1444H Week-02

Friday, 12 August 2022

 

 

QURAN

Ash-Shu'ara | The Poets | Verse 176-184

26:176

كَذَّبَ أَصْحَـٰبُ لْـَٔيْكَةِ ٱلْمُرْسَلِينَ ١٧٦

The companions of the thicket [i.e., the people of Madyan] denied the messengers

— Saheeh International

আইকাবাসীরা রাসূলদেরকে অস্বীকার করেছিল –

— Sheikh Mujibur Rahman


26:177

إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٧٧

When Shuʿayb said to them, "Will you not fear Allāh?

— Saheeh International

যখন শু‘আইব তাদেরকে বলেছিলঃ তোমরা কি সাবধান হবেনা?

— Sheikh Mujibur Rahman


26:178

إِنِّى لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌۭ ١٧٨

Indeed, I am to you a trustworthy messenger.

— Saheeh International

আমিতো তোমাদের জন্য একজন বিশ্বস্ত রাসূল।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:179

فَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٧٩

So fear Allāh and obey me.

— Saheeh International

সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:180

وَمَآ أَسْـَٔلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِىَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ ١٨٠

And I do not ask you for it any payment. My payment is only from the Lord of the worlds.

— Saheeh International

আমি তোমাদের নিকট এ জন্য কোন প্রতিদান চাইনা; আমার পুরস্কারতো জগতসমূহের রবের নিকটই রয়েছে।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:181

۞ أَوْفُوا۟ ٱلْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا۟ مِنَ ٱلْمُخْسِرِينَ ١٨١

Give full measure and do not be of those who cause loss.

— Saheeh International

তোমরা মাপে পূর্ণ মাত্রায় দিবে; যারা মাপে কমতি করে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়োনা।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:182

وَزِنُوا۟ بِٱلْقِسْطَاسِ ٱلْمُسْتَقِيمِ ١٨٢

And weigh with an even [i.e., honest] balance.

— Saheeh International

এবং তোমরা ওজন করবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:183

وَلَا تَبْخَسُوا۟ ٱلنَّاسَ أَشْيَآءَهُمْ وَلَا تَعْثَوْا۟ فِى ٱلْأَرْضِ مُفْسِدِينَ ١٨٣

And do not deprive people of their due and do not commit abuse on earth, spreading corruption.

— Saheeh International

লোকদেরকে তাদের প্রাপ্য বস্তু কম দিবেনা এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ফিরনা।

— Sheikh Mujibur Rahman


26:184

وَٱتَّقُوا۟ ٱلَّذِى خَلَقَكُمْ وَٱلْجِبِلَّةَ ٱلْأَوَّلِينَ ١٨٤

And fear He who created you and the former creation."

— Saheeh International

এবং তোমরা ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন।

— Sheikh Mujibur Rahman

Tafsir Ibn Kathir 

Shu`ayb and His Preaching to the Dwellers of Al-Aykah

The companions of Al-Aykah were the people of Madyan, according to the most correct view. The Prophet of Allah Shu`ayb was one of them, but it does not say here, their brother Shu`ayb, because they called themselves by a name denoting their deification of Al-Aykah, which was a tree which they used to worship; it was said that it was a group of trees which were tangled, like trees in a thicket. For this reason, when Allah said that the companions of Al-Aykah denied the Messengers, He did not say, "When their brother Shu`ayb said to them." Rather, He said:

إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ

(When Shu`ayb said to them) He is not described as belonging to them because of the meaning that was inherent in the name given to them even though he was their brother by blood. Some people did not notice this point, so they thought that the dwellers of Al-Aykah were different from the people of Madyan, and claimed that Shu`ayb was sent to two nations; some said that he was sent to three.

أَصْحَـبُ لْـَيْكَةِ

(The companions of Al-Aykah) were the people of Shu`ayb. This was the view of Ishaq bin Bishr. Someone besides Juwaybir said, "The dwellers of Al-Aykah and the people of Madyan are one and the same." And Allah knows best. Although there is another opinion that they were different nations with two identities, the correct view is that they were one nation, but they are described differently in different places. Shu`ayb preached to them and commanded them to be fair in their weights and measures, the same as is mentioned in the story of Madyan, which also indicates that they were the same nation.

أَوْفُواْ الْكَيْلَ وَلاَ تَكُونُواْ مِنَ الْمُخْسِرِينَ - وَزِنُواْ بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ

وَلاَ تَبْخَسُواْ النَّاسَ أَشْيَآءهُمْ وَلاَ تَعْثَوْاْ فِى الاْرْضِ مُفْسِدِينَ-


The Command to give Full Measure

Allah commanded them to give full measure, and forbade them to give short measure. He said:

أَوْفُواْ الْكَيْلَ وَلاَ تَكُونُواْ مِنَ الْمُخْسِرِينَ

(Give full measure, and cause no loss.) meaning, `when you give to people, give them full measure, and do not cause loss to them by giving them short measure, while taking full measure when you are the ones who are taking. Give as you take, and take as you give.'

وَزِنُواْ بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ

(And weigh with the true and straight balance.) The balance is the scales.

وَلاَ تَبْخَسُواْ النَّاسَ أَشْيَاءَهُمْ

(And defraud not people by reducing their things,) means, do not shortchange them.

وَلاَ تَعْثَوْاْ فِى الاٌّرْضِ مُفْسِدِينَ

(nor do evil, making corruption and mischief in the land.) means, by engaging in banditry. This is like the Ayah,

وَلاَ تَقْعُدُواْ بِكُلِّ صِرَطٍ تُوعِدُونَ

(And sit not on every road, threatening) (7:86).

وَاتَّقُواْ الَّذِى خَلَقَكُمْ وَالْجِبِلَّةَ الاٌّوَّلِينَ

(And have Taqwa of Him Who created you and the generations of the men of old. ) Here he is frightening them with the punishment of Allah Who created them and created their forefathers. This is like when Musa, peace be upon him, said:

رَبُّكُمْ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ الاٌّوَّلِينَ

(Your Lord and the Lord of your ancient fathers!) (26:26). Ibn `Abbas, Mujahid, As-Suddi, Sufyan bin `Uyaynah and `Abdur-Rahman bin Zayd bin Aslam said:

وَالْجِبِلَّةَ الاٌّوَّلِينَ

(the generations of the men of old.) means, He created the early generations. And Ibn Zayd recited:

وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلاًّ كَثِيراً

(And indeed he (Shaytan) did lead astray a great multitude of you) (36:62).

قَالُواْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ

وَمَآ أَنتَ إِلاَّ بَشَرٌ مّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ الْكَـذِبِينَ-

فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفاً مّنَ السَّمَآء إِن كُنتَ مِنَ الصَّـدِقِينَ-

قَالَ رَبّى أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ-

فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ إِنَّهُ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ-

তাফসীর ইবনে কাছীর 

১৭৬-১৮০ নং আয়াতের তাফসীর: এ লোকগুলো মাদইয়ানের অধিবাসী ছিল। হযরত শুআইবও (আঃ) তাদেরই মধ্যে একজন ছিলেন। তাঁকে তাদের ভাই না বলার কারণ শুধু এই যে, তারা আয়কার পূজা করতো। আর এই আয়কার সাথেই তাদেরকে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে। আয়কা ছিল একটি গাছ। এ কারণেই অন্যান্য নবীদেরকে বংশগত সম্পর্কের কারণে যেমন তাদের উম্মতের ভাই বলা হয়েছে, হযরত শুআইব (আঃ)-কে তাঁর উম্মতের ভাই বলা হয়নি, যদিও বংশগত হিসেবে তিনিও তাদের ভাই ছিলেন। যারা এই বিন্দু পর্যন্ত পৌছতে পারেননি তারা বলেন যে, এ লোকগুলো হযরত শুআইব (আঃ)-এর কম ছিল না বলেই তাঁকে তাদের ভাই বলা হয়নি। তারা অন্য কওম ছিল। হযরত শুআইব (আঃ)-কে তাঁর নিজের কওমের নিকটও পাঠানো হয়েছিল এবং ঐ কওমের নিকটও তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন। 

অন্য কেউ বলেন যে, তিনি তৃতীয় একটি কওমের নিকটও প্রেরিত হয়েছিলেন। যেমন হযরত ইকরামা (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, কোন নবীকে আল্লাহ দুই বার প্রেরণ করেননি, শুধু হযরত শুআইব (আঃ)-কে ছাড়া। একবার তাকে মাদইয়ানবাসীর নিকট পাঠানো হয়। তারা তাকে অবিশ্বাস করে। তখন বিকট চীৎকার দ্বারা তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়। দ্বিতীয়বার তাকে প্রেরণ করা হয় আয়কাবাসীর নিকট। তারাও তাকে অস্বীকার করে। ফলে তাদের উপর আল্লাহর মেঘাচ্ছন্ন দিনের শাস্তি নেমে আসে এবং তারা ধ্বংস হয়ে যায় ।হযরত কাতাদা (রঃ) বলেন যে, আসহাবে রস ও আসহাবে আয়কা হলো হযরত শুআইব (আঃ)-এর কওম। একজন বুযর্গ ব্যক্তির উক্তি এই যে, আসহাবে আয়কা ও আসহাবে মাদইয়ান একই। 

এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “কওমে মাদইয়ান ও আসহাবে আয়কা দু’টি উম্মত, যাদের নিকট আল্লাহ তা'আলা স্বীয় নবী হযরত শুআইব (আঃ)-কে প্রেরণ করেছিলেন।” (এ হাদীসটি হাফিয ইবনে আসাকির (রঃ) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু হাদীসটি গারীব এবং এর মারফু হওয়া সম্পর্কে সমালোচনা করা হয়েছে। খুব সম্ভব এটা মাওকুফ হাদীস) আর সঠিক কথা এই যে, দুটো একই উম্মত। 

১৮১-১৮৪ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত শুআইব (আঃ) ওজন ও মাপ ঠিক করার হিদায়াত করছেন। মাপে ঘাটতি করতে তিনি নিষেধ করছেন। তিনি বলছেনঃ “যখন তোমরা কাউকে কোন জিনিস মেপে দেবে তখন পূর্ণমাত্রায় দেবে, তার প্রাপ্য হতে কম দেবে না। অনুরূপভাবে কারো নিকট থেকে যখন কোন জিনিস নেবে তখন বেশী নেয়ার চেষ্টা করো না। এটা কেমন বিচার যে, নেয়ার সময় বেশী নেবে এবং দেয়ার সময় কম দেবে? লেন-দেন ঠিকভাবে করবে। দাঁড়িপাল্লা সঠিক রাখবে যাতে ওজন সঠিক হয়। ন্যায়ের সাথে ওজন করবে, ডান্ডি মারবে না এবং কম দেবে না।কাউকেও তার জিনিস কম দেবে না। চুরি-ডাকাতি এবং লুটপাট করবে না। লোকদেরকে ভয় দেখিয়ে তাদের মাল-ধন ছিনিয়ে নেবে না। ঐ আল্লাহর শাস্তিকে তোমরা ভয় করো যিনি তোমাদেরকে ও তোমাদের পূর্ববর্তী সমস্ত লোককে সৃষ্টি করেছেন। যিনি তোমাদের ও তোমাদের বড়দের প্রতিপালক।” এ শব্দটিই। (আরবি) (৩৬:৬২) এই আয়াতেও এই অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ “শয়তান তো তোমাদের বহু দলকে বিভ্রান্ত করেছিল।” 

 

LIFE

আল্লাহর দয়া  

মহান আল্লাহ বলেন,

قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِيْنَ أَسْرَفُوْا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوْا مِنْ رَحْمَةِ اللهِ إِنَّ اللهَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا إِنَّهُ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ-

‘হে আমার বান্দাগণ যারা অপরাধ করেছ আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি বড় ক্ষমাশীল ও দয়ালু’ (যুমার ৫৩)।

وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ.

আর (স্মরণ কর) আইয়ুব (আঃ)-এর কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহবান করে বলেছিলেন, আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু (আম্বিয়া ৮৩)

وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

বল, হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, দয়ালুদের মধ্যে আপনিই দয়ালু (মুমিনূন ১১৮)।

رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন ও আমাদের উপর দয়া করুন, আপনি দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু (মুমিনূন ১০৯)।

رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا.

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন (কাহাফ ১০)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اَللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَضَى اللهُ الْخَلْقَ كَتَبَ كِتَبًا فَهُوَ عِنْدَهُ فَوْقَ عَرْشِهِ إِنَّ رَحْمَتِيْ سَبَقَتْ غَضَبِيْ-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন মাখলূক সৃষ্টির ইচ্ছা করলেন, একটি লিপি লিখলেন যা তাঁর নিকট তাঁর আরশের উপর আছে, আমার দয়া আমার ক্রোধ অতিক্রম করেছে’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৬৪; বাংলা মিশকাত হা/২২৫৫)। 

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اَللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ لِلَّهِ مِائَةَ رَحْمَةٍ أَنْزَلَ مِنْهَا رَحْمَةً وَاحِدَةً بَيْنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ وَالْبَهَائِمِ وَالْهَوَامِّ فَبِهَا يَتَعَاطَفُوْنَ وَبِهَا يَتَرَاحَمُونَ وَبِهَا تَعْطِفُ الْوَحْشُ عَلَى وَلَدِهَا وَأَخَّرَ اللهُ تِسْعًا وَتِسْعِيْنَ رَحْمَةً يَرْحَمُ بِهَا عِبَادَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহর একশত রহমত রয়েছে যা হতে একটি মাত্র রহমত তিনি জিন, মানুষ, পশু ও কীট-পতঙ্গের মধ্যে নাযিল করেছেন। এ দ্বারাই তারা একে অন্যকে মায়া করে। এর মাধ্যমেই একে অন্যকে দয়া করে এবং এর মাধ্যমেই ইতর প্রাণীরা তাদের সন্তানদেরকে ভালবাসে। বাকী নিরানববইটি রহমত ক্বিয়ামতের দিনের জন্য রেখে দিয়েছেন। যা দ্বারা তিনি ক্বিয়ামতের দিন আপন বান্দাদের প্রতি রহমত করবেন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৬৫; বাংলা মিশকাত হা/২২৫৬)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اَللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ يَعْلَمُ الْمُؤْمِنُ مَا عِنْدَ اللهِ مِنْ الْعُقُوبَةِ مَا طَمِعَ بِجَنَّتِهِ أَحَدٌ وَلَوْ يَعْلَمُ الْكَافِرُ مَا عِنْدَ اللهِ مِنْ الرَّحْمَةِ مَا قَنَطَ مِنْ جَنَّتِهِ أَحَدٌ-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি মুমিন জানত আল্লাহর নিকট কি শাস্তি রয়েছে, তাহলে তাঁর জান্নাতের আশা কেউ করত না। আর যদি কাফের জানত আল্লাহর নিকট কি পরিমাণ দয়া রয়েছে, তবে কেউ তার জান্নাত হতে নিরাশ হত না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৬৭; বাংলা মিশকাত হা/২২৫৭)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اَللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَجُلٌ لَمْ يَعْمَلْ خَيْرًا قَطُّ لِأَهْلِهِ وَفِيْ رِوَايَةٍ أَسْرَفَ رَجُلٌ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ أَوْصَى بَنِيْهِ فَإِذَا مَاتَ فَحَرِّقُوهُ ثُمَّ اذْرُوا نِصْفَهُ فِي الْبَرِّ وَنِصْفَهُ فِي الْبَحْرِ فَوَاللهِ لَئِنْ قَدَرَ اللهُ عَلَيْهِ لَيُعَذِّبَنَّهُ عَذَابًا لاَ يُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِنْ الْعَالَمِيْنَ، فَلَمَّا مَاتَ فَعَلُوْا مَا أَمَرَهُمْ فَأَمَرَ اللهُ الْبَحْرَ فَجَمَعَ مَا فِيْهِ وَأَمَرَ الْبَرَّ فَجَمَعَ مَا فِيْهِ ثُمَّ قَالَ لِمَ فَعَلْتَ هَذَا؟ قَالَ مِنْ خَشْيَتِكَ وَأَنْتَ أَعْلَمُ فَغَفَرَ لَهُ-

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘এক ব্যক্তি কখনো কোন ভাল কাজ করেনি। তার পরিবার-পরিজনকে বলল, অন্য বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি নিজের প্রতি অবিচার করল, বড় অপরাধ করল। কিন্তু যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হল, তখন সে তার সন্তানদের অছিয়ত করল, যখন সে মারা যাবে তখন তাকে যেন পুড়িয়ে ফেলা হয়। অতঃপর অর্ধেক স্থলে ও অর্ধেক সমুদ্রে ছিটিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহর কসম! যদি তিনি তাকে ধরতে সক্ষম হন, তবে এমন শাস্তি দিবেন যা জগতের কাউকে কখনো দেননি। যখন সে মারা গেল তার নির্দেশ মত সন্তানরা কাজ করল। আল্লাহ সমুদ্রকে হুকুম দিলেন, সমুদ্র তার মধ্যে যা ছিল তা একত্র করে দিল। এভাবে স্থল ভাগকে নির্দেশ দিলেন, স্থলভাগ তার মধ্যে যা ছিল তা একত্র করে দিল। অতঃপর আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কেন এরূপ করেছিলে? সে বলল, হে প্রতিপালক! তোমার ভয়ে এরূপ করেছি। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৬৯)।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللهَ كَتَبَ الْحَسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ لهُ عندَهُ حَسَنَة كَامِلَة فَإِن هم بعملها كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً فَإِن هُوَ هَمَّ بِعَمَلِهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ سَيِّئَةَ وَاحِدَةً.

ইবনু আববাসcবলেন, রাসূলুল্লাহaবলেছেন, আল্লাহ পাপ পূণ্য সম্পর্কে নির্ধারণ করে রেখেছেন, যে ব্যক্তি পূণ্যের সংকল্প করে আর তা সম্পাদন না করে, আল্লাহ তার জন্য তাকে নিজের নিকট একটি পূর্ণ পূণ্যরূপে লিখেন। আর যদি তার সংকল্প করে, অতঃপর তা সম্পাদন করে, আল্লাহ্ তার জন্য তাকে দশ গুণ হতে সাতশত গুণ বরং বহুগুণ পর্যন্ত পুণ্যরূপে লিখেন। আর যে পাপের সংকল্প করে অতঃপর তা সম্পাদন না করে, আল্লাহ্ তার জন্য তাকে নিজের নিকট একটি পূর্ণ পুণ্যরূপে লিখেন। আর যদি সে তার সংকল্প করে অতঃপর তা সম্পাদন করে, আল্লাহ তার জন্য তাকে একটি মাত্র পাপরূপে লিখেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৭৪)।

YOUTH

FASTING RAMADAN  

Fasting, the Prophet's Way

You start fasting at dawn. That is really early, before the Fajr prayer. There is a meal before dawn called Suhoor and the Prophet (S) strongly encouraged us to have it.

The Prophet (S) also called this meal "The Blessed Meal." 

And what else should we do after we eat suhoor and before we start fasting? We must renew our intention to fast each day during Ramadan. Some scholars say one niyyah for the whole month is fine. If you think you might miss Suhoor in the morning and that you won't be able to make your intention before dawn, you should make your intention before you sleep the night before. 

And when do we break the fast?  You break the fast right at Maghrib, when the sun sets.  

And what is that meal called? Iftar! Iftar time is a very special time.

Why is it so important to us?  Iftar is special, because Allah SWT, answers your prayers during this time.

Allah answers people's prayers at iftar time, because it is a very blessed time. The Prophet (S) also told us to break our fast as soon as possible when it is time to do so. It is the Sunnah to break the fast with dates and water. The Prophet also told us to eat our iftar meals, but without getting too full. He once said, "When eating, fill a third of your stomach with food, another third with water, and leave the last third empty." This way is healthier for us, and this way we can pray properly and sleep well.

While sitting at the table waiting for Maghrib time, make du'aa with your family. This time is a time for du'aa at any time of the year. At Maghrib, the angels all report to Allah what you have done that day and what you are doing right at that moment. We want to be doing good things at Maghrib.

THE RAMADAN DAILY DOZEN

AHADEETH ON FASTING

Questions