1446H Week-14
Friday, 11 October 2024
QURAN
Saba | Sheba | Verse 51-54
Surah Saba
Ayahs
54
Revelation Place
Mecca
Name
The Surah takes its name from verse 15 in which the word Saba has occurred, which implies that it is the Surah in which mention has been made of Saba (i. e. the Sabaeans).
Period of Revelation
The exact period of its revelation is not known from any reliable tradition. However, the style shows that it is either the middle or the early Makkan period. If it is the middle period, it was probably its initial stage when the persecution had not yet become tyrannical and the Islamic movement was being suppressed only by resort to derision and ridicule, rumor mongering, false allegations and casting of evil suggestions in the people's minds.
34:51
وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذْ فَزِعُوا۟ فَلَا فَوْتَ وَأُخِذُوا۟ مِن مَّكَانٍۢ قَرِيبٍۢ ٥١
And if you could see[1] when they are terrified but there is no escape, and they will be seized from a place nearby.
— Saheeh International
[1]i.e., have a glimpse of the Hereafter.
তুমি যদি দেখতে যখন তারা ভীত বিহবল হয়ে পড়বে! তারা অব্যাহতি পাবেনা এবং তারা নিকটস্থ স্থান হতে ধৃত হবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
34:52
وَقَالُوٓا۟ ءَامَنَّا بِهِۦ وَأَنَّىٰ لَهُمُ ٱلتَّنَاوُشُ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍۢ ٥٢
And they will [then] say, "We believe in it!" But how for them will be the taking[1] [of faith] from a place far away?[2]
— Saheeh International
[1]Literally, "taking of something within easy reach," in other words, "How can they expect to obtain faith at this point?"
[2]i.e., their former life on earth, wherein they had every opportunity but which is now gone, never to return.
আর তারা বলবেঃ আমরা তাঁকে বিশ্বাস করলাম। কিন্তু এত দূরবর্তী স্থান হতে তারা নাগাল পাবে কিরূপে?
— Sheikh Mujibur Rahman
34:53
وَقَدْ كَفَرُوا۟ بِهِۦ مِن قَبْلُ ۖ وَيَقْذِفُونَ بِٱلْغَيْبِ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍۢ ٥٣
And they had already disbelieved in it before and would assault[1] the unseen from a place far away.[2]
— Saheeh International
[1]i.e., a position far from truth.
[2]Verbally, by conjecture and denial.
তারাতো পূর্বে তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল; তারা দূরবর্তী স্থান হতে অদৃশ্য বিষয়ে বাক্য ছুড়ে মারত।
— Sheikh Mujibur Rahman
34:54
وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ كَمَا فُعِلَ بِأَشْيَاعِهِم مِّن قَبْلُ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا۟ فِى شَكٍّۢ مُّرِيبٍۭ ٥٤
And prevention will be placed between them and what they desire,[1] as was done with their kind before. Indeed, they were in disquieting doubt [i.e., denial].
— Saheeh International
[1]Meaning the attainment of faith and its benefits or entrance into Paradise.
তাদের ও তাদের প্রবৃত্তির মাঝে অন্তরাল করা হয়েছে, যেমন পূর্বে করা হয়েছিল তাদের সমপন্থীদের ক্ষেত্রে। তারা ছিল বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে।
— Sheikh Mujibur Rahman
Tafseer Ibn Kathir (Abridged)
وَأُخِذُواْ مِن مَّكَانٍ قَرِيبٍ
(and they will be seized from a near place.) means, they will not even be given the slightest chance of escape, but they will be seized from the first instant. Al-Hasan Al-Basri said: "When they come forth from their graves."
وَقَالُواْ ءَامَنَّا بِهِ
(And they will say: "We do believe (now);") means, on the Day of Resurrection, they will say, `we believe in Allah and His angels, Books and Messengers.' This is like the Ayah:
وَلَوْ تَرَى إِذِ الْمُجْرِمُونَ نَاكِسُواْ رُءُوسِهِمْ عِندَ رَبِّهِمْ رَبَّنَآ أَبْصَرْنَا وَسَمِعْنَا فَارْجِعْنَا نَعْمَلْ صَـلِحاً إِنَّا مُوقِنُونَ
(And if you only could see when the criminals shall hang their heads before their Lord (saying): "Our Lord! We have now seen and heard, so send us back that we will do righteous good deeds. Verily, we now believe with certainty.") (32:12) Allah says:
وَأَنَّى لَهُمُ التَّنَاوُشُ مِن مَّكَانِ بَعِيدٍ
(but how could they receive from a place so far off) meaning, how could they attain faith now that they are so far removed from the place where it could be accepted from them, and they have entered the realm of the Hereafter which is the realm of reward and punishment, not the realm of trial and testing If they had believed in this world, that would have been good for them, but now they have entered the Hereafter, there is no way that their faith can be accepted, just as there is no way a person can get a thing if he is far away from it. Mujahid said:
وَأَنَّى لَهُمُ التَّنَاوُشُ
but how could they At-Tana0wush؟ means, How could they attain that؟ Az-Zuhri said, They will wish to attain faith when they have reached the Hereafter and are cut off from this world. Al-Hلasan Al-Basلri said, They will seek something when they have no way of attaining it, they will seek faith from a distant place.
وَقَدْ كَـفَرُواْ بِهِ مِن قَـبْلُ
Indeed they did disbelieve before, means, how can they attain faith in the Hereafter when in this world they disbelieved in the truth and denied the Messengers؟
وَيَقْذِفُونَ بِالْغَيْبِ مِن مَّكَانٍ بَعِيدٍ
(and they (used to) conjecture about the Unseen from a far place. ) Malik narrated from Zayd bin Aslam that he said:
وَيَقْذِفُونَ بِالْغَيْبِ
(and they (used to) conjecture about the Unseen,) means, "By guessing." as Allah says,
رَجْماً بِالْغَيْبِ
guessing at the Unseen )18:22(. Sometimes they said he was a poet, sometimes they said he was a soothsayer, or a sorcerer, or a mad man, or other baseless comments. They denied the idea of resurrection and said:
إِن نَّظُنُّ إِلاَّ ظَنّاً وَمَا نَحْنُ بِمُسْتَيْقِنِينَ
(we do not think it but as a conjecture, and we have no firm convincing belief.) (45:32). Qatadah and Mujahid said, "Their belief that there would be no resurrection, no Paradise and no Hell was based on mere conjecture."
وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ
(And a barrier will be set between them and that which they desire,) Al-Hasan Al-Basri, Ad-Dahhak and others, `This means faith." As-Suddi said:
وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ
(And a barrier will be set between them and that which they desire, ) means "Repentance." This was also the view of Ibn Jarir, may Allah have mercy on him. Mujahid said:
وَحِيلَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ مَا يَشْتَهُونَ
(And a barrier will be set between them and that which they desire,) means, "This world and its wealth, luxuries and people." Something similar was narrated from Ibn `Umar, Ibn `Abbas and Ar-Rabi` bin Anas, may Allah be pleased with him. It is also the opinion of Al-Bukhari and the Group. The correct view is that there is no contradiction between the two views, for a barrier will be set between them and what they desire in this world, and what they seek in the Hereafter will be denied from them.
كَمَا فُعِلَ بِأَشْيَـعِهِم مِّن قَبْلُ
(as was done in the past with the people of their kind.) means, as happened to the nations of the past who disbelieved in the Messengers; when the punishment of Allah came upon them, they wished that they had believed, but this was not accepted from them.
فَلَمَّا رَأَوْاْ بَأْسَنَا قَالُواْ ءَامَنَّا بِاللَّهِ وَحْدَهُ وَكَـفَرْنَا بِمَا كُنَّا بِهِ مُشْرِكِينَ - فَلَمْ يَكُ يَنفَعُهُمْ إِيمَـنُهُمْ لَمَّا رَأَوْاْ بَأْسَنَا سُنَّةَ اللَّهِ الَّتِى قَدْ خَلَتْ فِى عِبَادِهِ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْكَـفِرُونَ
(So, when they saw Our punishment, they said: "We believe in Allah Alone and reject (all) that we used to associate with Him as (His) partners. "Then their faith could not avail them when they saw Our punishment. (Like) this has been the way of Allah in dealing with His servants. And there the disbelievers lost utterly.) (40:84-85).
إِنَّهُمْ كَانُواْ فِى شَكٍّ مُّرِيبِ
Verily, they have been in grave doubt. means, in this world they had doubts, so their faith will not be accepted from them when they behold the punishment with their own eyes. Qata0dah said, Beware of doubt. For whoever dies doubting, will be raised doubting؛ and whoever dies believing, with certainty will be raised believing with certainty. This is the end of the Tafsir of Surah Saba'. Allah, may He be glorified and exalted, is the Guide to the right way.
তাফসীর ইবনে কাছীর
৫১-৫৪ নং আয়াতের তাফসীর:
আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা বলছেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তুমি যদি ঐ কাফিরদের কিয়ামতের দিনের ভীতি-বিহ্বলতা দেখতে! সব সময় তারা শাস্তি হতে পরিত্রাণ প্রার্থনা করবে। কিন্তু পরিত্রাণ লাভের কোন উপায় খুঁজে পাবে না। পালিয়েও না, লুকিয়েও না, কারো সাহায্যেও না এবং কারো আশ্রয়েও না। বরং পাশে হতেই তাদেরকে পাকড়াও করে নেয়া হবে। এদিকে কবর হতে বের হবে আর ওদিকে আবদ্ধ হয়ে যাবে। এদিকে দাঁড়াবে আর ওদিকে পাকড়াও হয়ে যাবে। ভাবার্থ এটা হতে পারে যে, দুনিয়াতেই শাস্তিতে আবদ্ধ হয়ে যাবে। যেমন বদর প্রভৃতি যুদ্ধে নিহত ও বন্দী হয়েছিল। কিন্তু সঠিক কথা এটাই যে, এর দ্বারা কিয়ামতের দিনের শাস্তিকেই বুঝানো হয়েছে। কেউ কেউ বলেন যে, বানু আব্বাসের খিলাফতকালে মক্কা ও মদীনার মাঝামাঝি জায়গায় তাদের সৈন্যদের যমীনে ধ্বসে যাওয়াকে বুঝানো হয়েছে। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এটা বর্ণনা স্বার পর এর দলীল হিসেবে একটি সম্পূর্ণ মাওযূ' বা বানানো হাদীস পেশ করেছেন। কিন্তু বড়ই আশ্চর্যজনক ব্যাপার এই যে, এ হাদীসটি সম্পূর্ণরূপে মাওযূ এবং এটা ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) বর্ণনা করেননি।কিয়ামতের দিন তারা বলবেঃ আমরা এখন ঈমান আনলাম আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাবসমূহের উপর এবং তাঁর রাসূলদের উপর। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “এবং হায়! তুমি যদি দেখতে। যখন অপরাধীরা তাদের প্রতিপালকের সামনে অধোবদন হয়ে বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা প্রত্যক্ষ করলাম এবং শ্রবণ করলাম; এখন আপনি আমাদেরকে পুনরায় প্রেরণ করুন! আমরা সৎকর্ম করবো, আমরা তো দৃঢ় বিশ্বাসী।” (৩২:১২)
কিন্তু কোন লোক কোন দূরের জিনিস গ্রহণ করার জন্যে দূর থেকে হাত বাড়ালে তা যেমন ধরতে পা ঠক তেমনই অবস্থা হবে ঐ লোকদের। আখিরাতের জন্যে যে কাজ দুনিয়ায় করা উচিত ছিল সে কাজ সে আখিরাতে করতে চায়। সুতরাং আখিরাতের ঈমান আনয়ন বৃথা। তখন আর না তাদেরকে দুনিয়ায় ফিরিয়ে দেয়া হবে, না সেখানে কেঁদে কেটে কোন লাভ হবে। না তাওবা, ফরিয়াদ, ঈমান ও ইসলাম কোন কাজ দেবে। ইতিপূর্বে তো দুনিয়ায় তারা সবকিছু প্রত্যাখ্যান করেছিল। না আল্লাহকে মেনেছিল, না রাসূলের উপর ঈমান এনেছিল, না কিয়ামতকে বিশ্বাস করেছিল। এভাবেই নিজের খেয়াল-খুশী মত তারা আল্লাহকে অস্বীকার করে এসেছে, তার নবী (সঃ)-কে যাদুকর বলেছে, আবার কখনো পাগল বলেছে, কিয়ামতকে মিথ্যা বলেছে, বিনা প্রমাণে অন্যের ইবাদতে লেগে পড়েছে এবং জান্নাত ও জাহান্নামের কথা শুনে উপহাস করেছে। এখন তারা ঈমান আনছে ও অনুতপ্ত হচ্ছে। কিন্তু এখন তো তাদের ও আল্লাহর মধ্যে পর্দা পড়ে গেছে। দুনিয়া তাদের কাছ থেকে সরে গেছে, দুনিয়া হতে তারা এখন পৃথক হয়ে গেছে।ইবনে আবি হাতিম (রঃ) এখানে এক অতি বিস্ময়কর ‘আসার’ বর্ণনা করেছেন যা আমরা নিম্নে পূর্ণভাবে বর্ণনা করছিঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, বানী ইসরাঈলের মধ্যে একজন বিজয়ী লোক ছিল। সে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক ছিল। সে মারা গেলে তার একটি পুত্র তার মালের উত্তরাধিকারী হলো। সে ঐ ধন-সম্পদ বিপথে ও আল্লাহর নাফরমানীর কাজে ব্যয় করতে লাগলো। এ দেখে তার চাচারা তাকে তিরস্কার করলো এবং বুঝাতে লাগলো। এতে সে রাগান্বিত হয়ে তার সমুদয় জিনিসপত্র ও জমিজমা বিক্রি করে দিলো এবং টাকা পয়সা নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলো এবং আইনায়ে জাজাহ নামক স্থানে এসে একটি প্রসাদ নির্মাণ করলো। অতঃপর সেখানে বসবাস করতে শুরু করলো। একদা ভীষণ ঝড়-তুফান শুরু হলো এবং ঐ ঝড়ে এক পরমা সুন্দরী মহিলা তার প্রাসাদে এসে পড়লো। মহিলাটি তাকে জিজ্ঞেস করলোঃ “আপনি কে?” সে উত্তরে বললোঃ “আমি বানী ইসরাঈলের একজন লোক।” মহিলাটি পুনরায় জিজ্ঞেস করলোঃ “এই প্রাসাদ এবং ধন-দৌলত কি আপনার?” সে জবাব দিলোঃ “হ্যা।”
মহিলাটি আবার প্রশ্ন করলোঃ “আপনার স্ত্রী আছে কি? সে উত্তরে বললোঃ “না।” মহিলাটি বললোঃ “তাহলে জীবনের কি স্বাদ আপনি উপভোগ করছেন?” সে তখন মহিলাটিকে জিজ্ঞেস করলোঃ “তোমার কি স্বামী আছে?” সে জবাব দিলোঃ “না।” সে বললোঃ “তাহলে তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে কবুল করে নাও?” মহিলাটি বললোঃ “আমি এখান থেকে এক মাইল দূরে অবস্থান করি। আগামীকাল আপনি পুরো একদিনের খাবার সাথে নিয়ে আমার ওখানে আসুন। পথে বিস্ময়কর কিছু দেখলে ভয় পাবেন না।” সে এটা স্বীকার করে নিলো। পরের দিন খাদ্য সাথে নিয়ে সে বেরিয়ে পড়লো। এক মাইল পথ চলার পর সে একটি বিরাট অট্টালিকা দেখতে পেলো। দরযায় করাঘাত করলে একটি যুবক বেরিয়ে আসলো এবং জিজ্ঞেস করলোঃ “তুমি কে?” সে জবাব দিলোঃ “আমি বানী ইসরাঈলের এক লোক।” যুবকটি জিজ্ঞেস করলোঃ “কি কাজে এসেছো?” সে উত্তরে বললোঃ “এই বাড়ীর মালিকা আমাকে ডেকেছেন।” যুবকটি প্রশ্ন করলোঃ “পথে বিস্ময়কর ও ভয়াবহ কিছু দেখেছো কি?" সে জবাব দিলোঃ “হ্যা, যদি আমাকে ভয় করবে না একথা বলা না হতো তবে আমি ভয়ে ধ্বংসই হয়ে যেতাম। আমি চলতে চলতে এক প্রশস্ত রাস্তায় পৌঁছি। দেখি যে, একটি কুকুরী হা করে আছে। আমি ভয় পেয়ে দৌড়াতে শুরু করি। তখন দেখি যে, সে আমার আগে আগে দৌড়াচ্ছে এবং বাচ্চা তার পেটে ঘেউ ঘেউ করছে।” ঐ যুবকটি একথা শুনে বললোঃ “তুমি একে পাবে না। এটা তো শেষ যুগে ঘটবে। এমনই দৃষ্টান্তমূলক একটি ঘটনা তোমাকে দেখানো হয়েছে। একজন যুবক বৃদ্ধ ও মুরুব্বীদের মজলিসে বসবে এবং নিজের গোপনীয় কথা তাদের কাছে খুলে বলবে।” ঐ লোকটি বলতে থাকলোঃ “আমি আরো অগ্রসর হলাম। দেখলাম যে, একশটি বকরী রয়েছে যাদের স্তন দুধে পূর্ণ রয়েছে। আর একটি বাচ্চা রয়েছে, যে দুধ পান করছে। যখন দুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং সে জানতে পারছে যে, দুধ আর নেই তখন হা করে থাকছে, যেন সে আরো চাচ্ছে।" যুবকটি বললোঃ “তুমি তাকেও পাবে না। এটা তোমাকে একটি উপমা হিসেবে দেখানো হয়েছে ঐ বাদশাহদের যারা শেষ যুগে বাদশাহী করবে। তারা জনগণের ধন-দৌলত সোনা-চাদি ছিনিয়ে নিবে। যখন তারা জানতে পারবে যে, জনগণের কাছে আর কিছুই নেই, তখনও তারা অত্যাচার করবে ও হা করে থাকবে।" লোকটি আরো বললোঃ “আমি আরো সামনে এগিয়ে গেলাম।
দেখলাম যে, একটি খুব সুন্দর রঙ এর তাজা গাছ রয়েছে। গাছটির গঠনও খুব সুন্দর। আমি গাছটির ডাল ভেঙ্গে নেয়ার ইচ্ছা করলে অন্য গাছ হতে শব্দ আসলোঃ হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার ডাল ভেঙ্গে নাও।' প্রত্যেক গাছ হতেই এরূপ শব্দ আসতে থাকলো।” দারোয়ান যুবকটি বললোঃ “তুমি তাকেও পাবে না। এতে এর ইঙ্গিত রয়েছে যে, শেষ যামানায় পুরুষের সংখ্যা হবে কম এবং নারীর সংখ্যা হবে বেশী। যখন একজন পুরুষের পক্ষ হতে কোন নারীর নিকট বিয়ের প্রস্তাব যাবে তখন দশ বিশজন নারীর প্রত্যেকেই তাকে নিজের দিকে আহ্বান করবে।” লোকটি বলতেই থাকলোঃ “আমি আরো সামনের দিকে অগ্রসর হলাম। দেখলাম যে, একটি লোক নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আছে এবং পানি ভরে ভরে লোকদেরকে পান করাচ্ছে। অতঃপর সে নিজের মশকে পানি ঢালছে। কিন্তু এক ফোঁটা পানিও তাতে থাকছে না।" যুবকটি বললোঃ “এতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, শেষ যুগে এমন আলেম ও বক্তাদের আবির্ভাব ঘটবে যারা লোকদেরকে ইলম শিক্ষা দিবে, ভাল কথা তাদেরকে বলবে। কিন্তু নিজে আমল করবে না। বরং পাপে জড়িয়ে পড়বে।” লোকটি বললোঃ “আমি আরো সামনে অগ্রসর হলাম। দেখলাম যে, একটি বকরী রয়েছে। কেউ তার পা ধরে আছে, কেউ শিং ধরে আছে, কেউ ধরে আছে লেজ, কেউ তার উপর সওয়ার হয়ে আছে এবং কেউ তার দুধ দোহন করছে।” যুবকটি বললোঃ “এটি হলো দুনিয়ার উপমা। যে তার পা ধরে আছে সে দুনিয়া হতে পড়ে গেছে। সে দুনিয়া লাভ করতে পারেনি। যে তার শিং ধরে আছে সে কোনমতে জীবন যাপন করে বটে, কিন্তু অভাব অনটনের মধ্যে থাকে। যে তার লেজ ধরে আছে তার থেকে দুনিয়া পালিয়ে যাচ্ছে। আর যে তার উপর সওয়ার হয়ে আছে সে হলো ঐ ব্যক্তি যে স্বয়ং দুনিয়া পরিত্যাগ করেছে। তবে হ্যা, দুনিয়া হতে উপকার গ্রহণকারী হলো ঐ ব্যক্তি যাকে তুমি ঐ বকরী হতে দুধ দোহন করতে দেখেছো। সে আনন্দিত হোক। সে মুবারকবাদ পাওয়ার যোগ্য।” লোকটি বললোঃ “আমি আরো আগে চললাম। দেখি যে, একটি লোক কূপ হতে পানি উঠাচ্ছে এবং একটি চৌবাচ্চায় ঢালছে। ঐ চৌবাচ্চা হতে পানি আবার ঐ কৃপে ফিরে যাচ্ছে।" যুবকটি বললোঃ “এটা হলো ঐ ব্যক্তি, যে ভাল কাজ করে কিন্তু তা কবুল হয় না ।"
লোকটি বললোঃ “আমি আরো আগে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম যে, একটি লোক জমিতে বীজ বপন করলো। তৎক্ষণাৎ গাছ হয়ে গেল এবং খুবই উত্তম গম উৎপন্ন হলো।” যুবকটি বললোঃ “এটা হলো ঐ ব্যক্তি যার ভাল কাজগুলো আল্লাহ কবুল করে থাকেন। লোকটি বলে চললোঃ “আমি আরো সামনে অগ্রসর হলাম। দেখলাম যে, একটি লোক চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। সে আমাকে বললোঃ “ভাই, আমাকে আমার হাত ধরে তুলে বসিয়ে দাও। আল্লাহর কসম! যখন থেকে আমি সৃষ্টি হয়েছি, কখনো বসিনি। আমি তার হাত ধরা মাত্রই সে দাঁড়িয়ে গিয়ে ছুটে পালালো। শেষ পর্যন্ত সে আমার দৃষ্টির অন্তরালে চলে গেল।” যুবকটি বললোঃ “এটা তোমার আয়ু ছিল যা চলে গেছে ও শেষ হয়ে গেছে। আমি মালাকুল মাউত (মৃত্যুর ফেরেশতা)। যে মহিলাটির সাথে তুমি দেখা করতে এসেছো ঐ চেহারায় আমিই ছিলাম। আল্লাহর নির্দেশক্রমে তোমার কাছে গিয়েছিলাম। আমি তোমার রূহ এখানে কবজ করবো ও তোমাকে জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দিবো।” এ ব্যাপারেই (আরবী) এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (এ আসারটি গারীব বা দুর্বল। এর সত্যতা সম্পর্কে চিন্তা ভাবনার অবকাশ রয়েছে)
এই আয়াতটির ভাবার্থ প্রকাশমান যে, কাফিরদের যখন মত্যর সময় ঘনিয়ে। আসে তখন তাদের রূহ দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও রঙ-তামাশায় আবদ্ধ থাকে কিন্তু মৃত্যু তাকে অবকাশ দেয় না এবং তার কামনা বাসনাও তার মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যায়। যেমন ঐ অহংকারী ও প্রলোভিত লোকটির অবস্থা হয়েছে। সে তো গিয়েছিল নারীর অন্বেষণে, কিন্তু সাক্ষাৎ হলো তার মালাকুল মাউতের সাথে। আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবার পূর্বেই তার রূহ বের হয়ে গেল।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ যেমন পূর্বে করা হয়েছিল তাদের সমপন্থীদের ক্ষেত্রে। তারাও মরণের পূর্বে বেঁচে থাকার প্রার্থনা করতো। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যখন তারা আমার আযাব দেখলো তখন বললোঃ আমরা এক আল্লাহর উপর ঈমান আনলাম। যেগুলোকে আমরা আল্লাহর সাথে শরীক করেছিলাম সেগুলোকে এখন অস্বীকার করছি। কিন্তু ঐ সময় তাদের ঈমান তাদের কোন উপকারে আসেনি।”(৪০:৪৮) তাদের সাথে আল্লাহর এই নিয়ম জারিই থাকলো। কাফিররা উপকার লাভে বঞ্চিত হলো। সারা জীবন তো তারা বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে কাটিয়েছে। আযাব দেখে নেয়ার পর ঈমান আনয়ন বৃথা। হযরত কাতাদা (রঃ)-এর নিম্নের উক্তিটি স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার যোগ্য। তিনি বলেনঃ তোমরা শক-সন্দেহ হতে বেঁচে থাকো। এর উপর যার মৃত্যু হবে কিয়ামতের দিন তাকে তারই উপর উঠানো হবে। আর যে ঈমানের উপর মারা যাবে তাকে ঈমানের উপরই উঠানো হবে।
ALLAH
Al-Witr
Al-Witr
Meaning: He is the One and Unique for whom there is no partner or equal.
Occurrence : This name is not mentioned in the Holy Qur’an but rather in the Prophet’s Sunnah.
Evidence: The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, “Surely, Allah is Al-Witr (i.e. One who has no equal), and He likes Al-Witr [prayer].” (Reported by Muslim )
How Can You Live By This Name
1. Keep reminding yourself of the uniqueness of Al-Witr. The fact Allah ‘azza wa jall is one and unique in all He does, knows and gives is something we know, but sometimes forget to live by in our daily lives. Remind yourself each day Allah is the only one who can give you Paradise, so put Him first and not what people think or want of you or even what your ego (nafs) whispers to you!
2. Pray the Witr prayer. The Witr prayer is one of the greatest acts of worship that draw one closer to Allah. The majority of the scholars say is one of the confirmed sunan (a sunnah mu’akkadah) which you as a Muslim should observe regularly and not neglect. Imam Ahmad raheemahullah even said: Whoever neglects Witr is a bad man whose testimony should not be accepted. The Prophet said: Allah has prescribed for you a prayer (by which He may increase your reward), which is Witr; Allah has enjoined it for you during the time between ‘Esha prayer until dawn begins. [At-Tirmidhee, saheeh] Ask Allah Al-Witr to enable you to pray this prayer regularly.
3. Be unique. As true Muslims we all share our belief in Allah Al-Witr alone, but this doesn’t mean we should not strive to be unique in our actions! Do your best to perform as many good deeds as you can, be creative and set up your own projects on the path of Islam and for the pleasure of Al-Witr and by the will of Allah, leave an unique legacy in this world which will count for you in the Herefter inshaa’Allah.
4. Know the meaning of tawheed and live by it. Studying the meaning of tawheedullaah (the Oneness of Allah), its types and how to live by them is the most important branch of Islamic knowledge. Part of this knowledge are knowing the names and attributes of Allah ‘azza wa jall. At least spend one day a week of which you read from a trustworthy book about tawheed and its types and make sure to convey this knowledge to your children and family inshaa’Allah!