1445H Week-35
Friday, 15 March 2024
QURAN
Al-Ahzab | The Combined Force | Verse 14-20
33:14
وَلَوْ دُخِلَتْ عَلَيْهِم مِّنْ أَقْطَارِهَا ثُمَّ سُئِلُوا۟ ٱلْفِتْنَةَ لَـَٔاتَوْهَا وَمَا تَلَبَّثُوا۟ بِهَآ إِلَّا يَسِيرًۭا ١٤
And if they had been entered upon from all its [surrounding] regions and fitnah [i.e., disbelief] had been demanded of them, they would have done it and not hesitated over it except briefly.
— Saheeh International
যদি শত্রুরা নগরীর বিভিন্ন দিক হতে প্রবেশ করে তাদেরকে বিদ্রোহের জন্য প্ররোচিত করত তাহলে অবশ্যই তারা তাই করে বসত; তারা এতে কালবিলম্ব করতনা।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:15
وَلَقَدْ كَانُوا۟ عَـٰهَدُوا۟ ٱللَّهَ مِن قَبْلُ لَا يُوَلُّونَ ٱلْأَدْبَـٰرَ ۚ وَكَانَ عَهْدُ ٱللَّهِ مَسْـُٔولًۭا ١٥
And they had already promised Allāh before not to turn their backs [i.e., flee]. And ever is the promise to Allāh [that about which one will be] questioned.
— Saheeh International
তারা পূর্বেই আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবেনা। আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার সম্বন্ধে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:16
قُل لَّن يَنفَعَكُمُ ٱلْفِرَارُ إِن فَرَرْتُم مِّنَ ٱلْمَوْتِ أَوِ ٱلْقَتْلِ وَإِذًۭا لَّا تُمَتَّعُونَ إِلَّا قَلِيلًۭا ١٦
Say, [O Muḥammad], "Never will fleeing benefit you if you should flee from death or killing; and then [if you did], you would not be given enjoyment [of life] except for a little."
— Saheeh International
বলঃ তোমাদের কোন লাভ হবেনা যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর এবং সেই ক্ষেত্রে তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:17
قُلْ مَن ذَا ٱلَّذِى يَعْصِمُكُم مِّنَ ٱللَّهِ إِنْ أَرَادَ بِكُمْ سُوٓءًا أَوْ أَرَادَ بِكُمْ رَحْمَةًۭ ۚ وَلَا يَجِدُونَ لَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيًّۭا وَلَا نَصِيرًۭا ١٧
Say, "Who is it that can protect you from Allāh if He intends for you an ill or intends for you a mercy?" And they will not find for themselves besides Allāh any protector or any helper.
— Saheeh International
বলঃ কে তোমাদেরকে আল্লাহ হতে রক্ষা করবে যদি তিনি তোমাদের অমঙ্গল ইচ্ছা করেন এবং তিনি যদি তোমাদেরকে অনুগ্রহ করতে ইচ্ছা করেন তাহলে কে তোমাদের ক্ষতি করবে? তারা আল্লাহ ছাড়া নিজেদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবেনা।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:18
۞ قَدْ يَعْلَمُ ٱللَّهُ ٱلْمُعَوِّقِينَ مِنكُمْ وَٱلْقَآئِلِينَ لِإِخْوَٰنِهِمْ هَلُمَّ إِلَيْنَا ۖ وَلَا يَأْتُونَ ٱلْبَأْسَ إِلَّا قَلِيلًا ١٨
Already Allāh knows the hinderers among you and those [hypocrites] who say to their brothers, "Come to us," and do not go to battle, except for a few,
— Saheeh International
আল্লাহ অবশ্যই জানেন তোমাদের মধ্যে কারা তোমাদেরকে যুদ্ধে অংশ গ্রহণে বাধা দেয় এবং তাদের ভ্রাতৃবর্গকে বলেঃ আমাদের সঙ্গে এসো। তারা কমই যুদ্ধে অংশ নেয়।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:19
أَشِحَّةً عَلَيْكُمْ ۖ فَإِذَا جَآءَ ٱلْخَوْفُ رَأَيْتَهُمْ يَنظُرُونَ إِلَيْكَ تَدُورُ أَعْيُنُهُمْ كَٱلَّذِى يُغْشَىٰ عَلَيْهِ مِنَ ٱلْمَوْتِ ۖ فَإِذَا ذَهَبَ ٱلْخَوْفُ سَلَقُوكُم بِأَلْسِنَةٍ حِدَادٍ أَشِحَّةً عَلَى ٱلْخَيْرِ ۚ أُو۟لَـٰٓئِكَ لَمْ يُؤْمِنُوا۟ فَأَحْبَطَ ٱللَّهُ أَعْمَـٰلَهُمْ ۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًۭا ١٩
Indisposed toward you. And when fear comes, you see them looking at you, their eyes revolving like one being overcome by death. But when fear departs, they lash you with sharp tongues, indisposed toward [any] good. Those have not believed, so Allāh has rendered their deeds worthless, and ever is that, for Allāh, easy.
— Saheeh International
তারা তোমাদের ব্যাপারে ঈর্ষাবোধ করে। যখন বিপদ আসে তখন তুমি দেখবে যে, মৃত্যুভয়ে মূর্ছাতুর ব্যক্তির ন্যায় চক্ষু উল্টিয়ে তারা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু যখন বিপদ চলে যায় তখন তারা সম্পদের লোভে তোমাদের সাথে বাক চাতুরীতায় অবতীর্ণ হয়। তারা ঈমান আনেনি, এ জন্য আল্লাহ তাদের কার্যাবলী নিষ্ফল করে দিয়েছেন এবং আল্লাহর পক্ষে এটা সহজ।
— Sheikh Mujibur Rahman
33:20
يَحْسَبُونَ ٱلْأَحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُوا۟ ۖ وَإِن يَأْتِ ٱلْأَحْزَابُ يَوَدُّوا۟ لَوْ أَنَّهُم بَادُونَ فِى ٱلْأَعْرَابِ يَسْـَٔلُونَ عَنْ أَنۢبَآئِكُمْ ۖ وَلَوْ كَانُوا۟ فِيكُم مَّا قَـٰتَلُوٓا۟ إِلَّا قَلِيلًۭا ٢٠
They think the companies have not [yet] withdrawn. And if the companies should come [again], they would wish they were in the desert among the bedouins, inquiring [from afar] about your news. And if they should be among you, they would not fight except for a little.
— Saheeh International
তারা মনে করে যে, সম্মিলিত বাহিনী চলে যায়নি। যদি সম্মিলিত বাহিনী আবার এসে পড়ে তখন তারা কামনা করবে যে, ভাল হত যদি তারা যাযাবর মরুবাসীদের সাথে থেকে তোমাদের সংবাদ নিত। তারা তোমাদের সাথে অবস্থান করলেও তারা যুদ্ধ অল্পই করত।
— Sheikh Mujibur Rahman
Tafsir Ibn Kathir
يَقُولُونَ إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ وَمَا هِىَ بِعَوْرَةٍ إِن يُرِيدُونَ إِلاَّ فِرَاراً
("Truly, our homes lie open." And they lay not open. They but wished to flee.) If the enemy had entered upon them from every side of Al-Madinah and from every direction, then demanded that they become disbelievers, they would have promptly done so. They would not have adhered to their faith or remained steadfast in it if they were faced with the slightest fear. This is how it was interpreted by Qatadah, `Abdur-Rahman bin Zayd and Ibn Jarir. This is a condemnation of them in the clearest terms. Then Allah reminds them of the promise they had made to Him before this fear struck them, that they would not turn their backs or flee from the battlefield.
وَكَانَ عَهْدُ اللَّهِ مَسْئُولاً
(and a covenant with Allah must be answered for.) means, Allah will inevitably ask them about that covenant. Then Allah tells them that fleeing from battle will not delay their appointed demise or make their lives any longer; on the contrary, it may be the cause of their being taken sooner, and in a sudden manner. Allah says:
وَإِذاً لاَّ تُمَتَّعُونَ إِلاَّ قَلِيلاً
(and then you will enjoy no more than a little while!) meaning, `after you run away and flee from battle.'
قُلْ مَتَـعُ الدُّنْيَا قَلِيلٌ وَالاٌّخِرَةُ خَيْرٌ لِّمَنِ اتَّقَى
(Say: "Short is the enjoyment of this world. The Hereafter is better for him who have Taqwa") (4:77). Then Allah says:
قُلْ مَن ذَا الَّذِى يَعْصِمُكُمْ مِّنَ اللَّهِ إِنْ أَرَادَ بِكُمْ سُوءاً أَوْ أَرَادَ بِكُمْ رَحْمَةً وَلاَ يَجِدُونَ لَهُمْ مِّن دُونِ اللَّهِ وَلِيّاً وَلاَ نَصِيراً
(Say: "Who is he who can protect you from Allah if He intends to harm you, or intends mercy on you" And they will not find, besides Allah, for themselves any protector or any helper.) meaning, they have no one else except Allah to respond to their cries.
لُمَّ إِلَيْنَا
(Come here towards us,) meaning, come to where we are in the shade and enjoying fruits. But in spite of that,
وَلاَ يَأْتُونَ الْبَأْسَ إِلاَّ قَلِيلاً
أَشِحَّةً عَلَيْكُمْ
(they come not to the battle except a little, being miserly towards you.) i.e., `they are mean and have no love or mercy towards you.' As-Suddi said:
أَشِحَّةً عَلَيْكُمْ
(Being miserly towards you.) means, with the booty.
فَإِذَا جَآءَ الْخَوْفُ رَأَيْتَهُمْ يَنظُرُونَ إِلَيْكَ تَدورُ أَعْيُنُهُمْ كَالَّذِى يُغْشَى عَلَيْهِ مِنَ الْمَوْتِ
(Then when fear comes, you will see them looking to you, their eyes revolving like one over whom hovers death;) means, because of the intensity of their fear and terror; this is how afraid these cowards are of fighting.
فَإِذَا ذَهَبَ الْخَوْفُ سَلَقُوكُم بِأَلْسِنَةٍ حِدَادٍ
(but when the fear departs, they will smite you with sharp tongues,) means, when security is restored, they will speak eloquently and nicely, claiming that they were the bravest and most chivalrous of men, but they are lying. Ibn `Abbas, may Allah be pleased with him, said:
سَلَقُوكُم
(they will smite you) means, 'they will start to talk about you.\” Qatadah said: 'But when it comes to the booty, the most miserly of people and the worst to have to share the booty with are those who say, `Give us, give us, we were there with you,' but during battle they were the most cowardly and the most likely to fail to support the truth.\” They are miserly towards good, meaning that there is no goodness in them, for they have combined cowardice with lies and little good. Allah says:
أوْلَـئِكَ لَمْ يُؤْمِنُواْ فَأَحْبَطَ اللَّهُ أَعْمَـلَهُمْ وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيراً
(Such have not believed. Therefore Allah makes their deeds fruitless and that is ever easy for Allah.)
يَحْسَبُونَ الاٌّحْزَابَ لَمْ يَذْهَبُواْ
(They think that the Confederates have not yet withdrawn;) and that they are still close by and will return.
وَإِن يَأْتِ الاٌّحْزَابُ يَوَدُّواْ لَوْ أَنَّهُمْ بَادُونَ فِى الاٌّعْرَابِ يَسْأَلُونَ عَنْ أَنبَآئِكُمْ
(and if the Confederates should come, they would wish they were in the deserts among the bedouins, seeking news about you;) means, `if the Confederates should come back, they hope that they will not be present with you in Al-Madinah, but that they will be in the desert, asking about news of you and what happened to you with your enemy.'
وَلَوْ كَانُواْ فِيكُمْ مَّا قَاتَلُواْ إِلاَّ قَلِيلاً
(and if they were to be among you, they would not fight but little.) means, `if they are among you, they will not fight alongside you very much,' because they are so cowardly and weak, and have so little faith, but Allah knows best about them.
তাফসীর ইবনে কাছীর
১৪-১৭ নং আয়াতের তাফসীর: যারা ওযর করে জিহাদ হতে পালিয়ে যাচ্ছিল যে, তাদের ঘরবাড়ী অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে, যার বর্ণনা উপরে দেয়া হয়েছে, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ যদি শত্রুরা নগরীর বিভিন্ন দিক হতে প্রবেশ করে তাদেরকে কুফরীর মধ্যে প্রবেশের জন্যে প্ররোচিত করতো তবে তারা অবশ্যই কোন চিন্তা-ভাবনা না করে কুফরীকে ককূল করে নিতো। তারা সামান্য ভয়-ভীতির কারণে ঈমানের কোন হিফাযত করতো না ও ঈমানকে আঁকড়ে ধরে থাকতো না। এভাবে মহান আল্লাহ তাদের নিন্দে করেছেন।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এরা তো পূর্বেই আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছিল যে, তারা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করবে না। তারা জানে না যে, আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার সম্বন্ধে অবশ্যই তারা জিজ্ঞাসিত হবে।অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ এভাবে মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন করে কোন লাভ হবে না, এতে তোমাদের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে না। বরং হতে পারে যে, এর কারণে অকস্মাৎ আল্লাহর পাকড়াও এসে যাবে এবংদুনিয়ার সুখ-সম্ভোগ তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করতে দেয়া হবে। দুনিয়া তো চিরস্থায়ী আখিরাতের তুলনায় অতি নগণ্য ও তুচ্ছ জিনিস।। এরপর ইরশাদ হচ্ছেঃ আল্লাহ তা'আলা যদি তোমাদের অমঙ্গল ইচ্ছা করেন। তবে এমন কেউ নেই যে তোমাদেরকে আল্লাহ হতে রক্ষা করতে পারে। পক্ষান্তরে, তিনি যদি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করার ইচ্ছা করেন তবে এমন কেউ নেই যে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারে। তোমরা আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
১৮-১৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, তিনি তার ব্যাপক ও প্রশস্ত জ্ঞানের দ্বারা ঐ লোকদের ভালরূপেই অবগত আছেন যারা অন্যদেরকেও জিহাদে গমন হতে বাধা দেয় এবং নিজেদের সঙ্গী-সাথী ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে এবং আত্মীয়-স্বজনকে বলেঃ “তোমরাও আমাদের সঙ্গেই থাকো এবং নিজেদের ঘরবাড়ী, আরাম-আয়েশ, জমি-জমা ও পরিবারবর্গকে পরিত্যাগ করে জিহাদে যোগদান করো না। তারা নিজেরাও জিহাদে অংশগ্রহণ করে না। কোন কোন সময় তারা মুখ দেখিয়ে যায় এবং নাম লিখিয়ে দেয় সেটা অন্যকথা।মহান আল্লাহ স্বীয় নবী (সঃ) ও মুমিনদেরকে বলেনঃ এরা অত্যন্ত কৃপণ। তাদের নিকট থেকে তোমরা কোন আর্থিক সাহায্য পাবে না এবং তোমাদের প্রতি তাদের অন্তরে কোন সহানুভূতিও নেই। তোমরা যখন গনীমতের মাল প্রাপ্ত হও তখন তারা অসন্তুষ্ট হয়। যখন বিপদ আসে তখন তোমরা দেখতে পাও যে, মৃত্যু ভয়ে মুচ্ছাতুর ব্যক্তির মত চক্ষু উল্টিয়ে তারা তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু যখন বিপদ দূর হয়ে যায় তখন তারা ধনের লোভে তোমাদেরকে তীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে। তারা নবী (সঃ)-কে বলেঃ আমরা তো আপনারই সঙ্গী। আমরা আপনার সঙ্গে থেকে রীতিমত যুদ্ধ করেছি। সুতরাং গনীমতের মালে আমাদেরও অংশ রয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের সময় তারা মুখও দেখায় না। তারা পলাতকদের আগে এবং যোদ্ধাদের পিছনে থাকে। মালের দিকে তারা মাছির মত লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকায়। মিথ্যা ও কাপুরুষতা এ দুটো দোষই তাদের মধ্যে বিদ্যমান। এ দুটো দোষে যারা দোষী হয় তাদের কাছে কল্যাণের কোন আশা করা যায় কি? শান্তির সময় প্রতারণা, দুশ্চরিত্রতা এবং রূঢ়তা, আর যুদ্ধের সময় ভীরুতা ও নারীত্বপনা! যুদ্ধের সময় ঋতুবতী নারীর ন্যায় পৃথক হয়ে যাওয়া, আর মাল নেয়ার সময় গাধার মত লোভনীয় দৃষ্টি নিক্ষেপ করাই তাদের কাজ।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তারা ঈমান আনেনি, এজন্যে আল্লাহ তাদের কার্যাবলী নিষ্ফল করেছেন এবং আল্লাহর পক্ষে এটা সহজ।
২০ নং আয়াতের তাফসীর: এই মুনাফিকদের কাপুরুষতা ও ভীতি-বিহ্বলতার অবস্থা এই যে, কাফির সৈন্যরা যে ফিরে গেছে এ বিশ্বাসই তাদের হয়নি। তাদের মনে এ ভয় রয়েই গেছে যে, না জানি হয়তো তারা আবার ফিরে আসবে। মুশরিকদের সৈন্যদেরকে দেখেই তাদের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। তারা আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে যে, যদি তারা মুসলমানদের সাথে ঐ শহরেই না থাকতো তবে কতই না ভাল হতো! বরং তারা যদি অশিক্ষিত ও অজ্ঞদের সাথে কোন জনমানবহীন গ্রামে অথবা কোন বন জঙ্গলে অবস্থান করতো এবং কোন পথিককে যুদ্ধের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতো তবে কতই না ভাল হতো! মহাপ্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ তারা তোমাদের সাথে অবস্থান করলেও যুদ্ধ অল্পই করতো। তাদের মন তো মরে গেছে। কাপুরুষতার ঘুণ তাদেরকে ধরে বসেছে। তারা যুদ্ধ করবে কি, কী বীরত্বপনা তারা দেখাবে?
ALLAH
Al-Muhsin
Al-Muhsin
Meaning: He provides whatever He has created with countless blessings and the One who has perfected, sustained, and guided everything He has created.
Occurrence: This name is not mentioned in the Holy Qur’an but rather in the Prophet’s Sunnah.
Evidence: The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, “…Allah is the Doer of Good and He loves [to see His slaves] do good.” (At-Tabaraanee. Classified as saheeh ‘authentic’ by Sheikh Al-Albaanee)