْ لِى أَمْرِى
(Musa said: "O my Lord! Open for me my chest. And ease my task for me.") (20:25-26) until:
قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يمُوسَى
(You are granted your request, O Musa!) (20:36)
وَلَهُمْ عَلَىَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
(And they have a charge of crime against me, and I fear they will kill me.) because he had killed that Egyptian, which was the reason that he left the land of Egypt.
قَالَ كَلاَّ
((Allah) said: "Nay!...") Allah told him: do not be afraid of anything like that. This is like the Ayah,
سَنَشُدُّ عَضُدَكَ بِأَخِيكَ وَنَجْعَلُ لَكُمَا سُلْطَـناً
(Allah said: "We will strengthen your arm through your brother, and give you both power) meaning, proof;
فَلاَ يَصِلُونَ إِلَيْكُمَا بِـْايَـتِنَآ أَنتُمَا وَمَنِ اتَّبَعَكُمَا الْغَـلِبُونَ
(so they shall not be able to harm you, with Our signs, you two as well as those who follow you will be the victors) (28:35),
فَاذْهَبَا بِـَايَـتِنَآ إِنَّا مَعَكُمْ مُّسْتَمِعُونَ
(Go you both with Our signs. Verily, We shall be with you, listening.) This is like the Ayah,
إِنَّنِى مَعَكُمَآ أَسْمَعُ وَأَرَى
(I am with you both, hearing and seeing) (20:46). Meaning, `I will be with you by My protection, care, support and help.'
فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَـلَمِينَ
(And go both of you to Fir`awn, and say: `We are the Messengers of the Lord of the all that exists.') This is like the Ayah,
إِنَّا رَسُولاَ رَبِّكَ
(Verily, we are both Messengers of your Lord) (20:47). which means, `both of us have been sent to you,'
أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِى إِسْرَءِيلَ
(So allow the Children of Israel to go with us.) Meaning, `let them go, free them from your captivity, subjugation and torture, for they are the believing servants of Allah, devoted to Him, and with you they are in a position of humiliating torture.' When Musa said that to him, Fir`awn turned away and ignored him completely, regarding him with scorn and thinking little of him. Saying:
أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيداً
(Did we not bring you up among us as a child) meaning, we brought you up among us, in our home and on our bed, we nourished you and did favors for you for many years, and after all that you responded to our kindness in this manner: you killed one of our men and denied our favors to you.' So he said to him:
وَأَنتَ مِنَ الْكَـفِرِينَ
(While you were one of the ingrates.) meaning, one of those who deny favors. This was the view of Ibn `Abbas and `Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam, and was the view favored by Ibn Jarir.
قَالَ فَعَلْتُهَآ إِذاً
((Musa) said: "I did it then...") meaning, at that time,
وَأَنَاْ مِنَ الضَّآلِّينَ
(when I was in error.) meaning, `before revelation was sent to me and before Allah made me a Prophet and sent me with this Message.'
فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِى رَبِّى حُكْماً وَجَعَلَنِى مِنَ الْمُرْسَلِينَ
(So, I fled from you when I feared you. But my Lord has granted me Hukm, and made me one of the Messengers.) means, `the first situation came to an end and another took its place. Now Allah has sent me to you, and if you obey Him, you will be safe, but if you oppose Him, you will be destroyed.' Then Musa said:
وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَىَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِى إِسْرَءِيلَ
(And this is the past favor with which you reproach me, -- that you have enslaved the Children of Israel.) meaning, `whatever favors you did in bringing me up are offset by the evil you did by enslaving the Children of Israel and using them to do your hard labor. Is there any comparison between your favors to one man among them and the evil you have done to all of them What you have mentioned about me is nothing compared to what you have done to them.'
তাফসীর ইবনে কাছীর
১০-২২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দা এবং রাসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ (আঃ)-কে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন এখানে তিনি তারই বর্ণনা দিচ্ছেন। তুর পাহাড়ের ডান দিক হতে আল্লাহ তা'আলা তাঁকে ডাক দেন, তাঁর সাথে কথা বলেন এবং তাকে নিজের রাসূল ও মনোনীত বান্দারূপে নির্বাচন করেন। তাঁকে তিনি ফিরাউনের নিকট প্রেরণ করেন, যে ছিল চরম অত্যাচারী বাদশাহ। তার মধ্যে আল্লাহর ভয় মোটেই ছিল না। হযরত মূসা (আঃ) মহান আল্লাহর নিকট স্বীয় দুর্বলতার কথা প্রকাশ করেন এবং তা তার পক্ষ থেকে দূর করে দেয়া হয়। যেমন সূরায়ে। তোয়-হায় তাঁর প্রার্থনার পরে বলা হয়ঃ (আরবি) অর্থাৎ “হে। মূসা (আঃ)! তোমার প্রার্থিত জিনিস তোমাকে দিয়ে দেয়া হলো।” (২০: ৩৬) এখানে তিনি তাঁর ওজর বর্ণনা করে বলেনঃ “আমার হৃদয় সংকুচিত হয়ে পড়ছে, আমার জিহ্বায় জড়তা রয়েছে।
সুতরাং (আমার বড় ভাই) হারুন (আঃ)-কেও আমার সাথে নবী বানিয়ে দিন। আর আমি তাদেরই মধ্য হতে একজন কিবতীকে বিনা দোষে মেরে ফেলেছিলাম। ঐ কারণে আমি মিসর ছেড়েছিলাম। তাই এখন আমার ভয় হচ্ছে যে, তারা হয়তো আমাকে হত্যা করে ফেলবে।” জবাবে মহান আল্লাহ তাঁকে বললেনঃ “ভয়ের কোন কারণ নেই। তোমার ভাইকে আমি তোমার সঙ্গী বানিয়ে দিলাম এবং তোমাদেরকে উজ্জ্বল দলীল প্রদান করলাম। সুতরাং তারা তোমাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। তোমরা ও তোমাদের অনুসারীরা জয়যুক্ত হবে। তোমরা আমার নিদর্শনগুলো নিয়ে তার কাছে যাও এবং তাকে বুঝাতে থাকো। তোমাদের সাথে আমার সাহায্য রয়েছে। তোমাদের ও তাদের সব কথাই আমি শুনতে থাকবে এবং তোমাদের সবকিছুই আমি দেখতে থাকবো। আমার হিফাযত, সাহায্য-সহানুভূতি এবং পৃষ্ঠপোষকতা তোমাদের সাথে রইলো।
কাজেই তোমরা উভয়ে ফিরাউনের কাছে গিয়ে বল, আমরা জগতসমূহের প্রতিপালকের রাসূলরূপে তোমার নিকট প্রেরিত হয়েছি।” যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবি) অর্থাৎ “আমরা দু’জন তোমার প্রতিপালকের রাসূল।” (২০: ৪৭) আল্লাহ তাদেরকে আরো বলতে বললেনঃ বানী ইসরাঈলকে আমাদের সাথে পাঠিয়ে দাও। তারা আল্লাহর মুমিন বান্দা। তুমি তাদেরকে তোমার দাস বানিয়ে রেখেছে এবং তাদের অবস্থা করেছো অত্যন্ত শোচনীয়। তুমি তাদের দ্বারা লাঞ্ছনার সাথে সেবার কাজ করিয়ে নিচ্ছ এবং তাদেরকে বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি দিচ্ছ। এখন তুমি তাদেরকে আযাদ করে দিয়ে আমাদের সাথে পাঠিয়ে দাও।হযরত মূসা (আঃ)-এর এ পয়গাম ফিরাউন অত্যন্ত তুচ্ছ জ্ঞানে শুনলো এবং তাকে ধমকের সুরে বললোঃ আমরা কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মধ্যে প্রতিপালন করিনি? এবং তুমি তো তোমার জীবনের বহু বছর আমাদের মধ্যে কাটিয়েছে। আর তুমি আমাকে এর প্রতিদান এই দিয়েছে যে, আমাদের একটি লোককে হত্যা করেছো। তুমি বড়ই অকৃতজ্ঞ।
তার একথার জবাবে হযরত মূসা (আঃ) তাকে বললেনঃ “আমি তো এটা করেছিলাম। তখন যখন আমি অজ্ঞ ছিলাম এবং ওটা ছিল আমার নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বের ঘটনা।” হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর কিরআতে(আরবি) -এর স্থলে (আরবি) রয়েছে। হযরত মূসা (আঃ) বললেনঃ ঐ যুগ চলে গেছে, এখন অন্য যুগ এসেছে। আল্লাহ তা'আলা আমাকে রাসূল করে তোমার নিকট পাঠিয়েছেন। এখন যদি তুমি আমার কথা মেনে নাও তবে তুমি শান্তি লাভ করবে। আর যদি আমাকে অবিশ্বাস কর তবে নিঃসন্দেহে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি যে ভুল করেছিলাম ওর পর তোমাদের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর আমার প্রতি আল্লাহ এই অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং এখন পুরাতন কথার উল্লেখ না করে আমার দাওয়াত কবুল করে নাও। জেনে রেখো যে, তুমি আমার একার প্রতি একটা অনুগ্রহ। করেছিলে বটে, কিন্তু আমার কওমের উপর তুমি যুলুম ও বাড়াবাড়ি করেছে। তাদেরকে তুমি অন্যায়ভাবে গোলাম বানিয়ে রেখেছে। আমার সাথে তুমি যে। সদাচরণ করেছে এবং আমার কওমের প্রতি যে অন্যায়াচরণ করেছো দুটো কি সমান হবে?
DUA
Dua from Quran - 5
Dua from Quran - 5
ۭرَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ اِنْ نَّسِيْنَآ اَوْ اَخْطَاْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَي الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۚ وَاعْفُ عَنَّا ۪ وَاغْفِرْ لَنَا ۪ وَارْحَمْنَا ۪ اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْــصُرْنَا عَلَي الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ
Rabbanaa Laa Too-Akhid’naaa In-Naseenaa Aw Akht’aanaa Rabbanaa wa Laa Tah’mil A’laynaaa Is’ran Kamaa Ha’maltahoo A’lal Lad’eena min Qablinaa Rabbanaa wa Laa Tuh’ammilnaa Maa Laa T’aaqata Lanaa Bih Wa’-Fu A’nnaa Waghfirlanaa Warh’amnaa Anta Mawlaanaa Fans’urnaa A’lal Qawmil Kaafireen
Allah burdens not a person beyond his scope. He gets reward for that (good) which he has earned, and he is punished for that (evil) which he has earned. "Our Lord! Punish us not if we forget or fall into error, our Lord! Lay not on us a burden like that which You did lay on those before us; our Lord! Put not on us a burden greater than we have strength to bear. Pardon us and grant us Forgiveness. Have mercy on us. You are our Maula (Patron, Supporter and Protector, etc.) and give us victory over the disbelieving people."
হে আমাদের রাব্ব! আমরা যদি ভুলে যাই অথবা ভুল করি সেজন্য আমাদেরকে অপরাধী করবেননা। হে আমাদের রাব্ব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেরূপ গুরুভার অর্পণ করেছিলেন আমাদের উপর তদ্রুপ ভার অর্পণ করবেননা। হে আমাদের রাব্ব! যা আমাদের শক্তির বাইরে ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেননা, এবং আমাদের পাপ মোচন করুন ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদেরকে দয়া করুন, আপনিই আমাদের আশ্রয়দাতা! অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
Surah Al-Baqarah - 2:286
Surah Al-Baqarah - 2:286
2:286
لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًۭا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ ۖ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ ۚ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَـٰفِرِينَ ٢٨٦
Allah does not charge a soul except [with that within] its capacity. It will have [the consequence of] what [good] it has gained, and it will bear [the consequence of] what [evil] it has earned. "Our Lord, do not impose blame upon us if we have forgotten or erred. Our Lord, and lay not upon us a burden like that which You laid upon those before us. Our Lord, and burden us not with that which we have no ability to bear. And pardon us; and forgive us; and have mercy upon us. You are our protector, so give us victory over the disbelieving people."
— Saheeh International
কোন ব্যক্তিকেই আল্লাহ তার সাধ্যের অতিরিক্ত কর্তব্য পালনে বাধ্য করেননা; সে যা উপার্জন করেছে তা তারই জন্য এবং যা সে অর্জন করেছে তা তারই উপর বর্তাবে। হে আমাদের রাব্ব! আমরা যদি ভুলে যাই অথবা ভুল করি সেজন্য আমাদেরকে অপরাধী করবেননা। হে আমাদের রাব্ব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেরূপ গুরুভার অর্পণ করেছিলেন আমাদের উপর তদ্রুপ ভার অর্পণ করবেননা। হে আমাদের রাব্ব! যা আমাদের শক্তির বাইরে ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেননা, এবং আমাদের পাপ মোচন করুন ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদেরকে দয়া করুন, আপনিই আমাদের আশ্রয়দাতা! অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
— Sheikh Mujibur Rahman
তাফসীরে জাকারিয়া
২৮৬. আল্লাহ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত(১)। সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই, আর মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বার্তায়। হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃৎ হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন(২)।
(১) পূর্ববর্তী আয়াতে বলা হয়েছিল যে, তোমাদের অন্তরে যা আছে, প্রকাশ কর কিংবা গোপন রাখ সর্বাবস্থায় আল্লাহ্ তা'আলা তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। আয়াতের আসল উদ্দেশ্য ছিল এই যে, তোমরা স্বেচ্ছায় যেসব কাজ করবে, আল্লাহ তা'আলা তার হিসাব নেবেন। অনিচ্ছাকৃত কু-চিন্তা ও ক্রটি-বিচূতি এর অন্তর্ভুক্তই ছিল না। কিন্তু আয়াতের ভাষা বাহ্যতঃ ব্যাপক ছিল। এতে বোঝা যেত যে, অনিচ্ছকৃত ধারণারও হিসাব নেয়া হবে। এ আয়াত শুনে সাহাবায়ে কেরাম অস্থির হয়ে গেলেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! এতদিন আমরা মনে করতাম যে, আমাদের ইচ্ছাকৃত কাজেরই হিসাব হবে। মনে যেসব অনিচ্ছাকৃত কল্পনা আসে, সেগুলোর হিসাব হবে না। কিন্তু এ আয়াত দ্বারা জানা গেল যে, প্রতিটি কল্পনারও হিসাব হবে। এতে তো শাস্তির কবল থেকে মুক্তি পাওয়া সাংঘাতিক কঠিন মনে হয়।
মহানবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়াতের সঠিক উদ্দেশ্য জানতেন, কিন্তু উক্ত আয়াতে ব্যবহৃত শব্দের ব্যাপকতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নিজের পক্ষ থেকে কিছু বলা সমীচীন মনে করলেন না, বরং ওহীর অপেক্ষায় রইলেন। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে আপাততঃ আদেশ দিলেন যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে যে নির্দেশ আসে, তা সহজ হোক কিংবা কঠিন - মুমিনের কাজ হলো তা মেনে নেয়া। সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশমত কাজ করলেন; যদিও তাদের মনে এ সংশয় ছিল যে, অনিচ্ছাকৃত কল্পনা ও কু-চিন্তা থেকে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ্ তা'আলা প্রথমে মুসলিমদের আনুগত্যের প্রশংসা করেন এবং বিশেষ ভঙ্গিতে ঐ সন্দেহের নিরসন করে বলেন, আল্লাহ তা'আলা কাউকে তার সাধ্যের বহির্ভূত কোন কাজের নির্দেশ দেন না।
কাজেই অনিচ্ছাকৃতভাবে যেসব কল্পনা ও কু-চিন্তা অন্তরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, এরপর সেগুলো কার্যে পরিণত করা না হয়, সেসব আল্লাহ তা'আলার কাছে মাফযোগ্য। যেসব কাজ ইচ্ছে করে করা হয়, শুধু সেগুলোরই হিসাব হবে। কুরআনে বর্ণিত এ ব্যাখ্যার ফলে সাহাবায়ে কেরামের মানসিক উদ্বেগ দূর হয়ে যায়। [মুসনাদে আহমাদ: ২/৪১২, ১/৩৩২: মুসলিম: ১২৫] তারপর আল্লাহ তা'আলা মুসলিমদেরকে একটি বিশেষ দো'আ শিক্ষা দিয়েছেন। যাতে ভুল-ভ্রান্তিবশতঃ কোন কাজ হয়ে যাওয়ার পর ক্ষমা প্রার্থনার পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়া হয়েছে এবং পূর্ববর্তী উম্মতদের মত শাস্তিও যেন এ উম্মতের উপর না আসে, তার জন্য বিশেষভাবে দো'আ করতে বলা হয়েছে।
(২) আলোচ্য আয়াত দুটি সূরা বাকারার শেষ আয়াত। সহীহ হাদীসসমূহে এ আয়াত দুটির বিশেষ ফয়ীলতের কথা বর্ণিত আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ রাতের বেলায় এ আয়াত দুটি পাঠ করলে তা তার জন্য যথেষ্ট। [বুখারীঃ ৪০০৮, ৫০০৮, মুসলিমঃ ৮০৮] অর্থাৎ বিপদাপদ ও বিভিন্ন প্রকার অনিষ্ট থেকে মুক্ত থাকার জন্য যথেষ্ট।
DUA
After Rainall - 3
After rainfall - 3
اللّهُمَّ حَوالَيْنا وَلا عَلَيْـنَا، اللّهُمَّ عَلى الآكَـامِ وَالظِّـرابِ، وَبُطُـونِِ الأوْدِيةِ، وَمَنـابِِتِ الشَّجَـرِ
Allaahumma hawaalaynaa wa laa 'alaynaa. Allaahumma 'alal-'aakaami wadh-dhiraabi, wa butoonil-'awdiyati, wa manaabitish-shajari
O Allah, let it pass us and not fall upon us, but upon the hills and mountains, and the center of the valleys, and upon the forested lands.
Al-Bukhari 1:224
Sahih al-Bukhari 1014
Narrated Sharik:
Anas bin Malik said, "A person entered the Mosque on a Friday through the gate facing the Daril- Qada' and Allah's Messenger (ﷺ) was standing delivering the Khutba (sermon). The man stood in front of Allah's Messenger (ﷺ) and said, 'O Allah's Messenger (ﷺ), livestock are dying and the roads are cut off; please pray to Allah for rain.' So Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) raised both his hands and said, 'O Allah! Bless us with rain. O Allah! Bless us with rain. O Allah! Bless us with rain!" Anas added, "By Allah, there were no clouds in the sky and there was no house or building between us and the mountain of Sila'. Then a big cloud like a shield appeared from behind it (i.e. Silas Mountain) and when it came in the middle of the sky, it spread and then rained. By Allah! We could not see the sun for a week. The next Friday, a person entered through the same gate and Allah's Messenger (ﷺ) was delivering the Friday Khutba and the man stood in front of him and said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! The livestock are dying and the roads are cut off; Please pray to Allah to withhold rain.' " Anas added, "Allah's Messenger (ﷺ) raised both his hands and said, 'O Allah! Round about us and not on us. O Allah!' On the plateaus, on the mountains, on the hills, in the valleys and on the places where trees grow.' " Anas added, "The rain stopped and we came out, walking in the sun." Sharik asked Anas whether it was the same person who had asked for rain the previous Friday. Anas replied that he did not know.
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ الْمَسْجِدَ يَوْمَ جُمُعَةٍ مِنْ بَابٍ كَانَ نَحْوَ دَارِ الْقَضَاءِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يُغِيثُنَا فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا ". قَالَ أَنَسٌ وَلاَ وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ، وَلاَ قَزَعَةً، وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلاَ دَارٍ. قَالَ فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ، فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ، فَلاَ وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سِتًّا، ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يُمْسِكْهَا عَنَّا. قَالَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ وَبُطُونِ الأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ ". قَالَ فَأَقْلَعَتْ وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ. قَالَ شَرِيكٌ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَهُوَ الرَّجُلُ الأَوَّلُ فَقَالَ مَا أَدْرِي.
১০১৪. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি জুমু‘আহ’র দিন দারুল কাযা (বিচার করার স্থান)-এর দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। এ সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ধন-সম্পদ নষ্ট হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেল। আপনি আল্লাহর নিকট দু‘আ করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন।তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ হাত তুলে দু‘আ করলেন, হে আল্লাহ্! আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ্! আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ্! আমাদের বৃষ্টি দান করুন।
আনাস (রাযি.) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মেঘ নেই, মেঘের সামান্য টুকরা ও নেই। অথচ সাল‘আ পর্বত ও আমাদের মধ্যে কোন ঘরবাড়ি ছিল না। তিনি বলেন, হঠাৎ সাল‘আর ওপাশ হতে ঢালের মত মেঘ উঠে এল এবং মধ্য আকাশে এসে ছড়িয়ে পড়লো। অতঃপর প্রচুর বর্ষণ হতে লাগল। আল্লাহর কসম! আমরা ছয়দিন সূর্য দেখতে পাইনি। এর পরের জুমু‘আয় সে দরজা দিয়ে এক ব্যক্তি প্রবেশ করল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি তাঁর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ধন-সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাজেই আপনি বৃষ্টি বন্ধের জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ করুন।
আনাস (রাযি.) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন দু’ হাত তুলে দু‘আ করলেন, হে আল্লাহ্! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ্! টিলা, মালভূমি, উপত্যকায় এবং বনভূমিতে বর্ষণ করুন। আনাস (রাযি.) বলেন, তখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং আমরা বেরিয়ে রোদে চলতে লাগলাম। (রাবী) শরীক (রহ.) বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এ লোকটি কি আগের সেই লোক? তিনি বললেন, আমি জানি না। (৯৩২)
Sahih al-Bukhari 1014
YOUTH
FAMILY OF FAITH
Prophet Ibraneem's Children: The Story of Prophet Isma'eel
Prophet Ibraheem, who is also known as: The Father of the Prophets.
The Birth of Isma'eel
Prophet Ibraheem once asked Allah to grant him good children, but his wife Sarah was barren and old.
She could not bear children. Sarah told Ibraheem to marry another lady called Hajar so he could have a child. Ibraheem married Hajar and prayed to Allah to grant him good children. Allah answered Ibraheern's prayer, and a son was born to Hajar. They named him Isma'eel. The name Isma'eel means "Allah listens to prayers." When Isma'eel was born, Ibraheem was 86 years old.
Ibraheem Moved Hajar and Isma'eel to Makkah
Later, Ibraheem received an order from God to take his wife Hajar and their newborn son to the ruins of Al-Masjid-ul-Haram, or the Sacred House in Makkah. The masjid was built thousands of years before the time of Ibraheem. Prophet Adam, with the help of angels, built that holy mosque to worship Allah. It was the first house built on Earth to worship God. This masjid crumbled and disappeared many years after Prophet Adam died. Only the foundation of that house remained in place.
Ibraheem took his family and traveled south from Palestine to Arabia. After a long journey they reached Makkah. Makkah was then just a hot desert with barren mountains. Nobody lived there at that time because there was no water in the area.
Hajar's Trust in Allah
Ibraheem left his wife and infant at a valley near the ruins of Al-Masjid-ul-Haram. He left with her a sack of dates and a jug of water. There were no plants, no water and no people. Then he turned his back to leave. Hajar was scared to be left alone so she followed him. She grabbed his sleeve and said, "Why are you leaving us in this empty valley?" She begged, "Please don't go! We will die here." But Ibraheem gave no answer and continued, not looking back.
Hajar followed Ibraheem and repeated her question many times, but she received no answer. Then when he was leaving the valley, he heard her voice coming to him, "Did Allah order you to do this?"
"Yes," he replied without looking back.
With a faith that was unshakable, she surrendered to her God's will and said: Then He will not leave us alone.
The Prayer of Ibraheern
When Ibraheem could no longer be seen by Hajar, he raised his hands to the sky and made a sincere dua'a to God:
Oh Lord! Lo! I have settled some of my family in a valley of no plants near your holy house. Oh Lord! This I have done so that they may perform prayer. Let then human heart feel inclined towards them, and provide them with food so that they may be thankful. [14:37]
Hajar Runs Between As-Safa and Al-Marwah
After several days, Hajar ran out of dates and water. She became hungry and thirsty, so her milk dried up. The baby Isma'eel also became hungry and thirsty, and started to cry in pain. Hajar's heart went out to him. Watching him cry and being unable to do anything really broke her heart. She left her baby near the ruins and walked towards the nearest hill. It was not far from her son, and she kept an eye on him. She climbed the hill called As-Safa' and looked for somebody, but she saw no one. She went down the hill and hurried in the other direction towards another hill called 'Al-Marwah', and looked. She found nothing. Then she hurried back to As-Safa, to keep an eye on her infant and search again for somebody. Hajar ran seven times between As-Safa and Al-Marwah. "Those seven times," the Prophet said, "are what is called Sa'i." This is what Muslims do during Hajj or Urnrah in memory of Hajar.
The Spring of Zamzam
Suddenly Hajar heard something. "Shush!" she said to herself. Then she listened attentively and saw an amazing sight. She saw an angel coming down next to Isma'eel. The angel hit the ground with the tip of his wing and water came gushing out. Hajar hurried and scooped the water with her two hands and the water gushed more and more. She drank and gave water to her infant. Hajar was made so happy by Allah's kind help. This water still flows today. It is called the Well of ZamZam.
The Start of Makkah
Some time later a caravan was traveling, coming from Yemen. They saw something strange. Birds were hovering in the sky. One of the tribesman said that there must be water where the birds were hovering. They sent their runner to scout the place. He came back confirming that indeed there was water. They found Hajar living beside the well with her baby. They asked her permission to settle down there and use the water in return for a payment. She agreed and thanked God foi- both the company of the people and the means for earning a living.
That is how the dua'a of Ibraheem was realized and Hajar's faith proved to be true - Allah did not abandon her and her son atone. His plan was fullfilled only when his servants, Ibraheem and Hajar, trusted in Him.
Later, the Arabian tribe of Jurhum settled in the area. Isma'eel grew up amongst them and learned the Arabic language very well. He married an Arab woman from the tribe. Most of the Arab nation came from that family. The best of all creation, Prophet Muhammad, came from that branch. Prophet Isma'eel is the great grandfather of Prophet Muhammad (S).
Ibraheem's Vision
Isma'eel grew up around the Sacred House. When he was about 12 years of age, Prophet Ibraheem came from Palestine to visit him and his mother Hajar. Soon after this, Prophet Ibraheem had a dream. In the dream Allah told Ibraheem that he would have to slaughter his beloved son Isma'eel! Prophet Ibraheem saw the dream again several times so he knew that Allah was ordering him to slaughter his son. He became very sad and worried. In spite of this, Prophet Ibraheem wanted to obey Allah. So, he told Isma'eel about the dream.
Ismeeel was a good and obedient son. He said to his father: ''Father, do whatever God commands you. You will find that I am patient if God so wills."
When Ibraheem was about to slaughter his son, God called him. Let's learn from Al-Qur'an what happened next.
Building Al-Ka'bah
Allah SWT was very pleased with Ibraheem and young Isma'eel because they passed the difficult test of obedience. Therefore Allah wanted to honor Ibraheem and Isma'eel forever.
It is not difficult for someone to obey easy orders from Allah, but so hard to obey difficult ones. Only strong believers obey Allah in difficult times.
Allah ordered Ibraheem to rebuild Al-Masjid Al-Hararn and call all people to visit it for Hajj. So, he traveled once more from Palestine to Makkah. He found Isma'eel sitting near the ruins of the Sacred Masjid. Isma'eel was making arrows for hunting. He was a good hunter. When Isma'eel saw his father, he jumped up and hugged him. Prophet Ibraheem then said, "Oh Isma'eel, Allah ordered me to build a masjid here."
"Then obey your Lord, Father," Isma'eel answered.
"Allah orders you to help me," Ibraheem added.
"Of course I will help, Father," Isma'eel assured him.
Ibraheem looked for the foundation of the Sacred House that was built during the time of Adam. Then he and Isma'eel (A) decided to build the bricks over the old foundation.
Ibraheem and Isma'eel were excited and started the work immediately. Isma'eel learned from his father not to delay God's work.
They were both happy to rebuild the first house of worship on Earth. It is now called Al-Kabah, or the cubic building.
Isma'eel worked hard stacking the bricks and Ibraheem laid them one after the other. Whenever his father needed something Isma'eel did it promptly for him. Isma'eel was truly a great son.
When the building was above shoulder-level, Isma'eel brought his father a big rock so he could step on it and complete the rest of Al-Ka'bah. This rock was later known as Maqam Ibraheem, or the Stand of Ibraheem. It is now displayed near Al-Ka'bah in Al-Masjid Al-Haram in Makkah.
While Ibraheem and Isma'eel were building Al-Ka'bah they made dua'a to Allah to accept their work and good deeds.
Questions
What were two ways that Allah tested Ibraheem?
Hajar was a true believer in Allah. Explain how.
During Hajj, Muslims run seven times between As-Safa and Al-Marwa. Why do they do this?
What was special about Isma'eel?
Describe how Isma'eel was a good son.
Who built Al-Masjid Al-Haram the first time? And who rebuilt it the second time after it had crumbled?
Who is the greatest of Prophet Isma'eel's offspring?