1444H Week-34

Friday, 24 March 2023

 

 

QURAN

Al-Qasas | The Stories | Verse 68-75

28:68

وَرَبُّكَ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ وَيَخْتَارُ ۗ مَا كَانَ لَهُمُ ٱلْخِيَرَةُ ۚ سُبْحَـٰنَ ٱللَّهِ وَتَعَـٰلَىٰ عَمَّا يُشْرِكُونَ ٦٨

And your Lord creates what He wills and chooses; not for them was the choice. Exalted is Allāh and high above what they associate with Him.

— Saheeh International

তোমার রাব্ব যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন, এতে তাদের কোন ক্ষমতা নেই, আল্লাহ পবিত্র মহান এবং তারা যাকে শরীক করে তা হতে তিনি উর্ধ্বে।

— Sheikh Mujibur Rahman


28:69

وَرَبُّكَ يَعْلَمُ مَا تُكِنُّ صُدُورُهُمْ وَمَا يُعْلِنُونَ ٦٩

And your Lord knows what their breasts conceal and what they declare.

— Saheeh International

আর তোমার রাব্ব জানেন তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং তারা যা ব্যক্ত করে।

— Sheikh Mujibur Rahman


28:70

وَهُوَ ٱللَّهُ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ لَهُ ٱلْحَمْدُ فِى ٱلْأُولَىٰ وَٱلْـَٔاخِرَةِ ۖ وَلَهُ ٱلْحُكْمُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ ٧٠

And He is Allāh; there is no deity except Him. To Him is [due all] praise in the first [life] and the Hereafter. And His is the [final] decision, and to Him you will be returned.

— Saheeh International

তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন মা‘বূদ নেই; দুনিয়া ও আখিরাতে প্রশংসা তাঁরই, বিধান তাঁরই আয়ত্বাধীন; তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে।

— Sheikh Mujibur Rahman


28:71

قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِن جَعَلَ ٱللَّهُ عَلَيْكُمُ ٱلَّيْلَ سَرْمَدًا إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَـٰمَةِ مَنْ إِلَـٰهٌ غَيْرُ ٱللَّهِ يَأْتِيكُم بِضِيَآءٍ ۖ أَفَلَا تَسْمَعُونَ ٧١

Say, "Have you considered: if Allāh should make for you the night continuous until the Day of Resurrection, what deity other than Allāh could bring you light? Then will you not hear?"

— Saheeh International

বলঃ তোমরা কি ভেবে দেখেছ, আল্লাহ যদি রাতকে কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন তাহলে আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন ইলাহ আছে কি যে তোমাদেরকে আলোক দান করতে পারে? তোমরা কি কর্ণপাত করবেনা?

— Sheikh Mujibur Rahman


28:72

قُلْ أَرَءَيْتُمْ إِن جَعَلَ ٱللَّهُ عَلَيْكُمُ ٱلنَّهَارَ سَرْمَدًا إِلَىٰ يَوْمِ ٱلْقِيَـٰمَةِ مَنْ إِلَـٰهٌ غَيْرُ ٱللَّهِ يَأْتِيكُم بِلَيْلٍۢ تَسْكُنُونَ فِيهِ ۖ أَفَلَا تُبْصِرُونَ ٧٢

Say, "Have you considered: if Allāh should make for you the day continuous until the Day of Resurrection, what deity other than Allāh could bring you a night in which you may rest? Then will you not see?"

— Saheeh International

বলঃ ভেবে দেখ তো, আল্লাহ যদি দিনকে কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন তাহলে আল্লাহ ব্যতীত এমন ইলাহ কে আছে যে তোমাদেরকে রাত দান করতে পারে, যাতে তোমরা বিশ্রাম করবে? তোমরা কি তবুও ভেবে দেখবেনা?

— Sheikh Mujibur Rahman


28:73

وَمِن رَّحْمَتِهِۦ جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَ لِتَسْكُنُوا۟ فِيهِ وَلِتَبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِهِۦ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ٧٣

And out of His mercy He made for you the night and the day that you may rest therein and [by day] seek from His bounty and [that] perhaps you will be grateful.

— Saheeh International

তিনিই তাঁর রাহমাতের দ্বারা তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন দিন ও রাত, যাতে তোমরা বিশ্রাম গ্রহণ কর এবং তাঁর অনুগ্রহ তালাশ কর, এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

— Sheikh Mujibur Rahman


28:74

وَيَوْمَ يُنَادِيهِمْ فَيَقُولُ أَيْنَ شُرَكَآءِىَ ٱلَّذِينَ كُنتُمْ تَزْعُمُونَ ٧٤

And [warn of] the Day He will call them and say, "Where are My 'partners' which you used to claim?"

— Saheeh International

সেদিন তিনি তাদেরকে আহবান করে বলবেনঃ তোমরা যাদেরকে শরীক গণ্য করতে তারা কোথায়?

— Sheikh Mujibur Rahman


28:75

وَنَزَعْنَا مِن كُلِّ أُمَّةٍۢ شَهِيدًۭا فَقُلْنَا هَاتُوا۟ بُرْهَـٰنَكُمْ فَعَلِمُوٓا۟ أَنَّ ٱلْحَقَّ لِلَّهِ وَضَلَّ عَنْهُم مَّا كَانُوا۟ يَفْتَرُونَ ٧٥

And We will extract from every nation a witness and say, "Produce your proof," and they will know that the truth belongs to Allāh, and lost from them is that which they used to invent.

— Saheeh International

প্রত্যেক সম্প্রদায় হতে আমি একজন সাক্ষী আলাদা করব এবং বলবঃ তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর। তখন তারা জানতে পারবে, মা‘বূদ হবার অধিকার আল্লাহরই এবং তারা যা উদ্ভাবন করত তা তাদের নিকট হতে অন্তর্হিত হবে।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

Allah Alone is the One Who has the Power of Creation, Knowledge and Choice

Allah tells us that He is the only One Who has the power to create and make decisions, and there is no one who can dispute with Him in that or reverse His judgement. His saying:

وَرَبُّكَ يَخْلُقُ مَا يَشَآءُ وَيَخْتَارُ

(And your Lord creates whatsoever He wills and chooses,) means, whatever He wills, for what He wills, happens; and what He does not will, does not happen. All things, good and bad alike, are in His Hands and will return to Him.

مَا كَانَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ

(no choice have they.) is a negation, according to the correct view. This is like the Ayah,

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلاَ مُؤْمِنَةٍ إِذَا قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْراً أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ

(It is not for a believer, man or woman, when Allah and His Messenger have decreed a matter that they should have any option in their decision) (33:36). Then Allah says:

وَرَبُّكَ يَعْلَمُ مَا تُكِنُّ صُدُورُهُمْ وَمَا يُعْلِنُونَ

(And your Lord knows what their breasts conceal, and what they reveal.) He knows what is hidden in their hearts, just as He knows what they do openly.

سَوَآءٌ مِّنْكُمْ مَّنْ أَسَرَّ الْقَوْلَ وَمَنْ جَهَرَ بِهِ وَمَنْ هُوَ مُسْتَخْفٍ بِالَّيْلِ وَسَارِبٌ بِالنَّهَارِ

(It is the same whether any of you conceals his speech or declares it openly, whether he be hid by night or goes forth freely by day.) (13:10).

وَهُوَ اللَّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ

(And He is Allah; La ilaha illa Huwa,) meaning, He is unique in His divinity, for none is to be worshipped besides Him, and there is no lord who can create what he wills and chooses besides Him.

لَهُ الْحَمْدُ فِى الاٍّولَى وَالاٌّخِرَةِ

(His is the praise, in the first and in the last,) in all that He does, He is to be praised for His justice and wisdom.

وَلَهُ الْحُكْمُ

(His is the decision,) that none can put back, because of His might, power, wisdom and mercy.

وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

(and to Him shall you be returned.) means, all of you on the Day of Resurrection, and everyone will be rewarded or punished according to his deeds, good and evil alike, and absolutely none of their deeds will be concealed from Him.

Night and Day are among the Blessings of Allah and are Signs of Tawhid

Allah reminds His servants of His favors towards them by subjugating for them the night and day, without which they could not survive. He explains that if He made the night continuous, lasting until the Day of Resurrection, that would be harmful for them and would cause boredom and stress. So He says:

مَنْ إِلَـهٌ غَيْرُ اللَّهِ يَأْتِيكُمْ بِضِيَآءٍ

(which god besides Allah could bring you light) meaning, `with which you could see things and which would bring you relief'

أَفَلاَ تَسْمَعُونَ

(Will you not then hear) Then Allah tells us that if He had made the day continuous, lasting until the Day of Resurrection, that would also be harmful for them and their bodies would get tired from so much movement and activity. Allah says:

مَنْ إِلَـهٌ غَيْرُ اللَّهِ يَأْتِيكُمْ بِلَيْلٍ تَسْكُنُونَ فِيهِ

(which god besides Allah could bring you night wherein you rest) meaning, `to rest from your work and activity.'

أَفلاَ تُبْصِرُونَوَمِن رَّحْمَتِهِ

(Will you not then see It is out of His mercy) towards you,

جَعَلَ لَكُمُ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ

(that He has made for you the night and the day) He created both,

لِتَسْكُنُواْ فِيهِ

(that you may rest therein) during the night,

وَلِتَبْتَغُواْ مِن فَضْلِهِ

(and that you may seek of His bounty) during the day, by traveling, moving about and working.

وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

(and in order that you may be grateful.) So that you may give thanks to Allah by performing all kinds of acts of worship at night and during the day. Whoever misses something during the night can make it up during the day, and vice versa. This is like the Ayah,

وَهُوَ الَّذِى جَعَلَ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ خِلْفَةً لِّمَنْ أَرَادَ أَن يَذَّكَّرَ أَوْ أَرَادَ شُكُوراً

(And He it is Who has put the night and the day in succession, for such who desires to remember or desires to show his gratitude.) (25:62). And there are many similar Ayat.

Rebuking the Idolators

This is another call by way of rebuke for those who worshipped other gods besides Allah. The Lord, may He be exalted, will call to them before all the witnesses, and will say:

أَيْنَ شُرَكَآئِىَ الَّذِينَ كُنتُمْ تَزْعُمُونَ

(Where are My (so-called) partners, whom you used to assert) meaning, in this world.

وَنَزَعْنَا مِن كُلِّ أُمَّةٍ شَهِيداً

(And We shall take out from every nation a witness,) Mujahid said, "This means a Messenger."

فَقُلْنَا هَاتُواْ بُرْهَـنَكُمْ

(and We shall say: "Bring your proof.") meaning, `of the truth of your claim that Allah had any partners.'

فَعَلِمُواْ أَنَّ الْحَقَّ لِلَّهِ

(Then they shall know that the truth is with Allah,) meaning, that there is no god besides Him. Then they will not speak and they will not be able to find any answer.

وَضَلَّ عَنْهُمْ مَّا كَانُواْ يَفْتَرُونَ

(and the lies which they invented will disappear from them.) they will vanish and will be of no benefit to them.

তাফসীর ইবনে কাছীর 

৬৮-৭০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, একমাত্র তিনিই সৃষ্টিকর্তা এবং সমস্ত আধিপত্য তাঁরই। না তার সাথে কেউ বিতর্কে লিপ্ত হতে পারে, না কেউ তাঁর শরীক হতে পারে। তিনি যা চান তাই সৃষ্টি করে থাকেন এবং যাকে চান নিজের বিশিষ্ট বান্দা বানিয়ে নেন। তিনি যা চান তা হয় এবং যা চান না তা হয় না। ভাল ও মন্দ সবই তাঁরই হাতে। সবকেই তারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। কারো কোন অধিকার নেই। শব্দের অর্থ এটাই। যেমন আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ) কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিনা নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না।” (৩৩:৩৬)সঠিক দু’টি উক্তিতেই (আরবি) শব্দটি (আরবি) বা নেতিবাচক রূপে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে ইবনে জারীর (রঃ) বলেছেন যে, (আরবি) এখানে ব্যবহৃত হয়েছে (আরবি) অর্থে। অর্থাৎ আল্লাহ ওটাই পছন্দ করেন যাতে তাদের মঙ্গল রয়েছে। কিন্তু সঠিক কথা এটাই যে, এখানে (আরবি) ব্যবহৃত হয়েছে (আরবি) অর্থে। যেমন এটা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখ গুরুজন হতে বর্ণিত হয়েছে। 

এ আয়াতটি এই বর্ণনাতেই রয়েছে যে, মাখলুককে সৃষ্টি করা, তকদীর নির্ধারণ করা ইত্যাদি সবকিছুর অধিকার একমাত্র আল্লাহর। তিনি অতুলনীয়। এজন্যেই এ আয়াতের শেষে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ তারা যাকে শরীক করে তা হতে তিনি ঊর্ধ্বে।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তোমার প্রতিপালক জানেন তাদের অন্তরে যা গোপন রয়েছে এবং তারা যা প্রকাশ করে। হে মানুষ! তোমরা যা গোপন কর বা প্রকাশ কর, সবকিছুই তাঁর কাছে প্রকাশমান, তিনি সবই জানেন। দিবসে ও রজনীতে যা কিছু ঘটছে, কিছুই তার কাছে গোপন থাকে না। মা'বুদ হওয়ার ব্যাপারেও তিনি একক। দুনিয়া ও আখিরাতে প্রশংসা তাঁরই, বিধান তাঁরই, তোমরা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে। তার হুকুম কেউই রদ করতে পারে না। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই করতে পারেন। এমন কেউ নেই যে তার ইচ্ছা থেকে তাঁকে ফিরাতে পারে। হিকমত ও রহমত তারই পবিত্র সত্তায় রয়েছে। কিয়ামতের দিন তোমরা তারই নিকট ফিরে যাবে। তিনি। তোমাদের সকলকেই তোমাদের আমলের প্রতিদান প্রদান করবেন। তার কাছে তোমাদের কোন কাজই গোপন নেই। তিনি সেই দিন সৎ লোকদেরকে পুরস্কার ও অসৎ লোলেদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। ঐ দিন তিনি স্বীয় বান্দাদের মধ্যে পূর্ণ ফায়সালা করে দিবেন। 

৭১-৭৩ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহের কথা একটু চিন্তা করে দেখো তো, তিনি তোমাদের কোন চেষ্টা তদবীর ছাড়াই বরাবরই দিবস ও রজনীকে আনয়ন করতে রয়েছেন। যদি শুধু রাত্রিই থেকে যায় তবে তোমরা। কঠিন অসুবিধার মধ্যে পড়ে যাবে, তোমাদের কাজ-কর্ম হয়ে যাবে বন্ধ এবং তোমাদের জীবন যাপন করা অত্যন্ত কষ্টকর হবে। এমতাবস্থায় তোমরা এমন কাউকেও পাবে কি, যে তোমাদের জন্যে দিন আনয়ন করতে পারে? যার ফলে তোমরা আলোকের মধ্যে চলতে পার? অতঃপর নিজেদের কাজ-কর্মে লেগে যেতে পার? বড়ই দুঃখের বিষয় এই যে, তোমরা আল্লাহর কথায় মোটেই কর্ণপাত কর না। 

অনুরূপভাবে মহামহিমান্বিত আল্লাহ যদি শুধু দিনই রেখে দেন তাহলেও তোমাদের জীবন তিক্ত ও দুঃখময় হয়ে যাবে। তোমরা হয়ে পড়বে ক্লান্ত, শ্রান্ত। বিশ্রামের কোন সুযোগ তোমরা পাবে না। এমতাবস্থায় এমন কেউ আছে কি, যে তোমাদেরকে রাত্রি এনে দিতে পারে? যাতে তোমরা বিশ্রাম করতে পার? কিন্তু তোমাদের চক্ষু থাকা সত্ত্বেও তোমরা আল্লাহর নিদর্শনাবলী ও তাঁর দয়াপূর্ণ কাজগুলো দেখে কিছুই চিন্তা ভাবনা কর না, এটা বড়ই দুঃখপূর্ণ ব্যাপারই বটে।এটা একমাত্র আল্লাহ তাআলারই মেহেরবানী যে, তিনি তোমাদের জন্যে। দিবস ও রজনী দু’টোরই ব্যবস্থা রেখেছেন, যাতে তোমরা রাত্রে বিশ্রাম করতে পার এবং দিনে কাজ-কর্মে ও ব্যবসা বাণিজ্যে লিপ্ত থাকতে পার। আর যিনি তোমাদের প্রকৃত মালিক, যিনি ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী তার অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার এবং তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। 

৭৪-৭৫ নং আয়াতের তাফসীর: মুশরিকদেরকে দ্বিতীয়বার ধমক দিয়ে বলা হবেঃ দুনিয়ায় যাদেরকে তোমরা আমার শরীক বলে গণ্য করতে তারা আজ কোথায়? প্রত্যেক উম্মতের মধ্য হতে একজন সাক্ষী অর্থাৎ ঐ উম্মতের পয়গম্বর মনোনীত করা হবে এবং মুশরিকদেরকে বলা হবেঃ তোমাদের শিক্মকের কোন দলীল তোমরা পেশ কর এবং ঐ সময় তাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যাবে যে, প্রকৃতপক্ষেই ইবাদতের যোগ্য আল্লাহ ছাড়া আর কেউই নয়। সুতরাং তারা কোন জবাব দিতে পারবে না। তাই তারা খুবই বিচলিত হয়ে পড়বে এবং তারা আল্লাহ তা'আলার উপর যা কিছু মিথ্যা আরোপ করেছিল সবই ভুলে যাবে। 

 

LIFE

ফরয ছালাতের ফযীলত

যেসব আমলের মাধ্যমে মানুষ জান্নাত লাভ করতে পারে, ছালাত তার অন্যতম। ছালাত আদায়ের মাধ্যমে মানুষ বড় লাভবান হতে পারে। আল্লাহ বলেন, إِنَّ الصَّلاَةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ- ‘নিশ্চয়ই ছালাত মানুষকে অশ্লীল ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (আনকাবূত ৪৫)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وسَلَّمَ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ قَالُوا لَا يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ قَالَ فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আচ্ছা বলতো যদি তোমাদের কারো দরজায় একটি নহর থাকে যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তার কিছু ময়লা বাকী থাকবে কি? ছাহাবীগণ বললেন, কোন ময়লা থাকবে না। রাসূল (ছাঃ) বললেন, এইরূপ উদাহরণ হচ্ছে পাঁচওয়াক্ত ছালাতের। আল্লাহ এই পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের মাধ্যমে গুনাহ সমূহ মুছে দেন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৫; বাংলা মিশকাত হা/৫১৯)। হাদীছ দ্বারা বুঝা যায় যে, যারা মনোযোগ সহকারে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে তাদের অপরাধ সমূহ ক্ষমা হয়ে যায়।

عَنْ أَبِيْ مُوْسَى الأشْعَرِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى البَرْدَيْنِ دَخَلَ الجَنَّةَ-

আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজর ও আছরের ছালাত আদায় করল সে জান্নাতে যাবে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৫; বাংলা মিশকাত হা/৫৭৬)।

অত্র হাদীছে ফজর ও আছরের ছালাতের বিশেষ গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে। অন্যান্য ছালাত সহ যারা ফজর ও আছরের ছালাত সঠিকভাবে আদায় করবে, তারা কখনও জাহান্নামে যাবে না; বরং তাদের ঠিকানা হচ্ছে জান্নাত।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيه وسَلَّم لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوْا إِلاَّ أَنْ يَسْتَهِمُوْا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوْا، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي التَّهْجِيْرِ لاَسْتَبَقُوْا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি মানুষ জানত আযান দেয়া এবং ছালাত আদায়ের জন্য প্রথম সারিতে দাঁড়ানোর মধ্যে কি নেকী রয়েছে, তাহলে লটারী করা ব্যতীত তাদের কোন উপায় থাকত না। আর যদি তারা জানত প্রথম সময়ে ছালাত আদায় করাতে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা অন্যের আগে পৌঁছার আপ্রাণ চেষ্টা করত। আর যদি তারা জানত এশা ও ফজর ছালাতের মধ্যে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা এই ছালাত আদায়ের জন্য হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আসত’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮; বাংলা মিশকাত হা/৫৭৯)।

অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ) ফজর ও এশার ছালাতে এত অধিক ছওয়াব নিহিত থাকার কথা বলেছেন যে, মানুষ যদি ছওয়াবের কথা জানত তাহলে ভাল মানুষতো যেতই অক্ষম মানুষও হামাগুড়ি দিয়ে হলেও যেত এবং এ ছওয়াব অর্জন করত।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ صَلاَةٌ أَثْقَلَ عَلَى الْمُنَافِقِيْنَ مِنَ الْفَجْرِ وَالْعِشَاءِ وَلَوْ يَعْلَمُوْنَ مَا فِيْهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মুনাফেকদের উপর সবচেয়ে কঠিন ছালাত হচ্ছে ফজর ও এশা। যদি তারা জানত এ ফজর ও এশা ছালাতে কি নেকী রয়েছে, তাহলে তারা এ ছালাত আদায় করতে আসত হামাগুড়ি দিয়ে হলেও’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৯; বাংলা মিশকাত হা/৫৮০)। এশা এবং ফজরের ছালাতে কি রয়েছে তার কিছু প্রমাণ অত্র হাদীছে পাওয়া যায়। এশার ছালাত জামা‘আতে আদায় করার পর ফজরের ছালাত জামা‘আতে আদায় করলে পূর্ণ রাত্রি ছালাত আদায় করে যা ছওয়াব হবে অনুরূপ ছওয়াব হবে। এটা আল্লাহর অনেক বড় অনুগ্রহ। আল্লাহ বান্দার উপর খুশি হলে এরূপ অনুগ্রহ করে থাকেন।

YOUTH

Tawheed : The Faith of All Prophets

Ninety Nine Names, One Creator - 2