1446H Week-02
Friday, 19 July 2024
QURAN
Al-Ahzab | The Combined Forces | Verse 69-71
Surah Al-Ahzab
Ayahs
73
Revelation Place
Medina
Name
The Surah derives its name Al-Ahzab from verse 20.
Period of Revelation
The Surah discusses three important events which are: the Battle of the Trench (or Al-Ahzab : the Clans), which took place in Shawwal, A. H. 5; the raid on Bani Quraizah, which was made in Dhil-Qa'dah, A. H. 5; and the Holy Prophet's marriage with Hadrat Zainab, which also was contracted in Dhil-Qa'dah, A. H. 5. These historical events accurately determine the period of the revelation of this Surah.
33:69
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ ءَاذَوْا۟ مُوسَىٰ فَبَرَّأَهُ ٱللَّهُ مِمَّا قَالُوا۟ ۚ وَكَانَ عِندَ ٱللَّهِ وَجِيهًۭا ٦٩
O you who have believed, be not like those who abused Moses; then Allāh cleared him of what they said. And he, in the sight of Allāh, was distinguished.
— Saheeh International
হে মু’মিনগণ! মূসাকে যারা ক্লেশ দিয়েছে তোমরা তাদের মত হয়োনা; তারা যা রটনা করেছিল আল্লাহ তা হতে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করেন; এবং আল্লাহর নিকট সে মর্যাদাবান।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:70
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَقُولُوا۟ قَوْلًۭا سَدِيدًۭا ٧٠
O you who have believed, fear Allāh and speak words of appropriate justice.
— Saheeh International
হে মু’মিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:71
يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَـٰلَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا ٧١
He will [then] amend for you your deeds and forgive you your sins. And whoever obeys Allāh and His Messenger has certainly attained a great attainment.
— Saheeh International
তাহলে তিনি তোমাদের কাজকে ক্রটিমুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
Tafseer Ibn Kathir (Abridged)
The Fabrications of the Jews against Musa
Al-Bukhari recorded in the Book of Hadiths about the Prophets, that Abu Hurayrah said that the Messenger of Allah ﷺ said:
«إِنَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ رَجُلًا حَيِيًّا سِتِّيرًا لَا يُرَى مِنْ جِلْدِهِ شَيْءٌ اسْتِحْيَاءً مِنْهُ، فَآذَاهُ مَنْ آذَاهُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَقَالُوا: مَا يَتَسَتَّرُ هَذَا التَّسَتُّرَ إِلَّا مِنْ عَيْبٍ فِي جِلْدِهِ إِمَّا بَرَصٌ وَإِمَّا أُدْرَةٌ وَإِمَّا آفَةٌ. وَإِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ أَرَادَ أَنْ يُبَرِّئَهُ مِمَّا قَالُوا لِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَخَلَا يَوْمًا وَحْدَهُ فَخَلَعَ ثِيَابَهُ عَلَى حَجَرٍ ثُمَّ اغْتَسَلَ، فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ إِلَى ثِيَابِهِ لِيَأْخُذَهَا، وَإِنَّ الْحَجَرَ عَدَا بِثَوْبِهِ فَأَخَذَ مُوسَى عَصَاهُ وَطَلَبَ الْحَجَرَ فَجَعَلَ يَقُولُ: ثَوْبِي حَجَرُ، ثَوْبِي حَجَرُ، حَتْى انْتَهَى إِلَى مَلَإٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَرَأَوْهُ عُرْيَانًا أَحْسَنَ مَا خَلَقَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَبْرَأَهُ مِمَّا يَقُولُونَ، وَقَامَ الْحَجَرُ، فَأَخَذَ ثَوْبَهُ فَلَبِسَهُ، وَطَفِقَ بِالْحَجَرِ ضَرْبًا بِعَصَاهُ، فَوَاللهِ إِنَّ بِالْحَجَرِ لَنَدَبًا مِنْ أَثَرِ ضَرْبِهِ ثَلَاثًا أَوْ أَرْبَعًا أَوْ خَمْسًا قَالَ: فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى:
يأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُواْ لاَ تَكُونُواْ كَالَّذِينَ ءَاذَوْاْ مُوسَى فَبرَّأَهُ اللَّهُ مِمَّا قَالُواْ وَكَانَ عِندَ اللَّهِ وَجِيهاً »
(Musa, peace be upon him, was a shy and modest man who would never show anything of his skin because of his shyness. Some of the Children of Israel annoyed him by saying: "He only keeps himself covered because of some defect in his skin, either leprosy or scrotal hernia or some other defect." Allah, may He be glorified, wanted to clear Musa, peace be upon him, of what they were saying. One day Musa was alone, so he took off his garment and put it on a rock, then he took a bath. When he had finished, he turned back to pick up his garment, but the rock moved away, taking his garment with it. Musa picked up his stick and chased the rock, saying, "My garment, O rock! My garment, O rock!" Until he reached a group of the Children of Israel, who saw him naked and found that he was the best of those whom Allah had created. Thus he was cleared of what they had said about him. Then the rock stood still, so he took his garment and put it on. He started hitting the rock with his stick, and by Allah, the marks of that beating were left on the rock, three or four or five. This is what is referred to in the Ayah: (O you who believe! Be not like those who annoyed Musa, but Allah cleared him of that which they alleged, and he was honorable before Allah.)) This Hadith is one of those which were recorded by Al-Bukhari but not Muslim. Imam Ahmad recorded that `Abdullah (bin Mas`ud) said: "One day, the Messenger of Allah ﷺ distributed some booty and a man among the Ansar said, `This division was not done for the sake of Allah.' I said, `O enemy of Allah! I am going to tell the Messenger of Allah ﷺ what you have said.' So, I told the Prophet about it. His face reddened and he said,
«رَحْمَةُ اللهِ عَلَى مُوسَى لَقَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَر»
(May Allah have mercy on Musa. He was annoyed with worse than this, yet he remained patient.)" This was recorded in the Two Sahihs.
وَكَانَ عِندَ اللَّهِ وَجِيهاً
(and he was honorable before Allah. ) means, he had a position of status and honor before his Lord, may He be exalted and glorified. Al-Hasan Al-Basri said: "His supplications would be answered by Allah." Some of them said that part of his great standing before Allah was that he interceded for his brother Harun, asking Allah to send him with him as a Messenger, and Allah granted his request and said:
وَوَهَبْنَا لَهُ مِن رَّحْمَتِنَآ أَخَاهُ هَـرُونَ نَبِيّاً
(And We granted him his brother Harun, (also) a Prophet, out of Our mercy.) (19:53)
يأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُواْ اتَّقُواْ اللَّهَ وَقُولُواْ قَوْلاً سَدِيداً - يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَـلَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزاً عَظِيماً
The Command to the Believers to have Taqwa and speak the Truth
Here Allah commands His servants to have Taqwa of Him, worshipping Him as if they can see Him, and to
قَوْلاً سَدِيداً
(speak (always) the truth.) meaning, to speak in a straightforward manner, with no crookedness or distortion. He promises them that if they do that, He will reward them by making their deeds righteous, i.e., enabling them to do righteous deeds, and He will forgive them their past sins. With regard to whatever sins they may commit in the future, He will inspire them to repent from them. Then He says:
وَمَن يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزاً عَظِيماً
(And whosoever obeys Allah and His Messenger, he has indeed achieved a great victory.) meaning, he will be saved from the fire of Hell and will enjoy everlasting delights (in Paradise).
তাফসীর ইবনে কাছীর
৬৯ নং আয়াতের তাফসীর
সহীহ বুখারীতে এ আয়াতের তাফসীরে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “হযরত মূসা (আঃ) একজন বড় লজ্জাবান লোক ছিলেন।” ইমাম বুখারীও তাঁর সহীহ গ্রন্থের ‘কিতাবুত তাফসীর’-এ কুরআন কারীমের এই আয়াতের ভাবার্থ এভাবেই সংক্ষেপে আনয়ন করেছেন। কিন্তু নবীদের হাদীসগুলোর বর্ণনায় এটাকে দীর্ঘভাবে এনেছেন। তাতে এও রয়েছে যে, তিনি অত্যধিক লজ্জার কারণে নিজের দেহের কোন অংশ কারো সামনে উলঙ্গ করতেন না। বানী ইসরাঈল তাকে কষ্ট দেয়ার ইচ্ছা করলো। তারা গুজব রটিয়ে দিলো যে, তাঁর দেহে শ্বেত-কুষ্টের দাগ রয়েছে অথবা এক শিরার কারণে একটি অণ্ডকোষ বড় হয়ে গেছে বা অন্য কোন রোগ রয়েছে, যার কারণে তিনি এভাবে তার দেহকে ঢেকে রাখেন। আল্লাহ তাআলা তার উপর থেকে এই বদধারণা দূর করে দেয়ার ইচ্ছা করলেন। একদা তিনি নির্জনে উলঙ্গ অবস্থায় গোসল করছিলেন। একটি পাথরের উপর তার পরনের কাপড় রেখে দিয়েছিলেন। গোসল শেষ করে তিনি কাপড় নিতে যাবেন এমতাবস্থায় পাথরটি দূরে সরে গেল। তিনি তাঁর লাঠিটি নিয়ে পাথরের দিকে এগিয়ে গেলেন। কিন্তু পাথরটি দৌড়াতেই থাকলো। তিনিও হে পাথর! আমার কাপড়, আমার কাপড় বলে চীৎকার করতে করতে পাথরের পিছনে পিছনে দৌড়াতে শুরু করলেন। বানী ইসরাঈলের একটি দল এক জায়গায় বসেছিল। যখন তিনি লোকগুলোর কাছে পৌঁছে গেলেন তখন আল্লাহ তা'আলার নির্দেশক্রমে পাথরটি সেখানে থেমে গেল। তিনি তাঁর কাপড় নিয়ে পরে নিলেন। বানী ইসরাঈল তার সমস্ত শরীর দেখে নিলো। যে গুজব তারা শুনেছিল তা থেকে আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী (আঃ)-কে মুক্ত করে দিলেন। রাগে হযরত মূসা (আঃ) পাথরের উপর তার লাঠি দ্বারা তিন বার বা চার বার অথবা পাঁচ বার আঘাত করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আল্লাহর কসম! ঐ পাথরের উপর তাঁর লাঠির দাগ পড়ে গিয়েছিল।” (এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়নি। এই রিওয়াইয়াত বহু সনদে বহু কিতাবে বর্ণিত আছে।
কিছু কিছু মাওকুফ রিওয়াইয়াতও রয়েছে)এই (আরবি) বা মুক্ত করার কথাই এই আয়াতে বলা হয়েছে (আরবি) আল্লাহ পাকের এই উক্তি সম্পর্কে হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূন (আঃ) পাহাড়ের উপর গিয়েছিলেন যেখানে হযরত হারূন (আঃ) ইন্তেকাল করেন। জনগণ হযরত মূসা (আঃ)-এর উপর অহেতুক সন্দেহ পোষণ করতে লাগলো এবং তাকে শাসাতে ও ধমকাতে শুরু করলো। মহামহিমান্বিত আল্লাহ তা'আলার নির্দেশক্রমে ফেরেশতারা তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে বানী ইসরাঈলের একটি মজলিসের পার্শ্ব দিয়ে চলতে থাকলেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁকে বাকশক্তি দান করলেন। তিনি প্রকাশ করলেন যে, তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। তার কবরের সঠিক চিহ্ন জানা যায় না। শুধু ঐ পাহাড়টিই তার কবরের স্থানটির কথা জানে। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা ওকে বাকশক্তিহীন করেছেন। তাহলে হতে পারে যে, (আরবি) বা কষ্ট দেয়া এটাই অথবা হতে পারে যে, (আরবি) দ্বারা ঐ কষ্টকে বুঝাননা হয়েছে যা ইতিপূর্বে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আমি বলি যে, এটা এবং ওটা দুটোই উদ্দেশ্য হতে পারে বা এ দু'টো ছাড়া অন্য কষ্টও উদ্দেশ্য হতে পারে। হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) লোকদের মধ্যে কিছু বন্টন করেন। একটি লোক বলেঃ “এই বন্টনে আল্লাহর সন্তুষ্টির ইচ্ছা করা হয়নি।” এ কথা শুনে হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেনঃ “ওরে আল্লাহর শত্রু! আমি অবশ্যই তোমার এ কথা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জানিয়ে দিবো।” সুতরাং তিনি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে এটা জানিয়ে দিলেন। এটা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর চেহারা মুবারক রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। অতঃপর তিনি বলেনঃ “আল্লাহ হযরত মূসা (আঃ)-এর উপর সদয় হোন! তাকে এর চেয়েও বেশী কষ্ট দেয়া হয়েছিল। তথাপি তিনি ধৈর্য ধারণ করেছিলেন।” (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদ, সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্বীয় সাহাবীদেরকে বলেনঃ “আমার সাহাবীদের কেউ যেন কারো কথা আমার কাছে পৌঁছিয়ে না দেয়। কেননা, আমি পছন্দ করি যে, কারো বিরুদ্ধে আমার কোন অভিযোেগ নেই এমতাবস্থায় যেন আমি তোমাদের মধ্যে বের হয়ে আসি।” অতঃপর একবার তাঁর কাছে কিছু মাল আসে। তিনি তা বন্টন করে দেন।
বর্ণনাকারী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি দু'টি লোকের পার্শ্ব দিয়ে গমন করি। তাদের একজন অপরজনকে বলছেঃ “আল্লাহর কসম! এ বন্টনে মুহাম্মাদ (সঃ) আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখিরাতের ঘর কামনা করেননি।” এ কথা শুনে আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট হাযির হয়ে বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আপনি বলেছেন যে, কেউ যেন কারো কোন কথা আপনার নিকট পৌঁছিয়ে না দেয়। কিন্তু আমি অমুক অমুক দুটি লোকের পার্শ্ব দিয়ে গমন করেছিলাম। তাদের একজন অপরজনকে এরূপ এরূপ কথা বলেছিল।” একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর চেহারা মুবারক লাল হয়ে যায় এবং এটা তাঁর নিকট খুবই কঠিন বোধ হয়। অতঃপর তিনি বলেনঃ “ছেড়ে দাও, হযরত মূসা (আঃ)-কে এর চেয়ে বেশী কষ্ট দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেছিলেন।” (হাদীসটি এই ধারায় ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)ঘোষিত হচ্ছেঃ মূসা (আঃ) আল্লাহর নিকট মর্যাদাবান ছিল। তাঁর দুআ মহান আল্লাহর নিকট গৃহীত হতো। হ্যাঁ, তবে তিনি আল্লাহকে দর্শনের দু'আ করেছিলেন, তা গৃহীত হয়নি। কেননা, ওটা ছিল মানবীয় শক্তি বহির্ভূত। সবচেয়ে বড় কথা এই যে, তিনি তাঁর ভাই-এর নবুওয়াতের জন্যে দু'আ করেছিলেন, সেটাও আল্লাহ তা'আলার নিকট গৃহীত হয়েছিল। মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আমি নিজ অনুগ্রহে তাকে দিলাম তার ভ্রাতা হারূন (আঃ)-কে নবীরূপে।” (১৯:৫৩)
৭০-৭১ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদেরকে তাঁকে ভয় করার হিদায়াত করছেন। তিনি তাদেরকে বলছেন যে, তারা যেন তার ইবাদত এমনভাবে করে যেন তারা তাকে দেখছে এবং তারা সত্য ও সঠিক কথা বলে। তাদের কথায় কোন বক্রতা ও পাঁচ না থাকে। যখন তারা অন্তরে তাকওয়া পোষণ করে এবং মুখে সত্য কথা বলে তখন এর বদৌলতে আল্লাহ তাদেরকে ভাল কাজ করার তাওফীক দান করেন। তাদের সমস্ত গুনাহ তিনি মাফ করে দেন। আর ভবিষ্যতেও ক্ষমার সুযোগ দান করেন, যেন গুনাহ বাকী রয়ে না যায়। আল্লাহ ও রাসূল (সঃ)-এর আনুগত্যই হলো সত্যিকারের সফলতা। এর মাধ্যমেই মানুষ জাহান্নাম হতে দূরে থাকে এবং জান্নাতের নিকটবর্তী হয়। হযরত আবু মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ “আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ) যোহরের নামায পড়েন। সালাম ফিরানোর পর তিনি আমাদের প্রতি বসার ইঙ্গিত করেন। সুতরাং আমরা বসে পড়ি। অতঃপর তিনি বলেনঃ “আল্লাহ তা'আলা আমাকে হুকুম করেছেন যে, আমি যেন তোমাদেরকে আল্লাহকে ভয় করার ও সঠিক কথা বলার নির্দেশ দিই।" তারপর তিনি মহিলাদের নিকট আসেন এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলেনঃ “আল্লাহ আমাকে হুকুম করেছেন যে, আমি যেন তোমাদেরকে আল্লাহকে ভয় করার এবং সত্য ও সঠিক কথা বলার নির্দেশ দিই।” (এ হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) মিম্বরে দাঁড়ালেই আমি তাঁকে বলতে শুনতামঃ “হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।" (এ হাদীসটি ইবনে আবিদ দুনিয়া (রঃ) কিতাবুত তাকওয়ায় বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটা খুবই গারীব বা দুর্বল হাদীস)হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ যে এতে আনন্দ পায় যে, লোকে তার সম্মান করুক সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।” হযরত ইকরামা (রঃ) বলেন যে, (আরবি) হলো (আরবি) বা সঠিক কথা। অন্য কেউ বলেন যে, (আরবি)-এর অর্থ হলো সত্যবাদিতা। মুজাহিদ (রঃ) বলেন যে, (আরবি) হলো সোজা ও সঠিক কথা। এ সবই (আরবি) এর অন্তর্ভুক্ত।
ALLAH
Ad-Dayyaan
Ad-Dayyaan
Meaning: He is the Irresistible and All-Powerful Judge and Ruler who rewards or punishes people according to their deeds.
Occurrence: This name is not mentioned in the Holy Qur’an but rather in the Prophet’s Sunnah.
Evidence: The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, “…Then He (Allah) will call out to them with a voice that those far off will hear just as those nearby will hear): I am the King. I am the Supreme Judge…” (Al-Haakim. Sheikh Al-Albaanee classified it as hasan ‘good’. )