1445H Week-02
Friday, 28 July 2023
QURAN
Al-'Ankabut | The Spider | Verse 38-43
29:38
وَعَادًۭا وَثَمُودَا۟ وَقَد تَّبَيَّنَ لَكُم مِّن مَّسَـٰكِنِهِمْ ۖ وَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيْطَـٰنُ أَعْمَـٰلَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ ٱلسَّبِيلِ وَكَانُوا۟ مُسْتَبْصِرِينَ ٣٨
And [We destroyed] ʿAad and Thamūd, and it has become clear to you from their [ruined] dwellings. And Satan had made pleasing to them their deeds and averted them from the path, and they were endowed with perception.
— Saheeh International
এবং আমি ‘আদ ও ছামূদকে ধ্বংস করেছিলাম; তাদের বাড়ীঘরই তোমাদের জন্য এর সুস্পষ্ট প্রমাণ। শাইতান তাদের কাজকে তাদের দৃষ্টিতে সুশোভিত করেছিল এবং তাদেরকে সৎপথ অবলম্বনে বাধা দিয়েছিল, যদিও তারা ছিল বিচক্ষণ।
— Sheikh Mujibur Rahman
29:39
وَقَـٰرُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَـٰمَـٰنَ ۖ وَلَقَدْ جَآءَهُم مُّوسَىٰ بِٱلْبَيِّنَـٰتِ فَٱسْتَكْبَرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ وَمَا كَانُوا۟ سَـٰبِقِينَ ٣٩
And [We destroyed] Qārūn and Pharaoh and Hāmān. And Moses had already come to them with clear evidences, and they were arrogant in the land, but they were not outrunners [of Our punishment].
— Saheeh International
স্মরণ কর কারূন, ফির‘আউন ও হামানকে; মূসা তাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল; তখন তারা দেশে দম্ভ করত; কিন্তু তারা আমার শাস্তি এড়াতে পারেনি।
— Sheikh Mujibur Rahman
29:40
فَكُلًّا أَخَذْنَا بِذَنۢبِهِۦ ۖ فَمِنْهُم مَّنْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِ حَاصِبًۭا وَمِنْهُم مَّنْ أَخَذَتْهُ ٱلصَّيْحَةُ وَمِنْهُم مَّنْ خَسَفْنَا بِهِ ٱلْأَرْضَ وَمِنْهُم مَّنْ أَغْرَقْنَا ۚ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَـٰكِن كَانُوٓا۟ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ ٤٠
So each We seized for his sin; and among them were those upon whom We sent a storm of stones, and among them were those who were seized by the blast [from the sky], and among them were those whom We caused the earth to swallow, and among them were those whom We drowned. And Allāh would not have wronged them, but it was they who were wronging themselves.
— Saheeh International
তাদের প্রত্যেককেই তাদের অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছিলাম; তাদের কারও প্রতি প্রেরণ করেছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড ঝটিকা, তাদের কেহকে আঘাত করেছিল মহানাদ, কেহকে আমি প্রোথিত করেছিলাম ভূ-গর্ভে এবং কেহকে করেছিলাম নিমজ্জিত। আল্লাহ তাদের প্রতি কোন যুল্ম করেননি; তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুল্ম করেছিল।
— Sheikh Mujibur Rahman
29:41
مَثَلُ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُوا۟ مِن دُونِ ٱللَّهِ أَوْلِيَآءَ كَمَثَلِ ٱلْعَنكَبُوتِ ٱتَّخَذَتْ بَيْتًۭا ۖ وَإِنَّ أَوْهَنَ ٱلْبُيُوتِ لَبَيْتُ ٱلْعَنكَبُوتِ ۖ لَوْ كَانُوا۟ يَعْلَمُونَ ٤١
The example of those who take allies other than Allāh is like that of the spider who takes [i.e., constructs] a home. And indeed, the weakest of homes is the home of the spider, if they only knew.
— Saheeh International
আল্লাহর পরিবর্তে যারা অপরকে অভিভাবক রূপে গ্রহণ করে তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সা, যে নিজের জন্য ঘর তৈরী করে; এবং ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরইতো দুর্বলতম, যদি তারা জানত।
— Sheikh Mujibur Rahman
29:42
إِنَّ ٱللَّهَ يَعْلَمُ مَا يَدْعُونَ مِن دُونِهِۦ مِن شَىْءٍۢ ۚ وَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلْحَكِيمُ ٤٢
Indeed, Allāh knows whatever thing they call upon other than Him. And He is the Exalted in Might, the Wise.
— Saheeh International
তারা আল্লাহর পরিবর্তে যা কিছুকে আহবান করে আল্লাহ তা জানেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
— Sheikh Mujibur Rahman
29:43
وَتِلْكَ ٱلْأَمْثَـٰلُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ ۖ وَمَا يَعْقِلُهَآ إِلَّا ٱلْعَـٰلِمُونَ ٤٣
And these examples We present to the people, but none will understand them except those of knowledge.
— Saheeh International
মানুষের জন্য এ সব দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে থাকি, কিন্তু শুধু জ্ঞানী ব্যক্তিরাই এটা বুঝে।
— Sheikh Mujibur Rahman
Tafsir Ibn Kathir
The Destruction of Nations Who rejected Their Messengers
Allah tells us about these nations who disbelieved in their Messengers, and how He destroyed them and sent various kinds of punishments and vengeance upon them. `Ad, the people of Hud, peace be upon him, used to live in the Ahqaf (curved sand-hills), near Hadramawt, in the Yemen. Thamud, the people of Salih, lived in Al-Hijr, near Wadi Al-Qura. The Arabs used to know their dwelling place very well, and they often used to pass by it. Qarun was the owner of great wealth and had the keys to immense treasures. Fir`awn, the king of Egypt at the time of Musa, and his minister Haman were two Coptics who disbelieved in Allah and His Messenger, peace be upon him.
فَكُلاًّ أَخَذْنَا بِذَنبِهِ
(So, We punished each for his sins,) their punishments fit their crimes.
فَمِنْهُم مَّن أَرْسَلْنَا عَلَيْهِ حَاصِباً
(of them were some on whom We sent a Hasib,) This was the case with `Ad, and this happened because they said: "Who is stronger than us" So, there came upon them a violent, intensely cold wind, which was very strong and carried pebbles which it threw upon them. It carried them through the air, lifting a man up to the sky and then hurling him headlong to the ground, so that his head split and he was left as a body without a head, like uprooted stems of date palms.
وَمِنْهُمْ مَّنْ أَخَذَتْهُ الصَّيْحَةُ
(and of them were some who were overtaken by As-Sayhah,) This is what happened to Thamud, against whom evidence was established because of the she-camel who came forth when the rock was split, exactly as they had asked for. Yet despite that they did not believe, rather they persisted in their evil behavior and disbelief, and threatening to expel Allah's Prophet Salih and the believers with him, or to stone them. So the Sayhah struck them, taking away their powers of speech and movement.
وَمِنْهُمْ مَّنْ خَسَفْنَا بِهِ الاٌّرْضَ
(and of them were some whom We caused the earth to swallow,) This refers to Qarun who transgressed, he was evil and arrogant. He disobeyed his Lord, the Most High, and paraded through the land in a boastful manner, filled with self-admiration, thinking that he was better than others. He showed off as he walked, so Allah caused the earth to swallow him and his house, and he will continue sinking into it until the Day of Resurrection.
وَمِنْهُمْ مَّنْ أَغْرَقْنَا
(and of them were some whom We drowned.) This refers to Fir`awn, his minister Haman and their troops, all of whom were drowned in a single morning, not one of them escaped.
وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ
(It was not Allah Who wronged them,) in what He did to them,
وَلَـكِن كَانُواْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ
(but they wronged themselves.) that happened to them as a punishment for what they did with their own hands.
Likening the gods of the Idolators to the House of a Spider
This is how Allah described the idolators in their reverence of gods besides Him, hoping that they would help them and provide for them, and turning to them in times of difficulties. In this regard, they were like the house of a spider, which is so weak and frail, because by clinging to these gods they were like a person who holds on to a spider's web, who does not gain any benefit from that. If they knew this, they would not take any protectors besides Allah. This is unlike the Muslim believer, whose heart is devoted to Allah, yet he still does righteous deeds and follows the Laws of Allah, for he has grasped the most trustworthy handle that will never break because it is so strong and firm. Then Allah warns those who worship others besides Him and associate others with Him that He knows what they do and the rivals they associate with Him. He will punish them for their attribution, for He is All-Wise and All-Knowing. Then He says:
وَتِلْكَ الاٌّمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ وَمَا يَعْقِلُهَآ إِلاَّ الْعَـلِمُونَ
(And these are the examples We give for mankind; but none will understand them except those who have knowledge.) meaning, no one understands them or ponders them except those who are possessed of deep knowledge. Ibn Abi Hatim recorded that `Amr bin Murrah said, "I never came across an Ayah of the Book of Allah that I did not know, but it grieved me, because I heard that Allah says:
وَتِلْكَ الاٌّمْثَالُ نَضْرِبُهَا لِلنَّاسِ وَمَا يَعْقِلُهَآ إِلاَّ الْعَـلِمُونَ
(And these are the examples We give for mankind; but none will understand them except those who have knowledge. )"
তাফসীর ইবনে কাছীর
৩৮-৪০ নং আয়াতের তাফসীর: আ’দেরা ছিল হযরত হূদ (আঃ)-এর সম্প্রদায়। তারা আহকাফে বাস করতো। ওটা ছিল ইয়ামনের শহরগুলোর মধ্যে একটি শহর। এটা হারামাউতের নিকটবর্তী ছিল।সামূদীরা ছিল হযরত সালেহ (আঃ)-এর কওমের লোক। তারা হিজরে বসবাস করতো, যা ওয়াদীকুরার নিকটে ছিল। আরববাসীরা এই দুই সম্প্রদায়ের বাসভূমি সম্পর্কে ছিল পূর্ণ ওয়াকিফহাল।কারূন ছিল একজন সম্পদশালী লোক, যার পরিপূর্ণ ধনভাণ্ডারের চাবি একদল শক্তিশালী লোককে উঠাতে হতো ।ফিরাউন ছিল মিসরের বাদশাহ্। আর হামান ছিল তার প্রধানমন্ত্রী। তার যুগেই হযরত মূসা (আঃ)-কে নবীরূপে তার নিকট প্রেরণ করা হয়। ফিরাউন ও হামান উভয়েই কিবতী কাফির। যখন তাদের ঔদ্ধত্য ও হঠকারিতা চরমে পৌছে, তারা আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করে বসে, রাসূলদেরকে (আঃ) কষ্ট দেয় এবং তাদেরকে অবিশ্বাস করে তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের প্রত্যেককেই বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি দিয়ে ধ্বংস করে দেন। আ’দ সম্প্রদায়ের উপর তিনি প্রবল ঝটিকা প্রেরণ করেন। তারা তাদের শক্তির বড়ই গর্ব করতো। কেউ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে এটা তারা বিশ্বাসই করতো না।
আল্লাহ তাআলা তাদের উপর প্রচণ্ড বায়ু প্রেরণ করেন, যা যমীন হতে পাথর উঠিয়ে উঠিয়ে তাদের উপর বর্ষণ করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ঐ বায়ু এমন প্রচণ্ড আকার ধারণ করে যে, তাদেরকে একেবারে আকাশে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং সেখান হতে উল্টো মুখে নীচে নিক্ষেপ করে। মাথার ভরে পড়ে তাদের মাথা দেহ হতে পৃথক হয়ে যায় এবং তাদের এমন অবস্থা হয় যে, যেন খেজুরের গাছ, যার কাণ্ড পৃথক হয়ে গেছে। সামূদ সম্প্রদায়ের উপরও আল্লাহর হুজ্জত পূর্ণ হয়। তাদেরকে নিদর্শন দেয়া হয়। তাদের দাবী ও চাহিদামত পাথরের মধ্য থেকে তাদের চোখের সামনে উষ্ট্ৰী বের হয়ে আসে।
কিন্তু তথাপি তাদের ভাগ্যে ঈমান আসেনি। বরং হঠকারিতায় তারা বাড়তেই থাকে। নবী হযরত সালেহ (আঃ)-কে ভয় প্রদর্শন করতে ও ধমক দিতে থাকে। ঈমানদারদেরকে তারা বলতে শুরু করেঃ “তোমরা আমাদের শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাও, অন্যথায় আমরা তোমাদেরকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করে ফেলবো।” ফলে তাদেরকে এক গুরুগম্ভীর শব্দ দ্বারা ধ্বংস করে দেয়া হয়।কারূন ঔদ্ধত্য ও দাম্ভিকতা প্রকাশ করে। সে মহা-প্রতাপান্বিত আল্লাহর অবাধ্যাচরণ করতঃ ভূ-পৃষ্ঠে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। যমীনে সে গর্বভরে চলতে থাকে এবং ধনের গর্বে গর্বিত হয় ও ফুলে ওঠে। সে ধরাকে সরা জ্ঞান করে বসে। ফলে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে তার দলবল ও প্রাসাদসহ ভূ-গর্ভে প্রোথিত করেন। আজ পর্যন্ত সে প্রোথিত হতেই আছে।ফিরাউন, হামান এবং তাদের দলবলকে সকাল সকালই একই সাথে একই মুহূর্তে সমুদ্রে নিমজ্জিত করা হয়। তাদের মধ্যে এমন একজনও বাঁচেনি যে তাদের নাম নিতে পারে।
আল্লাহ পাক এসব কিছু যে করেছিলেন তা তাদের প্রতি তাঁর যুলুম ছিল না। বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলুম করেছিল। এটা ছিল তাদের কৃতকর্মেরই ফল।এই বর্ণনা এখানে ক্রমপর্যায়ে দেয়া হয়েছে। প্রথমে অবিশ্বাসকারী উম্মতদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তারপর তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন আযাব দ্বারা ধ্বংস করে দেয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন যে, সর্বপ্রথম যাদেরকে প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণের দ্বারা ধ্বংস করে দেয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে তাদের দ্বারা হযরত লুত (আঃ)-এর কওমকে বুঝানো হয়েছে।
আর নিমজ্জিত করে দেয়া কওম দ্বারা বুঝানো হয়েছে হযরত নূহ (আঃ)-এর কওমকে। কিন্তু এ উক্তিটি সঠিক নয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে এটা বর্ণিত আছে বটে, কিন্তু সনদের মধ্যে ইনকিতা বা ছেদ-কাটা আছে। এই দুই সম্প্রদায়ের ধ্বংসের বর্ণনা এভাবেই সবিস্তারে বর্ণিত হয়ে গেছে। অতঃপর বহু দূরত্বের পরে এর বর্ণনা দেয়া হয়েছে। হযরত কাতাদা (রঃ) হতে এটাও বর্ণিত হয়েছে যে, প্রস্তর বৃষ্টি যাদের উপর বর্ষিত হয়েছিল তাদের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো হযরত লূত (আঃ)-এর কওম। আর বিকট ও গুরুগম্ভীর শব্দ দ্বারা যাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয় তাদের দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে হযরত শুআয়েব (আঃ)-এর কওম। কিন্তু এই উক্তিটিও এই আয়াতগুলো হতে দূরে রয়েছে। এসব ব্যাপারে সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ।
৪১-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর: যেসব লোক আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের পূজা-অর্চনা করে, তাদের পথভ্রষ্টতা ও অজ্ঞানতার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। তারা তাদের সাহায্য প্রার্থী হয় এবং বিপদ আপদে তাদের কাছে উপকার লাভের আশা করে। এদের দৃষ্টান্ত ওদের মত যারা মাকড়সার জালে বৃষ্টি, রৌদ্র ও ঠাণ্ডা হতে আশ্রয় পাওয়ার আশা করে থাকে। যদি তাদের জ্ঞান থাকতো তবে তারা সৃষ্টিকর্তাকে ছেড়ে সৃষ্টের কাছে কোন আশা করতো না। সুতরাং তাদের অবস্থা ঈমানদারদের অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত।
মুমিনরা এক মযবূত লৌহ-কড়াকে ধরে রয়েছে। পক্ষান্তরে এই মুশরিকরা মাকড়সার জালে নিজেদের মস্তক লুকিয়ে রেখেছে। মুমিনদের অন্তর আল্লাহর দিকে এবং তাদের দেহ সৎ আমলের দিকে লিপ্ত রয়েছে। আর এই কাফির ও মুশরিকদের অন্তর সৃষ্টবস্তুর দিকে এবং তাদের দেহ সৃষ্টবস্তুর উপাসনার দিকে আকৃষ্ট রয়েছে।এরপর আল্লাহ তা'আলা মুশরিকদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছেন যে, তারা আল্লাহর পরিবর্তে যা কিছুকে আহ্বান করে আল্লাহ তা অবগত আছেন। তিনি তাদেরকে তাদের দুষ্কর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন। তিনি তাদেরকে যে অবকাশ দিচ্ছেন এতে তার যুক্তি ও নিপুণতা রয়েছে। তাদেরকে অবকাশ দেয়ার অর্থ এটা নয় যে, তিনি তাদের থেকে বে-খবর ।।মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ মানুষের (বুঝের) জন্যে আমি এই সব দৃষ্টান্ত বর্ণনা করে থাকি।
কিন্তু শুধু (আমলকারী) আলেমরাই এটা অনুধাবন করে।এই আয়াত দ্বারাই সাব্যস্ত হয় যে, আল্লাহ তাআলা কর্তৃক বর্ণিত দৃষ্টান্তগুলো বুঝে নেয়া সত্য ও সঠিক ইলমের প্রমাণ।হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, “আমি এক হাজার দৃষ্টান্ত রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট শিখেছি ও বুঝেছি।” (এটা ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত আমর ইবনে মুররা (রাঃ) বলেনঃ “কুরআন কারীমের যে আয়াত আমি পাঠ করি এবং ওর অর্থ ও ব্যাখ্যা বুঝতে অপারগ হই তখন আমার মনে বড় দুঃখ হয় এবং অন্তরে খুব ব্যথা পাই ও ভীত হই যে, না জানি হয়তো আল্লাহ তা'আলার নিকট আমি মূর্খ বলে গণ্য হয়ে যাই। কেননা, আল্লাহ তাআলা তো বলেছেনঃ “মানুষের সামনে আমি এসব দৃষ্টান্ত পেশ করে থাকি, কিন্তু আলেমরা ছাড়া কেউই এগুলো বুঝতে পারে না।”
ALLAH
Al-Muqaddim, Al-Mu'akh-khir
Al-Muqaddim, Al-Mu'akh-khir
Meaning: He places things where they should exactly belong. He advances and postpones whatever He pleases in His infinite wisdom and absolute justice. He decreed everything before He created the creation. He promotes whomever He wills to the higher positions of the righteous predecessors and delays and holds back whomever he wills, in His absolute wisdom and justice. No one can advance whatever He delays, nor delay whatever He advances.
Occurrence: These names are not mentioned in the Holy Qur’an but rather in the Prophet’s Sunnah.
Narrated Ibn `Abbas:
When the Prophet (ﷺ) got up at night to offer the Tahajjud prayer, he used to say: Allahumma lakal-hamd. Anta qaiyyimus-samawati wal-ard wa man fihinna. Walakal-hamd, Laka mulkus-samawati wal-ard wa man fihinna. Walakal-hamd, anta nurus-samawati wal-ard. Wa lakal-hamd, anta-l-haq wa wa'duka-lhaq, wa liqa'uka Haq, wa qauluka Haq, wal-jannatu Han wan-naru Haq wannabiyuna Haq. Wa Muhammadun, sallal-lahu'alaihi wasallam, Haq, was-sa'atu Haq. Allahumma aslamtu Laka wabika amantu, wa 'Alaika tawakkaltu, wa ilaika anabtu wa bika khasamtu, wa ilaika hakamtu faghfir li ma qaddamtu wama akh-khartu wama as-rartu wama'a lantu, anta-l-muqaddim wa anta-l-mu akh-khir, la ilaha illa anta (or la ilaha ghairuka). (O Allah! All the praises are for you, You are the Holder of the Heavens and the Earth, And whatever is in them. All the praises are for You; You have the possession of the Heavens and the Earth And whatever is in them. All the praises are for You; You are the Light of the Heavens and the Earth And all the praises are for You; You are the King of the Heavens and the Earth; And all the praises are for You; You are the Truth and Your Promise is the truth, And to meet You is true, Your Word is the truth And Paradise is true And Hell is true And all the Prophets (Peace be upon them) are true; And Muhammad is true, And the Day of Resurrection is true. O Allah ! I surrender (my will) to You; I believe in You and depend on You. And repent to You, And with Your help I argue (with my opponents, the non-believers) And I take You as a judge (to judge between us). Please forgive me my previous And future sins; And whatever I concealed or revealed And You are the One who make (some people) forward And (some) backward. There is none to be worshipped but you . Sufyan said that `Abdul Karim Abu Umaiya added to the above, 'Wala haula Wala quwata illa billah' (There is neither might nor power except with Allah).
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَتَهَجَّدُ قَالَ " اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ ـ ". قَالَ سُفْيَانُ وَزَادَ عَبْدُ الْكَرِيمِ أَبُو أُمَيَّةَ " وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ". قَالَ سُفْيَانُ قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ سَمِعَهُ مِنْ طَاوُسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
১১২০. ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু‘আ পড়তেন- ‘‘হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, আপনি আসমান যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর নিয়ামক এবং আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আসমান যমীন এবং তাদের মাঝে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আসমান যমীনের নূর। আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনি আকাশ ও যমীনের মালিক, আপনারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। আপনিই চির সত্য। আপনার ওয়াদা চির সত্য; আপনার সাক্ষাৎ সত্য; আপনার বাণী সত্য; জান্নাত সত্য; জাহান্নাম সত্য; নবীগণ সত্য; মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য, কিয়ামত সত্য। ইয়া আল্লাহ্! আপনার নিকটই আমি আত্মসমর্পণ করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরেই তাওয়াক্কুল করলাম, আপনার দিকেই রুজূ‘ করলাম; আপনার (সন্তুষ্টির জন্যই) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বাপর ও প্রকাশ্য গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই অগ্র পশ্চাতের মালিক। আপনি ব্যতীত সত্য প্রকৃত কোন ইলাহ্ নেই, অথবা (অপর বর্ণনায়) আপনি ব্যতীত প্রকৃত কোন সত্য মা‘বূদ নেই।
সুফইয়ান (রহ.) বলেছেন, আবূ উমাইয়্যাহ (রহ.) তাঁর বর্ণনায় وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (বাক্যটি) অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। সুফইয়ান (রহ.).....ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
Reference: Sahih al-Bukhari 1120