1445H Week-09

Friday, 15 September 2023

QURAN

Ar-Rum | The Romans | Verse 08-16

30:8

أَوَلَمْ يَتَفَكَّرُوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِم ۗ مَّا خَلَقَ ٱللَّهُ ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَآ إِلَّا بِٱلْحَقِّ وَأَجَلٍۢ مُّسَمًّۭى ۗ وَإِنَّ كَثِيرًۭا مِّنَ ٱلنَّاسِ بِلِقَآئِ رَبِّهِمْ لَكَـٰفِرُونَ ٨

Do they not contemplate within themselves? Allāh has not created the heavens and the earth and what is between them except in truth and for a specified term. And indeed, many of the people, in the meeting with their Lord, are disbelievers.

— Saheeh International

তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখেনা যে, আল্লাহ আকাশমন্ডলী, পৃথিবী ও এতদুভয়ের অন্তবর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবেই এক নির্দিষ্ট কালের জন্য? কিন্তু মানুষের মধ্যে অনেকেই তাদের রবের সাক্ষাতে অবিশ্বাসী।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:9

أَوَلَمْ يَسِيرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ فَيَنظُرُوا۟ كَيْفَ كَانَ عَـٰقِبَةُ ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ ۚ كَانُوٓا۟ أَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةًۭ وَأَثَارُوا۟ ٱلْأَرْضَ وَعَمَرُوهَآ أَكْثَرَ مِمَّا عَمَرُوهَا وَجَآءَتْهُمْ رُسُلُهُم بِٱلْبَيِّنَـٰتِ ۖ فَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَـٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ ٩

Have they not traveled through the earth and observed how was the end of those before them? They were greater than them in power, and they plowed [or excavated] the earth and built it up more than they [i.e., the Makkans] have built it up, and their messengers came to them with clear evidences. And Allāh would not ever have wronged them, but they were wronging themselves.

— Saheeh International

তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনা এবং দেখেনা যে, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কিরূপ হয়েছে? শক্তিতে তারা ছিল তাদের অপেক্ষা প্রবল; তারা জমি চাষ করত, তারা (পূর্ববর্তীরা) ওটা আবাদ করত তাদের অপেক্ষা অধিক। তাদের নিকট এসেছিল তাদের রাসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ; বস্তুতঃ তাদের প্রতি যুলম করা আল্লাহর কাজ ছিলনা, বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:10

ثُمَّ كَانَ عَـٰقِبَةَ ٱلَّذِينَ أَسَـٰٓـُٔوا۟ ٱلسُّوٓأَىٰٓ أَن كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَكَانُوا۟ بِهَا يَسْتَهْزِءُونَ ١٠

Then the end of those who did evil was the worst [consequence] because they denied the signs of Allāh and used to ridicule them.

— Saheeh International

অতঃপর যারা মন্দ কাজ করেছিল তাদের পরিণাম হয়েছে মন্দ; কারণ তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করত এবং তা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:11

ٱللَّهُ يَبْدَؤُا۟ ٱلْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُۥ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ ١١

Allāh begins creation; then He will repeat it; then to Him you will be returned.

— Saheeh International

আল্লাহ আদিতে সৃষ্টি করেন, অতঃপর তিনি এর পুনরাবৃত্তি করবেন, তখন তোমরা তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:12

وَيَوْمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ يُبْلِسُ ٱلْمُجْرِمُونَ ١٢

And the Day the Hour appears the criminals will be in despair.

— Saheeh International

যেদিন কিয়ামাত হবে সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে পড়বে।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:13

وَلَمْ يَكُن لَّهُم مِّن شُرَكَآئِهِمْ شُفَعَـٰٓؤُا۟ وَكَانُوا۟ بِشُرَكَآئِهِمْ كَـٰفِرِينَ ١٣

And there will not be for them among their [alleged] partners any intercessors, and they will [then] be disbelievers in their partners.

— Saheeh International

তাদের দেব-দেবীগুলো তাদের জন্য সুপারিশ করবেনা এবং তারাই তাদের দেব-দেবীগুলোকে অস্বীকার করবে।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:14

وَيَوْمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ يَوْمَئِذٍۢ يَتَفَرَّقُونَ ١٤

And the Day the Hour appears - that Day they will become separated.

— Saheeh International

যেদিন কিয়ামাত সংঘটিত হবে সেদিন মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়বে।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:15

فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّـٰلِحَـٰتِ فَهُمْ فِى رَوْضَةٍۢ يُحْبَرُونَ ١٥

And as for those who had believed and done righteous deeds, they will be in a garden [of Paradise], delighted.

— Saheeh International

অতএব যারা ঈমান এনেছে ও সৎ কাজ করেছে তারা জান্নাতে আনন্দে থাকবে।

— Sheikh Mujibur Rahman


30:16

وَأَمَّا ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ وَكَذَّبُوا۟ بِـَٔايَـٰتِنَا وَلِقَآئِ ٱلْـَٔاخِرَةِ فَأُو۟لَـٰٓئِكَ فِى ٱلْعَذَابِ مُحْضَرُونَ ١٦

But as for those who disbelieved and denied Our verses and the meeting of the Hereafter, those will be brought into the punishment [to remain].

— Saheeh International

আর যারা কুফরী করেছে এবং আমার নিদর্শনাবলী ও পরকালের সাক্ষাৎকার অস্বীকার করেছে তারাই শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

(8. cont - And indeed many of mankind deny meeting with their Lord.) Then Allah tells us of the truth of the Message brought by the Messengers and how He supported them with miracles and clear signs, such as when He destroyed those who disbelieved in them and saved those who believed in them. 

فَيَنظُرُواْ كَيْفَ كَانَ عَـقِبَةُ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَانُواْ أَشَدَّ مِنْهُمْ قُوَّةً

(9. cont - and see what was the end of those before them They were superior to them in strength, ) meaning, `the nations of the past who came before you were stronger than you to whom Muhammad has been sent; they had more wealth and more sons. You have not been given one-tenth of what they were given. They stayed longer in this world than you will stay. They were more civilized than you and were more prosperous in the land than you.' Yet despite all that, when their Messengers came to them with clear signs, while they were enjoying their life of luxury, Allah punished them for their sins and they had no one who could protect them from Allah. Their wealth and sons could not protect them from the wrath of Allah in the slightest, and Allah was not at all unjust towards them when He sent His punishment upon them.

وَلَـكِن كَانُواْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ

(9. cont - but they used to wrong themselves.) They brought destruction upon themselves, when they rejected and mocked the signs of Allah. All of this only happened because of their previous sins and their rejection (of the Messengers). Allah says:

وَنُقَلِّبُ أَفْئِدَتَهُمْ وَأَبْصَـرَهُمْ كَمَا لَمْ يُؤْمِنُواْ بِهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَنَذَرُهُمْ فِى طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُونَ

(And We shall turn their hearts and their eyes away, as they refused to believe therein for the first time, and We shall leave them in their trespass to wander blindly.) (6:110),

فَلَمَّا زَاغُواْ أَزَاغَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ

(So when they turned away, Allah turned their hearts away.) (61:5),

فَإِن تَوَلَّوْاْ فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَن يُصِيبَهُم بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ

(And if they turn away, then know that Allah's will is to punish them for some sins of theirs) (5:49). It was said that the meaning of the phrase

ثُمَّ كَانَ عَـقِبَةَ الَّذِينَ أَسَاءُواْ السُّوءَى

(Then evil was the end of those who did evil,) is that evil was their inevitable end, because they rejected the signs of Allah and made fun of them. This is the view of Ibn Jarir, which he recorded from Ibn `Abbas and Qatadah. Ibn Abi Hatim also recorded it from them and from Ad-Dahhak bin Muzahim. This is the apparent meaning -- and Allah knows best -- of the phrase:

وَكَانُواْ بِهَا يَسْتَهْزِئُونَ

(and made a mockery of them.)

اللَّهُ يَبْدَأُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ

(Allah originates the creation, then He will repeat it,) Just as He was able to create it in the first place, so He is also able to repeat it.

ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

(then to Him you will be returned.) on the Day of Resurrection, when each will be requited according to his deeds. Then Allah says:

وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ يُبْلِسُ الْمُجْرِمُونَ

(And on the Day when the Hour will be established, the criminals will be plunged into destruction with despair.) Ibn `Abbas said, "The sinners will be filled with despair." Mujahid said, "The sinners will be exposed;" according to another report he said, "The sinners will grieve."

وَلَمْ يَكُن لَّهُمْ مِّن شُرَكَآئِهِمْ شُفَعَاءُ

(No intercessors will they have from those whom they made equal with Allah,) means, the gods whom they used to worship instead of Allah will not intercede for them; they will reject them and betray them despite their desperate need of them. Then Allah says:

وَيَوْمَ تَقُومُ السَّاعَةُ يَوْمَئِذٍ يَتَفَرَّقُونَ

(And on the Day when the Hour will be established -- that Day shall (all men) be separated.) Qatadah said: "By Allah, this refers to the separation after which there will be no reunion." In other words, if one person is taken up to the highest heights and another is sent down to the lowest depths of Hell, that is the last they will ever see of one another. Allah says:

فَأَمَّا الَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ الصَّـلِحَـتِ فَهُمْ فِى رَوْضَةٍ يُحْبَرُونَ

(Then as for those who believed and did righteous good deeds, such shall be honored and made to enjoy a luxurious life in a Garden of Delight.) Mujahid and Qatadah said, "This means, they will enjoy a life of luxury."

তাফসীর ইবনে কাছীর 

৮-১০ নং আয়াতের তাফসীর: যেহেতু এ সৃষ্টি জগতের অণু-পরমাণু আল্লাহ তা'আলার অসীম ক্ষমতার প্রকাশ এবং তার আধিপত্য ও সার্বভৌম ক্ষমতার নিদর্শন, সেহেতু ইরশাদ হচ্ছে- তোমরা সমগ্র সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা কর। আল্লাহর অসীম ক্ষমতার নিদর্শনসমূহ দেখে তাঁর পরিচয় লাভ কর এবং তাঁর মহাশক্তির মর্যাদা দাও। কখনো কখনো ঊর্ধাকাশের সৃষ্টি নৈপুণ্যের প্রতি লক্ষ্য কর এবং কখনো কখনো যমীনের সৃষ্টিতত্ত্বের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর। এসব বৃথা বা বিনা কারণে সৃষ্টি করা হয়নি। বরং মহান আল্লাহ মহৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগুলো সৃষ্টি করেছেন। এগুলোকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর অসীম ক্ষমতার নিদর্শনরূপে। প্রত্যেক জিনিসের একটা নির্ধারিত সময় রয়েছে। কিয়ামতেরও একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, যা অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করে না।

এরপর নবীদের সত্যবাদিতা প্রকাশ করতে গিয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ চেয়ে দেখো, তাঁদের বিরুদ্ধবাদীদের পরিণাম হয়েছে কত মন্দ! পক্ষান্তরে যারা তাদেরকে মেনে নিয়েছে, উভয় জগতে তাদের কি ধরনের মর্যাদা ও সম্মান লাভ হয়েছে! তোমরা সারা পৃথিবী পরিভ্রমণ করে দেখো, তোমাদের পূর্বের ঘটনাবলীর নিদর্শন দেখতে পাবে। তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলো তোমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী ছিল। তোমাদের অপেক্ষা ধন-দৌলত তাদের বেশী ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যও তারা তোমাদের চেয়ে বেশী করতো। জমি-জমা ও ক্ষেত-খামারও ছিল তাদের তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী। তাদের কাছে রাসূলগণ মু'জিযা ও দলীল প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ঐ হতভাগ্যেরা তাদেরকে মেনে নেয়নি, বরং তাঁদেরকে তারা অবিশ্বাস করেছিল। তারা নানা প্রকারের মন্দকার্যে লিপ্ত থাকতো। অবশেষে আল্লাহর গযব তাদের উপর পতিত হলো। 

ঐ সময় তাদেরকে উদ্ধার করে এমন কেউ ছিল না। এটা তাদের প্রতি আল্লাহর যুলুম ছিল না। তিনি তাদের মন্দ কর্মের পরিণতি হিসেবেই তাদের প্রতি শাস্তি নাযিল করেছিলেন। আল্লাহর আয়াতসমূহকে তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো, তাঁর কথায় তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ তাদের বে-ঈমানীর কারণে আমি তাদের অন্তর ও দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দিই এবং তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়ে বেড়াতে ছেড়ে দিই।” (৬:১১১) আরো বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যখন তারা বক্রপথ অবলম্বন করলো তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বক্র করে দিলেন।” (৬১:৫) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যদি তারা বিমুখ হয়ে যায় তবে জেনে রেখো যে, তাদের কতক পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করতে চান।" (৫:৪৯) 

এর উপর ভিত্তি করে শব্দটি (আরবি) বা (আরবি) যবরযুক্ত হবে (আরবি) ক্রিয়ার বা কর্ম হয়ে। এটাও একটা উক্তি যে, (আরবি) এখানে এভাবেই পতিত হয়েছে যে, তাদের পরিণাম মন্দ হয়েছে, কেননা তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো এবং ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো। এই হিসেবে এই শব্দটি যবরযুক্ত হবে (আরবি)-এর (আরবি) বা বিধেয় হয়ে। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এই ব্যাখ্যাই করেছেন এবং হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হযরত কাতাদা (রঃ) হতে কথাটা বর্ণনাও করেছেন। যহহাকও (রঃ) একথাই বলেন এবং প্রকৃত ব্যাপারও তাই। কেননা, এরপরেই আছেঃ(আরবি) েঅর্থাৎ “তা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো।” 

১১-১৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেন যে, তিনি প্রথমে যেমন সৃষ্টিজগতকে সৃষ্টি করেছেন, যেভাবে তিনি প্রথমে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়ার পর পুনরায় সৃষ্টি করতে তিনি সক্ষম হবেন। সবকেই কিয়ামতের দিন তার সামনে হাযির করা হবে। সেখানে তিনি প্রত্যেককে তাদের কৃতকর্মের ফলাফল প্রদান করবেন। আল্লাহ ছাড়া তারা যাদের উপাসনা করেছে, তাদের কেউই সেদিন তাদের সুপারিশের জন্যে এগিয়ে আসবে না। কিয়ামতের দিন পাপী ও অপরাধীরা অত্যন্ত অপদস্থ ও একেবারে নির্বাক হয়ে যাবে। যখন তারা সম্পূর্ণরূপে নিরাশ হয়ে যাবে তখন তাদের মিথ্যা ও বাতিল উপাস্যরা তাদের দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নেবে। 

এই বাতিল উপাস্যদের অবস্থাও তাদের মতই হবে। তারা পরিষ্কারভাবে তাদের উপাসকদেরকে বলে দেবে যে, তাদের সাথে তাদের কোনই সম্পর্ক নেই। কিয়ামত সংঘটিত হবার সাথে সাথেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে যাবে। তারপর আর তাদের মধ্যে কোন দেখা সাক্ষাৎ হবে না। সৎকর্মশীলরা ইল্লীঈনে চলে যাবে এবং পাপী ও অপরাধীরা চলে যাবে সিজ্জীনে। ওরা সবচেয়ে উঁচু স্থানে অতি উৎকৃষ্ট অবস্থায় অবস্থান করবে। আর এরা সর্বনিম্ন স্থানে অতি নিকৃষ্ট অবস্থায় থাকবে। আল্লাহ তা'আলা এখানে একথাই বলছেন যে, যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে তারা জান্নাতে আনন্দে থাকবে এবং যারা কুফরী করেছে এবং আল্লাহর নিদর্শনাবলী ও পরলোকের সাক্ষাৎকার অস্বীকার করেছে, তারাই শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। 

ALLAH

Ar-Rafeeq

Ar-Rafeeq

Meaning: Allah is gentle in His actions, His legislation and His judgement. He created the creation and legislated laws in gradual stages with His immense wisdom and in such a way as to make these laws appropriate and simple for his servants. Ar-Rafeeq also means the One who treats His servants with kindness and leniency.

Occurrence: This name is not mentioned in the Holy Qur’an but rather in the Prophet’s Sunnah.

Evidence: The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, “Allah is gentle and loves those who are gentle. He gives for gentleness that which He does not give for harshness.” (Reported by Ahmad)

`Abd Allah b. Mughaffal reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying :

Allah is gentle, likes gentleness, and gives for gentleness what he does not give for harshness.

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ يُونُسَ، وَحُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ رَفِيقٌ يُحِبُّ الرِّفْقَ وَيُعْطِي عَلَيْهِ مَا لاَ يُعْطِي عَلَى الْعُنْفِ ‏"‏ ‏.‏

৪৭৩২. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ হলেন নরম ব্যবহারকারী, তিনি নরম ব্যবহার পসন্দ করেন। আর তিনি নরম ব্যবহারকারীকে যে ছাওয়াব দেন, কঠোর ব্যবহারকারীকে তা দেন না। 

Sunan Abi Dawud 4807

YOUTH

Faith and Miracles: The Story of Prophet Musa

Musa And The Magicians - 3