1446H Week-01
Friday, 12 July 2024
QURAN
Al-Ahzab | The Combined Forces | Verse 63-68
Surah Al-Ahzab
Ayahs
73
Revelation Place
Medina
Name
The Surah derives its name Al-Ahzab from verse 20.
Period of Revelation
The Surah discusses three important events which are: the Battle of the Trench (or Al-Ahzab : the Clans), which took place in Shawwal, A. H. 5; the raid on Bani Quraizah, which was made in Dhil-Qa'dah, A. H. 5; and the Holy Prophet's marriage with Hadrat Zainab, which also was contracted in Dhil-Qa'dah, A. H. 5. These historical events accurately determine the period of the revelation of this Surah.
33:63
يَسْـَٔلُكَ ٱلنَّاسُ عَنِ ٱلسَّاعَةِ ۖ قُلْ إِنَّمَا عِلْمُهَا عِندَ ٱللَّهِ ۚ وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ ٱلسَّاعَةَ تَكُونُ قَرِيبًا ٦٣
People ask you concerning the Hour. Say, "Knowledge of it is only with Allāh. And what may make you perceive? Perhaps the Hour is near."
— Saheeh International
লোকেরা তোমাকে কিয়ামাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বলঃ এর জ্ঞান শুধু আল্লাহরই আছে। তুমি এটা কি করে জানবে যে, সম্ভবতঃ কিয়ামাত শীঘ্রই হয়ে যেতে পারে?
— Sheikh Mujibur Rahman
33:64
إِنَّ ٱللَّهَ لَعَنَ ٱلْكَـٰفِرِينَ وَأَعَدَّ لَهُمْ سَعِيرًا ٦٤
Indeed, Allāh has cursed the disbelievers and prepared for them a Blaze.
— Saheeh International
আল্লাহ কাফিরদেরকে অভিশপ্ত করেছেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জ্বলন্ত আগুন।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:65
خَـٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًۭا ۖ لَّا يَجِدُونَ وَلِيًّۭا وَلَا نَصِيرًۭا ٦٥
Abiding therein forever, they will not find a protector or a helper.
— Saheeh International
সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং তারা কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবেনা।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:66
يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِى ٱلنَّارِ يَقُولُونَ يَـٰلَيْتَنَآ أَطَعْنَا ٱللَّهَ وَأَطَعْنَا ٱلرَّسُولَا۠ ٦٦
The Day their faces will be turned about in the Fire, they will say, "How we wish we had obeyed Allāh and obeyed the Messenger."
— Saheeh International
যেদিন তাদের মুখ-মন্ডল আগুনে উলট পালট করা হবে সেদিন তারা বলবেঃ হায়! আমরা যদি আল্লাহকে মানতাম ও রাসূলকে মানতাম!
— Sheikh Mujibur Rahman
33:67
وَقَالُوا۟ رَبَّنَآ إِنَّآ أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَآءَنَا فَأَضَلُّونَا ٱلسَّبِيلَا۠ ٦٧
And they will say, "Our Lord, indeed we obeyed our masters and our dignitaries,[1] and they led us astray from the [right] way.
— Saheeh International
[1]Also interpreted to mean "our noble ones and our elders [i.e., distinguished scholars]."
তারা আরও বলবেঃ হে আমাদের রাবব! আমরা আমাদের নেতা ও বড় লোকদের আনুগত্য করেছিলাম এবং তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:68
رَبَّنَآ ءَاتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ ٱلْعَذَابِ وَٱلْعَنْهُمْ لَعْنًۭا كَبِيرًۭا ٦٨
Our Lord, give them double the punishment and curse them with a great curse."
— Saheeh International
হে আমাদের রাব্ব! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করুন এবং তাদেরকে দিন মহা অভিসম্পাত।
— Sheikh Mujibur Rahman
Tafseer Ibn Kathir (Abridged)
No One knows when the Day of Resurrection will come except Allah
Here Allah tells His Messenger that he cannot know when the Hour will come, and if people ask him about that, He instructs him to refer the matter to Allah, may He be exalted, as Allah says in Surat Al-A`raf, even though that was revealed in Makkah and this Surah was revealed in Al-Madinah. Allah continues to tell him to refer this matter to the One Who knows about it, but He tells him that it is at hand, as He says:
وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُونُ قَرِيباً
(What do you know It may be that the Hour is near!) This is like the Ayat:
اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانشَقَّ الْقَمَرُ
(The Hour has drawn near, and the moon has been cleft asunder.) 54:1
اقْتَرَبَ لِلنَّاسِ حِسَـبُهُمْ وَهُمْ فِى غَفْلَةٍ مُّعْرِضُونَ
(Draws near for mankind their reckoning, while they turn away in heedlessness.) 21:1
أَتَى أَمْرُ اللَّهِ فَلاَ تَسْتَعْجِلُوهُ
(The Event (the Hour) ordained by Allah will come to pass, so seek not to hasten it) 16:1.
The Curse on the Disbelievers and its Eternity and their Regret
Then Allah says:
إِنَّ اللَّهَ لَعَنَ الْكَـفِرِينَ
(Verily, Allah has cursed the disbelievers,) means, He has distanced them from His mercy.
وَأَعَدَّ لَهُمْ سَعِيراً
(and has prepared for them a flaming Fire (Hell).) means, in the Hereafter. e
خَـلِدِينَ فِيهَآ أَبَداً
(Wherein they will abide forever,) means, they will stay there forever and ever, never leaving or finding relief from it.
لاَّ يَجِدُونَ وَلِيّاً وَلاَ نَصِيراً
(and they will find neither a a protector nor a helper.) means, they will have no saviour to help them or rescue them from their predicament. Then Allah says:
يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِى النَّارِ يَقُولُونَ يلَيْتَنَآ أَطَعْنَا اللَّهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولاَ
(On the Day when their faces will be turned over in the Fire, they will say: "Oh, would that we had obeyed Allah and obeyed the Messenger.") means, they will be dragged into the Fire on their faces and their faces will be contorted in Hell, and in that state they will wish that they had been among those who had obeyed Allah and His Messenger in this world. Allah describes how they will be in the Hereafter:
وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّـلِمُ عَلَى يَدَيْهِ يَقُولُ يلَيْتَنِى اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلاً - يوَيْلَتَا لَيْتَنِى لَمْ أَتَّخِذْ فُلاَناً خَلِيلاً
لَّقَدْ أَضَلَّنِى عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَآءَنِى وَكَانَ الشَّيْطَـنُ لِلإِنْسَـنِ خَذُولاً
(And the Day when the wrongdoer will bite at his hands, he will say: "Oh! Would that I had taken a path with the Messenger. Ah! Woe to me! Would that I had never taken so-and-so as an intimate friend! He indeed led me astray from the Reminder after it had come to me. And Shaytan is to man ever a deserter in the hour of need.") (25:27-29)
رُّبَمَا يَوَدُّ الَّذِينَ كَفَرُواْ لَوْ كَانُواْ مُسْلِمِينَ
(How much would those who disbelieved wish that they had been Muslims.) (15:2) And here too, Allah tells us that when they are in this state, they will wish that they had obeyed Allah and His Messenger in this world:
وَقَالُواْ رَبَّنَآ إِنَّآ أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَآءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلاْ
(And they will say: "Our Lord! Verily, we obeyed our chiefs and our great ones, and they misled us from the way.") Tawus said: " `Our chiefs' means their nobles and `our great ones' means their scholars."
رَبَّنَآ ءَاتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ
(Our Lord! Give them double torment) means, `for their disbelief and because they mislead us.' Abu Al-Qasim At-Tabarani recorded from Abu Rafi` that among the names of those who fought with `Ali, may Allah be pleased with him, was Al-Hajjaj bin `Amr bin Ghaziyah, and he was the one who, when they met, said; "O people of the Ansar! Do you want to say when we meet our Lord:
وَقَالُواْ رَبَّنَآ إِنَّآ أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَآءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلاْ - رَبَّنَآ ءَاتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْناً كَبِيراً
(Our Lord! Verily, we obeyed our chiefs and our great ones, and they misled us from the way. Our Lord! Give them double torment and curse them with a mighty curse!)"
তাফসীর ইবনে কাছীর
৬৩-৬৮ নং আয়াতের তাফসীর
আল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে সংবাদ দিচ্ছেন যে, লোকেরা তাঁকে। কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেও তার সে সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। এর জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ তা'আলারই রয়েছে। সূরায়ে আরাফেও এই বর্ণনা আছে এবং এই সূরায়ও রয়েছে। সূরায়ে আ'রাফ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল এবং এই সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে মদীনায়। এর দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত কিয়ামতের সঠিক জ্ঞান রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর ছিল না। তবে আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদেরকে এটুকু জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, কিয়ামত অতি নিকটবর্তী। যেমন মহান আল্লাহ বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “কিয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে।” (৫৪:১) আরো বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে রয়েছে।” (২১:১) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহর আদেশ আসবেই, সুতরাং ওটা ত্বরান্বিত করতে চেয়ো না।” (১৬:১)মহান আল্লাহ বলেনঃ আল্লাহ কাফিরদেরকে অভিশপ্ত করেছেন অর্থাৎ তাদেরকে স্বীয় রহমত হতে দূর করে দিয়েছেন। আর তাদের জন্যে (পরকালে) প্রস্তুত রেখেছেন জ্বলন্ত অগ্নি।তারা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে। অর্থাৎ সেখান হতে তারা বের হতেও পারবে না এবং নিষ্কৃতিও লাভ করবে না। সেখানে তাদের অভিযোগ শুনবার মত কেউ থাকবে না। সেখানে তাদের জন্যে এমন কোন বন্ধু-বান্ধব থাকবে না যারা তাদেরকে কিছুমাত্র সাহায্য করতে পারে বা ঐ কঠিন বিপদ হতে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে পারে। তাদেরকে উল্টোমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
তারা সেদিন আফসোস করে বলবেঃ হায়! আমরা যদি আল্লাহকে মানতাম ও তাঁর রাসূল (সঃ)-কে মানতাম! যেমন আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পর্কে খবর দিয়েছেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যালিম ব্যক্তি সেই দিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবেঃ হায়, আমি যদি রাসূলের সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম! হায়, দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধু রূপে গ্রহণ না করতাম! আমাকে সে তো বিভ্রান্ত করেছিল আমার নিকট উপদেশ পৌছবার পর। শয়তান তো মানুষের জন্যে মহা প্রতারক।" (২৫:২৭-২৯) মহামহিমান্বিত আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “কখনো কখনো কাফিররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, তারা যদি মুসলিম হতো!” (১৫:২)অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ এখানে ঐ কাফিরদের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেনঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আমাদের নেতা ও বড় লোকদের আনুগত্য করেছিলাম এবং তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল। আমরা ভেবেছিলাম যে, আমাদের নেতারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। তাদের কাছে হক ও সত্য আছে। কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি যে, তারা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যার উপর ছিল। তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! তাদেরকে আপনি দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করুন।
একতো এই কারণে যে, তারা নিজেরা কুফরী করেছে। আর দ্বিতীয় কারণ এই যে, তারা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করে আমাদের সর্বনাশ সাধন করেছে। আর তাদেরকে মহা অভিসম্পাত দিন!একটি কিরআতে (আরবি) এর স্থলে (আরবি) শব্দ রয়েছে। দুটোরই ভাবার্থ একই। যেমন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু বকর (রাঃ) বলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমাকে একটি দু'আ শিখিয়ে দিন যা আমি আমার নামাযে পাঠ করবো।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “তুমি নিম্নের দু'আটি পড়বেঃ (আরবি)অর্থাৎ “হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আমার নফসের উপর বহু যুলুম করেছি। এবং আপনি ছাড়া কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না। সুতরাং আপনার পক্ষ হতে আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর দয়া করুন, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।” (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) তাখরীজ করেছেন) কেউ কেউ এ কথাও বলেছেন যে, দু'আয় (আরবি) ও (আরবি) এই দু’টি শব্দই মিলিয়ে নেয়া উচিত। কিন্তু এটা ঠিক নয়। বরং সঠিক কথা এটাই যে, কোন সময় বলতে (আরবি) হবে এবং কোন সময় (আরবি) বলতে হবে। যেটা ইচ্ছা সেটাই বলা যাবে কিন্তু দুটোকেই এক সাথে জমা করা যাবে না। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।
HADITH
54. Conditions | كتاب الشروط | শর্তাবলী | 2711 -2715
(1) Chapter: The conditions permissible on embracing Islam, and in contracts and transactions
(1) باب مَا يَجُوزُ مِنَ الشُّرُوطِ فِي الإِسْلاَمِ وَالأَحْكَامِ وَالْمُبَايَعَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৫৪/১. ইসলামে আহ্কামে ও ক্রয়-বিক্রয়ে যে সব শর্ত জায়িয।
Narrated Marwan and al-Miswar bin Makhrama:
(from the companions of Allah's Messenger (ﷺ)) When Suhail bin `Amr agreed to the Treaty (of Hudaibiya), one of the things he stipulated then, was that the Prophet (ﷺ) should return to them (i.e. the pagans) anyone coming to him from their side, even if he was a Muslim; and would not interfere between them and that person. The Muslims did not like this condition and got disgusted with it. Suhail did not agree except with that condition. So, the Prophet (ﷺ) agreed to that condition and returned Abu Jandal to his father Suhail bin `Amr. Thenceforward the Prophet (ﷺ) returned everyone in that period (of truce) even if he was a Muslim. During that period some believing women emigrants including Um Kulthum bint `Uqba bin Abu Muait who came to Allah's Messenger (ﷺ) and she was a young lady then. Her relative came to the Prophet (ﷺ) and asked him to return her, but the Prophet (ﷺ) did not return her to them for Allah had revealed the following Verse regarding women: "O you who believe! When the believing women come to you as emigrants. Examine them, Allah knows best as to their belief, then if you know them for true believers, Send them not back to the unbelievers, (for) they are not lawful (wives) for the disbelievers, Nor are the unbelievers lawful (husbands) for them (60.10)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ مَرْوَانَ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، رضى الله عنهما يُخْبِرَانِ عَنْ أَصْحَابِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَمَّا كَاتَبَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو يَوْمَئِذٍ كَانَ فِيمَا اشْتَرَطَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ لاَ يَأْتِيكَ مِنَّا أَحَدٌ وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ إِلاَّ رَدَدْتَهُ إِلَيْنَا، وَخَلَّيْتَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ. فَكَرِهَ الْمُؤْمِنُونَ ذَلِكَ، وَامْتَعَضُوا مِنْهُ، وَأَبَى سُهَيْلٌ إِلاَّ ذَلِكَ، فَكَاتَبَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى ذَلِكَ، فَرَدَّ يَوْمَئِذٍ أَبَا جَنْدَلٍ عَلَى أَبِيهِ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، وَلَمْ يَأْتِهِ أَحَدٌ مِنَ الرِّجَالِ إِلاَّ رَدَّهُ فِي تِلْكَ الْمُدَّةِ، وَإِنْ كَانَ مُسْلِمًا، وَجَاءَ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ، وَكَانَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ مِمَّنْ خَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ وَهْىَ عَاتِقٌ، فَجَاءَ أَهْلُهَا يَسْأَلُونَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْجِعَهَا إِلَيْهِمْ، فَلَمْ يَرْجِعْهَا إِلَيْهِمْ لِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِنَّ {إِذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ اللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِهِنَّ} إِلَى قَوْلِهِ {وَلاَ هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّ}.
মারওয়ান ও মিসওয়ার ইব্নু মাখরামাহ (রাঃ) আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবীগণ থেকে বর্ণিতঃ সেদিন সুহাইল ইব্নু ‘আম্র যখন সন্ধিপত্র লিখল তখন সুহাইল ইব্নু ‘আম্র আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি এরূপ শর্তারোপ করল যে, আমাদের কেউ আপনার নিকট আসলে সে আপনার দ্বীন গ্রহণ করা সত্ত্বেও আপনি তাকে আমাদের নিকট ফিরিয়ে দিবেন। আর আমাদের ও তার মধ্যে হস্তক্ষেপ করবেন না। মু‘মিনরা এটা অপছন্দ করলেন এবং এতে রাগান্বিত হলেন। সুহাইল এটা ব্যতীত সন্ধি করতে অস্বীকার করল। তখন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে শর্ত মেনেই সন্ধিপত্র লেখালেন। সেদিন তিনি আবু জানদাল (রাঃ)-কে তার পিতা সুহাইল ইব্নু ‘আমরের নিকট ফেরত দিলেন এবং সে চুক্তির মেয়াদ কালে পুরুষদের মধ্যে যেই এসেছিলো মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাকে ফেরত দিলেন। মু’মিন নারীরাও হিজরত করে আসলেন। সে সময় আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট যাঁরা এসেছিলেন তাদেঁর মধ্যে উম্মু কুলসুম বিনতে ‘উকবাহ ইব্নু আবু মুয়ায়ত (রাঃ) ছিলেন। তিনি ছিলেন যুবতী। তাঁর পরিজন তাঁকে তাদের নিকট ফেরত দেয়ার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে দাবী জানালো। কিন্তু তাঁকে তিনি তাদের নিকট ফেরত দিলেন না। কেননা, সেই নারীদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তায়ালা আয়াত নাযিল করেছিলেনঃ মুমিন নারীরা হিজরত করে তোমাদের নিকট আসলে তাদের তোমরা পরীক্ষা কর। আল্লাহ্ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না- (সূরা আল-মুমতাহিনা : ১০)। ‘উরওয়াহ (রাঃ) বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (আরবী) এই আয়াতের ভিত্তিতেই তাদের পরীক্ষা করে দেখতেন।
Reference : Sahih al-Bukhari 2711, 2712
Narrated `Urwa:
Aisha told me, "Allah's Messenger (ﷺ) used to examine them according to this Verse: "O you who believe! When the believing women come to you, as emigrants test them . . . for Allah is Oft- Forgiving, Most Merciful." (60.10-12) Aisha said, "When any of them agreed to that condition Allah's Apostle would say to her, 'I have accepted your pledge of allegiance.' He would only say that, but, by Allah he never touched the hand of any women (i.e. never shook hands with them) while taking the pledge of allegiance and he never took their pledge of allegiance except by his words (only).
قَالَ عُرْوَةُ فَأَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمْتَحِنُهُنَّ بِهَذِهِ الآيَةِ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ } إِلَى {غَفُورٌ رَحِيمٌ}. قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ فَمَنْ أَقَرَّ بِهَذَا الشَّرْطِ مِنْهُنَّ قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ بَايَعْتُكِ ". كَلاَمًا يُكَلِّمُهَا بِهِ، وَاللَّهِ مَا مَسَّتْ يَدُهُ يَدَ امْرَأَةٍ قَطُّ فِي الْمُبَايَعَةِ، وَمَا بَايَعَهُنَّ إِلاَّ بِقَوْلِهِ.
‘উরওয়াহ (রাঃ) বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, তাদের মধ্যে যারা এই শর্তে রাজী হতো তাকে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুধু এ কথা বলতেন, ‘আমি তোমাকে বায়‘আত করলাম। আল্লাহ্র কসম! বায়‘আত গ্রহণে তাঁর হাত কখনো কোন নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি তাদের শুধু কথার মাধ্যমে বায়‘আত করেছেন।
Reference : Sahih al-Bukhari 2713
Narrated Jarir:
When I gave the pledge of allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) and he stipulated that I should give good advice to every Muslim.
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، قَالَ سَمِعْتُ جَرِيرًا ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَرَطَ عَلَىَّ وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.
যিয়াদ ইব্নু ইলাকা (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি জারীর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বায়‘আত গ্রহণ করলাম। তিনি আমার উপর প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামনার শর্তারোপ করলেন।
Reference : Sahih al-Bukhari 2714
Narrated Jabir bin `Abdullah:
I gave the pledge of allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) for offering the prayers perfectly paying the Zakat and giving good advice to every Muslim.
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى إِقَامِ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.
জারীর ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি সালাত কায়িম করার, যাকাত প্রদান করার এবং প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামনা করার ব্যাপারে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাই‘আত করেছি।
Reference : Sahih al-Bukhari 2715