1445H Week-29
Friday, 02 February 2024
QURAN
As-Sajdah | The Prostration | Verse 01-06
32:1
الٓمٓ ١
Alif, Lām, Meem.
— Saheeh International
আলিফ লাম মীম।
— Sheikh Mujibur Rahman
32:2
تَنزِيلُ ٱلْكِتَـٰبِ لَا رَيْبَ فِيهِ مِن رَّبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ٢
[This is] the revelation of the Book about which there is no doubt from the Lord of the worlds.
— Saheeh International
এই কিতাব জগতসমূহের রবের নিকট হতে অবতীর্ণ, এতে কোন সন্দেহ নেই।
— Sheikh Mujibur Rahman
32:3
أَمْ يَقُولُونَ ٱفْتَرَىٰهُ ۚ بَلْ هُوَ ٱلْحَقُّ مِن رَّبِّكَ لِتُنذِرَ قَوْمًۭا مَّآ أَتَىٰهُم مِّن نَّذِيرٍۢ مِّن قَبْلِكَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ ٣
Or do they say, "He invented it"? Rather, it is the truth from your Lord, [O Muḥammad], that you may warn a people to whom no warner has come before you [so] perhaps they will be guided.
— Saheeh International
তাহলে কি তারা বলেঃ এটি সে নিজে রচনা করেছে? না, এটি তোমার রাবব হতে আগত সত্য, যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার যাদের নিকট তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। হয়তো তারা সৎ পথে চলবে।
— Sheikh Mujibur Rahman
32:4
ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِى سِتَّةِ أَيَّامٍۢ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِ ۖ مَا لَكُم مِّن دُونِهِۦ مِن وَلِىٍّۢ وَلَا شَفِيعٍ ۚ أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ ٤
It is Allāh who created the heavens and the earth and whatever is between them in six days; then He established Himself above the Throne. You have not besides Him any protector or any intercessor; so will you not be reminded?
— Saheeh International
আল্লাহ, তিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও এতদুভয়ের অন্তবর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং সাহায্যকারীও নেই, তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবেনা?
— Sheikh Mujibur Rahman
32:5
يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ إِلَى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِى يَوْمٍۢ كَانَ مِقْدَارُهُۥٓ أَلْفَ سَنَةٍۢ مِّمَّا تَعُدُّونَ ٥
He arranges [each] matter from the heaven to the earth; then it will ascend to Him in a Day, the extent of which is a thousand years of those which you count.
— Saheeh International
তিনি আকাশ হতে পৃথিবী পর্যন্ত সমুদয় বিষয় পরিচালনা করেন, অতঃপর একদিন সব কিছুই তাঁর সমীপে সমুত্থিত হবে, যে দিনের পরিমাপ হবে তোমাদের হিসাবে হাজার বছরের সমান।
— Sheikh Mujibur Rahman
32:6
ذَٰلِكَ عَـٰلِمُ ٱلْغَيْبِ وَٱلشَّهَـٰدَةِ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٦
That is the Knower of the unseen and the witnessed, the Exalted in Might, the Merciful,
— Saheeh International
তিনিই দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু –
— Sheikh Mujibur Rahman
Tafsir Ibn Kathir
The Virtues of Surah Alif Lam Mim As-Sajdah
In the Book of the Friday prayer, Al-Bukhari recorded that Abu Hurayrah said, "The Prophet used to recite in Fajr on Fridays:
الم تَنزِيلَ
(Alif Lam Mim. The revelation of...), As-Sajdah, and
هَلْ أَتَى عَلَى الإِنسَـنِ
(Has there not been over man...)Al-Insan (76)." This was also recorded by Muslim. Imam Ahmad recorded that Jabir said, "The Prophet would never sleep until he recited:
الم تَنزِيلَ
(Alif Lam Mim. The revelation of...), As-Sajdah, and
تَبَارَكَ الَّذِى بِيَدِهِ الْمُلْكُ
(Blessed be He in Whose Hand is the dominion) Al-Mulk (67)."
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـنِ الرَّحِيمِ
In the Name of Allah, the Most Gracious, the Most Merciful.
The Qur'an is the Book of Allah in which there is no Doubt
We discussed the individual letters at the beginning of Surat Al-Baqarah, and there is no need to repeat it here.
تَنزِيلُ الْكِتَـبِ لاَ رَيْبَ فِيهِ
(The revelation of the Book in which there is no doubt,) means, there is no doubt whatsoever that it has been revealed
مِّن رَّبِّ الْعَـلَمِينَ
(from the Lord of all that exists.) Then Allah tells us about the idolators:
أَمْ يَقُولُونَ افْتَرَاهُ
(Or say they: "He has fabricated it"): they say, he has fabricated it, i.e., he has made it up by himself.
بَلْ هُوَ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ لِتُنذِرَ قَوْماً مَّآ أَتَـهُم مِّن نَّذِيرٍ مِّن قَبْلِكَ لَعَلَّهُمْ يَهْتَدُونَ
(Nay, it is the truth from your Lord, so that you may warn a people to whom no warner has come before you, in order that they may be guided.) means, in order that they may follow the truth.
Allah is the Creator and Controller of the Universe
Allah tells us that He is the Creator of all things. He created the heavens and earth and all that is between them in six days, then He rose over the Throne -- we have already discussed this matter elsewhere.
مَا لَكُمْ مِّن دُونِهِ مِن وَلِيٍّ وَلاَ شَفِيعٍ
(You have none, besides Him, as a protector or an intercessor) means, only He is the Sovereign Who is in control of all affairs, the Creator of all things, the Controller of all things, the One Who is able to do all things. There is no Creator besides Him, no intercessor except the one to whom He gives permission.
أَفَلاَ تَتَذَكَّرُونَ
(Will you not then remember) -- this is addressed to those who worship others apart from Him and put their trust in others besides Him -- exalted and sanctified and glorified be He above having any equal, partner, supporter, rival or peer, there is no God or Lord except Him.
يُدَبِّرُ الاٌّمْرَ مِنَ السَّمَآءِ إِلَى الاٌّرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ
(He directs the command from the heavens to the earth; then it will go up to Him,) means, His command comes down from above the heavens to the furthest boundary of the seventh earth. This is like the Ayah,
اللَّهُ الَّذِى خَلَقَ سَبْعَ سَمَـوَتٍ وَمِنَ الاٌّرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الاٌّمْرُ بَيْنَهُنَّ
(It is Allah Who has created seven heavens and of the earth the like thereof. The command descends between them, ) (65:12) Deeds are raised up to the place of recording above the lowest heaven. The distance between heaven and earth is the distance of five hundred years traveling, and the thickness of the heaven is the distance of five hundred years. Mujahid, Qatadah and Ad-Dahhak said, "The distance covered by the angel when he descends or ascends is the distance of five hundred years, but he covers it in the blink of an eye." Allah says:
فِى يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ أَلْفَ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَذَلِكَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَـدَةِ
(in one Day, the measurement of which is a thousand years of your reckoning. That is He, the All-Knower of the unseen and the seen,) meaning, He is controlling all these affairs. He sees all that His servants do, and all their deeds, major and minor, significant and insignificant, ascend to Him. He is the Almighty Who has subjugated all things to His control, and to Whom everybody submits, and He is Most Merciful to His believing servants. He is Almighty in His mercy and Most Merciful in His might. This is perfection: might combined with mercy and mercy combined with might, for He is Merciful without any hint of weakness.
তাফসীর ইবনে কাছীর
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) জুমআর দিন ফজরের নামাযে ‘আলিফ-লাম-মীম-তানযীল আস্-সাজদাহ' এবং ‘হাল আতা আলাল ইনসানে’ পাঠ করতেন। (এ হাদীসটি ইমাম বুখারী (রঃ) কিতাবুল জুমআ'র মধ্যে বর্ণনা করেছেন)হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) আলিফ-লামমীম-তানযীল আস্-সাজদাহ’ এবং তাবারাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুক’ এ দু’টি সূরা (রাত্রে) তিলাওয়াত না করে ঘুমাতেন না। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)
১-৩ নং আয়াতের তাফসীর: সূরাসমূহের শুরুতে যে হুরূফে মুকাত্তাআ'ত রয়েছে ওগুলোর পূর্ণ আলোচনা আমরা সূরায়ে বাকারার তাফসীরের শুরুতে করে এসেছি। সুতরাং এখানে পুনরাবৃত্তির কোন প্রয়োজন নেই। এটা নিঃসন্দেহে সত্য যে, এই কিতাব আল -কুরআন আল্লাহ রাব্বল আলামীনের নিকট হতে অবতীর্ণ হয়েছে। মুশরিকদের এ কথা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এটা স্বয়ং রচনা করেছেন। না, না, এটা তো চরম সত্য কথা যে, এ কিতাব স্বয়ং আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে অবতীর্ণ করা হয়েছে। এটা এজন্যেই অবতীর্ণ করা হয়েছে যেন রাসূলুল্লাহ (সঃ) এমন কওমকে ভয় প্রদর্শন করেন যাদের কাছে তার পূর্বে কোন নবী আগমন করেননি। যাতে তারা সত্যের অনুসরণ করে পরিত্রাণ লাভ করতে পারে।
৪-৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, তিনিই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। তিনি ছয় দিনে যমীন, আসমান ও এতোদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা সৃষ্টি করে। আরশের উপর সমাসীন হন। এর তাফসীর ইতিপূর্বে গত হয়েছে। মালিক ও সৃষ্টিকর্তা তিনিই। প্রত্যেক জিনিসের পূর্ণতা প্রাপ্তি তাঁরই হাতে। সবকিছুর তদবীর ও তদারক তিনিই করে থাকেন। সবকিছুরই উপর আধিপত্য তাঁরই। তিনি ছাড়া সৃষ্টজীবের কোন বন্ধু ও অভিভাবক নেই। তাঁর অনুমতি ছাড়া কারো কোন সুপারিশ চলবে না। মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ হে জনমণ্ডলী! আল্লাহকে ছেড়ে তোমরা যাদের উপাসনা করছে এবং যাদের উপর নির্ভরশীল হচ্ছ, তোমরা কি বুঝতে পার না যে, এতো বড় শক্তিশালী সত্তা কি করে তাঁর একজন শরীক গ্রহণ করতে পারেন? তিনি তাঁর সমকক্ষতা, পরামর্শদাতা ও শরীক হতে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র ও মুক্ত। তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, পালনকর্তাও নেই। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর হাতটি ধারণ করে বলেনঃ “আল্লাহ তাআলা যমীন, আসমান এবং এ দুয়ের মধ্যস্থিত সবকিছু সৃষ্টি করার পর সপ্তম দিবসে আরশের উপর অধিষ্ঠিত হন। তিনি মাটিকে শনিবার, পাহাড়কে ররিবার, গাছ-পালাকে সোমবারে, মন্দ জিনিসকে মঙ্গলবার, জ্যোতিকে বুধবার, জীবজন্তুকে বৃহস্পতিবার এবং হযরত আদম (আঃ)-কে শুক্রবার আসরের পরে দিবসের শেষভাগে সৃষ্টি করেন।
তাঁকে তিনি সারা দুনিয়ার মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেন। এতে লাল, কালো, সাদা, ভাল-মন্দ ইত্যাদি সব রকমের মাটি ছিল। এ কারণেই আদম সন্তান ভাল ও মন্দ হয়ে থাকে।” (এ হাদীসটি ইমাম নাসাঈ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী (রঃ) এটাকে মুআল্লাল বলে উল্লেখ করেছেন। এসব ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন)আল্লাহ তা'আলার আদেশ সপ্তম আকাশ হতে অবতীর্ণ হয় এবং সাত তবক যমীনের নীচে পর্যন্ত চলে যায়। যেমন অন্য আয়াতে উল্লিখিত হয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ “আল্লাহ তিনিই যিনি সাতটি আকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং অনুরূপ সংখ্যক যমীন। তার হুকুম এগুলোর মাঝে অবতীর্ণ হয়।” (৬৫:১২) আল্লাহ তা'আলা তাদের আমল নিজ কাচারীর দিকে উঠিয়ে নেন যা দুনিয়ার আকাশের উপরে রয়েছে। যমীন হতে প্রথম আসমান পাঁচশ' বছরের পথের ব্যবধানে রয়েছে। ঐ পরিমাণই ওর ঘনত্ব। এতো দূরের ব্যবধান সত্ত্বেও ফেরেশতারা চোখের পলকে নীচে আসেন ও উপরে যান। এজন্যেই বলা হয়েছেঃ তোমাদের হিসেবে সহস্র বছরের সমান। এতদসত্ত্বেও আল্লাহ প্রতিদিন আমলগুলো অবগত হয়ে থাকেন। ছোট ও বড় সব আমল তার কাছে আনীত হয়। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। তিনি সবকিছু নিজের অধীনস্থ করে রেখেছেন। সমস্ত বান্দার গ্রীবা তার সামনে ঝুঁকে থাকে। তিনি মুমিন বান্দাদের উপর বড়ই স্নেহশীল। তাদের উপর তিনি করুণা বর্ষণ করে থাকেন। তিনিই দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞাতা। তিনি পরাক্রমশালী ও পরম দয়ালু।
ALLAH
Al-Jawwaad
Al-Jawwaad
Meaning: He gives abundantly to all His creatures without exception and bestows on them His kindness and countless graces and blessings. He exclusively bestows on the righteous believers certain blessings in this life and in the hereafter.
Occurrence: This name is not mentioned in the Holy Qur’an but rather in the Prophet’s Sunnah.
Evidence: The Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, “Allah is Most Generous and He loves generosity.” (Reported by At-Tirmidhee)